মোহাম্মদপুর; ঢাকার একটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা। পানি বিদ্যুৎ গ্যাস থাকা বা নাথাকার ফিরিস্তি দিবনা শুধু বলতে চাই এখানে প্রতি ইঞ্চি জমিতে মিশে আছেন মুঘল বাদশাহগণ। প্রথমে এমনটা শুনে হয়তো অবাকই হবেন, ভাববেন এই বাংলাদেশে আবার মুঘল বাদশাহগণ মিশলেন কেমনে! অবাক হলেও এটা সত্য যে মূঘল বাদশাহগণ অনেক ভালবাসতেন এই বাংলাকে, আমাদের এই প্রান প্রিয় ঢাকাকে; ঢাকার মোহাম্মদপুরকে। সম্ম্রাট জাহাঙ্গীর ঢাকাকে ভালবাসে শেষে তাঁর নামেই ঢাকার নাম রেখে দিলেন জাহাঙ্গীরনগর। হয়তো বাংলাদেশও সেই ভালবাসার স্বীকৃতি ও প্রতিদান দিতে গিয়ে ঢাকার অদূরে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের) নামও রেখে দিলেন একজন মুঘল বাদশাহর নামে।
যাহোক যেকথা বলছিলাম, মোহাম্মদপুরের সাথে মুঘল বাদশাহগণের রয়েছিল নিবিরত্বর ভালবাসার টান। যে ভালবাসার প্রকাশ ঘটেছে অসংখ্য মুঘল স্থাপনার মাঝে। যেমন- মোহাম্মদপুরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত সাত গম্বুজ মসজিদ একটি মুঘল স্থাপনা। এখানে আরো রয়েছে মুঘল বাদশাহগণের নামে অসংখ্য রাস্তাঘাট; বাদশাহ শাহজাহানের প্রাণরানী মমতজের নামে রয়েছে তাজমহল রোড, রয়েছে হূমায়ুন রোড, বাবর রোড, আওরঙ্গোজেব রোড, কবি ইকবাল রোড, আছে নুরজাহান রোড, শাহজাহান রোড, রাজিয়া সুলতানা রোড ইত্যাদি।
এছাড়াও মোহাম্মদপুরে আরো রয়েছে অনেক মূঘল সূবেদারগনের স্মৃতিবিজরিত অনেক নিদর্শন, যেমন গজনবী রোড, সলিমুল্লাহ রোড, শেরসাহ রোড, শাহ সুলতান রোড।
যেকারনে এটি বলাই যায় যে মূঘলদের ভালবাসায় সিক্ত আমাদের প্রান প্রিয় এই ঢাকা ও এই ঢাকার মোহাম্মদপুর।
ছবিঃ মূঘল স্থাপনা সাত গুম্বজ মসজিদ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।