সত্য কথা বলি, সৎ পথে চলি......বুদ্ধি ও যুক্তি দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি নলুয়া পাহাড় বেষ্ঠিত একটি নদীর তট পলিমা ঘেরা গ্রাম। যা হাজার বছর পূর্বে ছিল একজন রাজার সাম্রাজ্য ও সাধারণ প্রজাদের জনপদ।
বহু বছর কার পূর্বের ঘটনা শত বর্ষীদের কাছে এ গল্প শত সহস্র পুরানো। ঐতিহ্য ধারণ করেছে এ গল্প প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর।
রাজা কাছার খাঁ ছিলেন প্রজাবৎসল একজন শাসক।
“দব্যদল” নামে দস্যু ডাকাত সরদার রাজার সুন্দরী স্ত্রীকে ভোগ করার আশায় রাজার অবর্তমানে একদিন রাজ বাড়িতে হামলা চালায়। রাজা ছিলেন শিকারে।
দব্যদল রাণীকে বললো “আজকেই তোমাকে বিয়ে করবো, যা কিছু আছে সব গোছাও তোমাকে নিয়ে বহুদুর পালিয়ে যাব”
বুদ্ধিমতি রানী ফন্দি আঁটলেন, বললেন “তুমি যখন আমাকে বিয়ে করবে তাহলে তো বিশাল ভোজের আয়োজন করতে হবে”।
ডাকাত সরদার বললো “নিশ্চয় তুমি ভোজের আয়োজন করবে রানী”।
সেই ফাঁকে রানী তার একমাত্র সন্তানকে নিয়ে সমস্ত গহনা, হীরা, জহরত সহ রাজবাড়ির পেছনে থাকা বিশাল ইন্দিরাতে লাফিয়ে পরে আত্নহুতি দিলেন।
অলৌকিক ভাবে ইন্দিরার মুখটি এঁটে গেল। কথিত রয়েছে এই ইন্দিরার মুখটি নাকি হাতিরপাল দিয়ে টেনেও খুলতে পারেনি। ডাকাতদল পালিয়ে গেল। রাজা ফিরে এসে সমস্ত কাহিনী শুনে আত্নহত্যা করলেন। রাজার সাথে সাথে রাজমহল ভেঙে পড়ল ডুবে গেল জলরাশিতে।
নিমজ্জিত রাজবাড়ির এই জলরাশিই এখন কাছার খাঁ দিঘি নামে পরিচিত, এটি হালুয়াঘাটে অবস্থিত। (ময়মনসিংহ জেলাধীন এটি)
রহস্যাবৃত ঘটনা এই যে, বহু বছর ধরে প্রজারা এই দিঘির পাড়ে এসে কেঁদে ফেদে সাহায্য চাইত এবং সন্ধার পর পর এখানে সেই সাহায্য সামগ্রীগুলো পাওয়া যেত কিন্তু সেগুলো আবার ফেরত দিতে হতো।
একদিন এক লোভী কৃষক তার মেয়ের বিয়েতে ব্যাবহারের জন্য বাসন কোসোন চাইল কিন্তু সেগুলো পরে আর ফেরত না দেয়াতে এখন কাছার খাঁ দিঘিতে কিছু চাইলে আর ভেসে উঠেনা।
এটি রুপকথার মত মনে হলেও। এই দিঘিতে বিশেষ কিছু ছিল অথবা এখনও আছে এটি প্রমাণিত হয়েছে জনৈক প্রভাবশালী একজন লোক দলবল নিয়ে এ দিঘি দখল করতে গিয়েছিল।
কিন্তু এক জোড়া সাপের তাড়া খেয়ে তারা ফিরতে বাধ্য হয়েছে।
(ব্যাপারটা যতনা ভৌতিক তার চেয়ে বেশি ভাবনাময়। )
সম্মানিত পাঠক গল্পটি ভূতের না হলেও রহস্যময় একটি কাহিনী। হয়তো কোন ভয়ের কাহিনী না, তবুও কিন্তু ওই দিঘির কাছ দিয়ে কেউ রাতে হেটে যায়না।
মন্তব্য করতে ভুলবেন না।
(http://www.bhooterblog.com থেকে সংগৃহীত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।