ভালোবাসি ফুল, চাঁদ, শিশু আর বাংলাদেশ। রাজাকার-মৌলবাদীরা ১০০ হাত দূরে থাকুন।
চট্টগ্রাম মতিনিধি
বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতা হত্যার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘কুপ্রস্তাব’ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়া কারাগারে আমার কাছে এনএসআইয়ের লোক পাঠিয়েছিলেন।
আমি বলেছিলাম, প্রয়োজনে আমি জেলের ভেতর মৃত্যুবরণ করব। এ কথা বলে আমি জিয়ার কুপ্রস্তাব সেদিন ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। ’
আবেগঘন কণ্ঠে তোফায়েল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিল্লুর রহমান, আমি এবং রাজ্জাক ভাইকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। রাজ্জাক ভাই আর আমি এক খাটে ঘুমাতাম। একদিন রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার বুকে স্টেনগান ধরা হয়েছিল।
আমি জেগে উঠে বলেছিলাম, আমাকে ওজু করার সময় দিন। জালেম নরপিশাচগুলি আমাকে বলল, ওজু করে লাভ নাই, ওজু নষ্ট করার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। আমি তখন বললাম, ছেড়ে দে শয়তান, দেহ পাবি, মন পাবি না। ’
পঁচাত্তর পরবর্তী দলের দুর্দিনের কথা তুলে ধরে তোফায়েল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতার হত্যার পর আমরাই আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছি। মওদুদ, নাজমুল হুদারা তখন বিএনপিতে যোগ দিয়েছে।
মোটাসোটা নেতাদের প্রতি জিয়াউর রহমানের দুর্বলতা ছিল বলেই সে আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি হলে আমিও বিএনপির বড় নেতা হতে পারতাম, মন্ত্রী হতে পারতাম, কুটি কুটি টেকা কামাইতে পারতাম। কিন্তু আমি জিয়ার কুপ্রস্তাবে রাজি হইনি। ’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে তিল তিল করে গড়ে উঠতে হয়। আমি যখন রাজনীতি শুরু করি, তখন আমি শুকনা ছিলাম।
বাতাস চালালে মাটিতে পড়ে যেতাম। তিল তিল করে আমি মোটাসোটা হয়ে উঠি। আর সেটিই আমার জন্য কাল হয়ে উঠে। জিয়াউর রহমান আমাকে কুপ্রস্তাব পাঠায়। ’
দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তোফায়েল বলেন, ‘চলার পথে অনেক ভুল হয়।
কিন্তু সবাই খেয়াল রাখবেন, কোন কুপ্রস্তাবে রাজি হবেন না। জেনারেলরা কুপ্রস্তাব দিলে সে কুপ্রস্তাব ফিরিয়ে দিবেন। তারা অত্যান্ত খারাপ। ’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া তার স্বামীর মত নন। তিনি আমাকে কোন কুপ্রস্তাব দেন নাই।
তবে ইদানীং এরশাদ আমাকে দেখলে মিষ্টি মিষ্টি হাসে। ’
এইদিকে ঢাকায় তোফায়েলের বক্তব্যের সংবাদ এসে পৌঁছালে, রাজনীতিবিদদের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের নামে এত বছর পর এই অপপ্রচার চালিয়ে তোফায়েল কি পেতে চান? আর মওদুদ ও নাজমুল হুদা থাকতে জিয়াউর রহমান কেন তোফায়েলকে কুপ্রস্তাব দিবেন?’
ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের প্রধান ও উপমহাদেশের ইসলামী আন্দোলনের প্রবাদপুরুষ গৃহবন্দী নেতা মুফতি ফজলুল হক আমিনী নিজ মাদ্রাসার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জিহাদ ও মহব্বতে সকলই জায়েজ। জেনারেল জিয়াউর রহমান এক জেহাদে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি যদি কাউকে মহব্বতের এলান পাঠিয়ে থাকেন, তার উচিত ছিল তার ডাকে সাড়া দেয়া।
তোফায়েল না পাওয়ার বেদনা থেকে এসব বলছেন। ’
এ ধরনের মহব্বত ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ কি না জানতে চাইলে আমিনী মধুর হেসে বলেন, ‘আমনে এই মহব্বত আমাত্তে বেশি বুজেন?’
(সংকলিত-মতিকণ্ঠ থেকে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।