জীবন আসলে চিল্লাপাল্লা ছাড়া কিছুই না। সেটাই করতে চাই, মনের সুখে, ইচ্ছা মতন। নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের বিদেহী আত্মার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা পূর্বক তাঁর লেখা, আমার অতি পছন্দের একটি ছড়া “কাজের লোক” এর প্যারডি করার দুঃসাহস করলাম। ছড়াটি আমরা সবাই ২য় শ্রেণীতে পড়েছি, মনে আছে তো?
প্রত্যেকেই নিজ নিজ গুণের খাতিরে ক্ষমা করে দেবেন আশা রাখছি।
এই মেয়ে, এই মেয়ে
কোথা যাও গান গেয়ে?
দাড়াও না একবার শুনি।
ওই পার্লার আছে মলে,
যাই সেথা সাঁজার ছলে
দাঁড়াবার টাইম নেই, চলি।
বড় খুকি, বড় খুকি
যাচ্ছ যে ছুপি ছুপি!!!
কোথা যাও বলে যাও দেখি,
এখন না কব হায়
সময় যে বয়ে যায়...
দুই দুই টা ডেট আছে
সামলানো হবে দায়।
ওগো প্রিয়া, ওগো প্রিয়া
সন্ধ্যায় বাসা ছাড়িয়া
কোথা যাও, যাও ওগো বলি।
নতুন অর্নামেন্ট চাই
মার্কেটে যাইতেছি তাই,
রফিক আছে দাড়ায় সেথায়,
বেশী কিছু কষানোর ধান্দা
তাই সন্ধ্যায়ও তার পানে চলি।
অতঃপর জনৈক কর্মহীন রোমীয় বেচারা কাহারো কাছে পাত্তা না পাইয়া মনের দুঃখে ও ক্ষুবে রাস্তার পাশে বসিয়া কাঁদিতে লাগিল।
পাসের রাস্তা দিয়া “ললনা বসে আনার ১০০১ টি তরীকা” শীর্ষক বইয়ের রচয়িতা ভ্রমণ করিতেছিল। তাহার কান্নায় সমব্যথী হইয়া বিজ্ঞ লেখক তাঁর জানা ললনা বসে আনার সর্ব শ্রেষ্ঠ তরীকাটি দুঃখে কাঁতর রোমীয়র নিকট উত্থাপন করিল।
সেই সর্ব-উৎকৃষ্ট তরীকাটি ছিল “টাকা”।
উক্ত ব্যক্তির বক্তব্য শুনিয়া রোমিওর মাথায় টিং করিয়া একটা বুদ্ধির বাতির আভা দেখা দিল। কারণ সে একটি বাংলা সিনেমায় শাকিব খানকে রিক্সা ঠেলিয়া মুহূর্তের মাঝে বড়লোক বনিয়া যাইতে দেখিয়া ছিল।
সে স্থির করিল যে সেও আগামী দিন থেকে রিক্সা চালাইয়া বড়লোক হইয়া যাইবে এবং ছলনা কারিণীদের দেখাইয়া দেবে যে সে কি মাল, আর কি জিনিস তারা না বুজিয়া হারাইল!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।