আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লোহাগাড়ার এক সৌদিআরব প্রবাসী শিরচ্ছেদের প্রহর গুণছেন

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলার গৌড়স্থান এলাকার দিনমুজুর জাফর আহমদের পুত্র আখতার হোসেন ২০০৮ সালে জীবিকার সন্ধানে সৌদি আরব যান। সেখানে পাকিস্তানী নাগরিক মো. এজাজ হোসেনের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। সূত্রে জানা যায়, মালিকের সাথে অমিল ও মানসিক টানাপোড়নের জের ধরে ওই পাকিস্তানী নাগরিককে ছুরিকাঘাত করে আখতার। আহত অবস্থায় ওই পাকিস্তানী নাগরিকের মৃত্যু হয়। হত্যার অপরাধে সৌদি আদালত ওই আখতারকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দিয়েছে।

বর্তমানে সে শিরচ্ছেদের প্রহর গুণছেন। তার এলাকায় এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার বাড়িতে প্রতিদিন শত শত মানুষের ভিড় জমে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো সূত্রে জানা যায়, রক্তঋণ (ব্লাডমানি) বাবদ ৮৮ লাখ টাকা প্রদান করলে মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কয়েক বার বৈঠকও করেছেন বলে জানা গেছে।

সরকারের পক্ষ থেকে শিরচ্ছেদ থেকে আখতারকে বাঁচাতে চেষ্টা চলছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, খবর নিয়ে জেনেছি সুদর্শন আখতার সৌদি আরবে ওই পাকিস্তানী মালিকের কুনজরে পড়ে। দিনের পর দিন শারীরিক নির্যাতন সইতে না পেরে সে মালিককে হত্যার মতো ঘৃণ্য কাজ করে বসে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম সারা দিবা বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরে তাকে বাঁচানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। জানা যায়, সৌদি আরবস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস মৃত্যুদণ্ড মকুফের ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করেছেন।

সৌদি আরবে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের মাধ্যমে নিহতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ দূতাবাস শর্ত সাপেক্ষে সমঝোতা প্রস্তাব পায়। শর্ত হল মুক্তির রক্তঋণ বাবদ নিহতের পরিবারকে চার লাখ রিয়াল তথা ৮৮ লাখ টাকা প্রদান করতে হবে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে রক্তঋণের টাকা পরিশোধের ব্যাপারে অপারগতার কথা জানান আখতার হোসেনের পরিবার। তবে যে কোন মূল্যে সন্তানকে মুক্ত করার আবেদন জানান অসহায় পিতা জাফর আহমদ। আখতারকে বাঁচানো জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন করেন এলাকাবাসী।

আখতারের মৃত্যুদণ্ড অকার্যকর করতে সরকারকে যে কোন মূল্যে উদ্যোগী ভূমিকা নেবে এমন আশাবাদ করেছেন পুটিবিলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল আল. শেয়ার করা হয়েছে। লিনক. Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.