আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হরতাল-সংঘাতে বীমা কোম্পানিগুলোও চাপে

গত তিন মাসে বীমা করা ৫৭ কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এর জন্য সাড়ে ৫ কোটি টাকা বীমার দাবি পরিশোধ করতে গিয়ে কোম্পানিগুলো হিমশিম খাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিআইএ সভাপতি শেখ কবির হোসেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বীমা কোম্পানিসহ সামগ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতির মুখে পড়ছে। ”
যুদ্ধাপরাধের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে এবং বিরোধী দলের হরতালে গত ফেব্রুয়ারি থেকেই উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গন। এই সময়ে সংঘাতে পোড়ানো হয়েছে অসংখ্য গাড়ি ও স্থাপনা।


ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের সম্পদের বীমাকৃত অর্থ চাইলে বীমা কোম্পানিগুলো চাপে পড়ে। এরপর ৩১ জানুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আসা বীমা দাবির পরিসংখ্যান কোম্পানিগুলোকে দিতে বলে  বিআইএ।
এর মধ্যে ৪৩টি সাধারণ বীমা কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির বীমা দাবির তথ্য বিআইএ ‘র কাছে এসেছে, তার ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন মাসে ছোট-বড় ৫৭টি মোটরযান আগুনে পুড়ে যাওয়ায় এর মালিকরা বীমা কোম্পানির কাছে ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের দাবি এসেছ।

এছাড়া ভাংচুর ও অন্যান্য ঘটনায় ৭৬ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এসব মালামাল ও মোটর গাড়ির প্রকৃত মূল্য ৫৬ কোটি ৬৭ লাখ ২ হাজার ১৮৪ টাকা। এর মধ্যে বীমা কোম্পানিগুলোর কাছে দাবি ৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
বীমা গ্রহীতাদের এই দাবিগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি টাকার দাবির চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হয়েছে। বাকি দাবিগুলো মূল্যায়নের জন্য জরিপ চলছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।


ক্ষতিগ্রস্ত সম্পদের মধ্যে চার চাকার ছোট-বড় মোটর যান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল, শিল্পকারখানার যন্ত্রপাতির মূল্য ধরা হলেও দূর পাল্লার বাস-ট্রাকের তথ্য নেই।
এই সময় সংঘাতে দূরপাল্লার বহু যানবাহন পুড়েছে, পোড়ানো হয়েছে ট্রেনও। রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে গত আড়াই মাসে পরিবহন খাতে ২০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে সম্প্রতি জানান যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলো হরতালের মতো কর্মসূচি না দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে।
সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান কবির হোসেন বলেন, “এই হরতাল বন্ধ করা উচিত।

নাগরিক ও ব্যবসায়িক ক্ষতি করে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না, এ বিষয়টা রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুধাবন করতে হবে। ”

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।