আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিফুড পাস্তা উইথ হোয়াইট সস.....খাইতে চাইলে এদিকে আইতে হইবো...এ্যানাদার শিশির সিন্ধু রেসিপি(ছবি ব্লগ)

আইজকা আজাইরা সারাডা দিন বাসায় বইসা বইসা নেট গুতাইছি.....কোন ফাকে দিয়া সন্ধ্যা হইয়া গেল, হঠাৎ কই থেকা জানি শব্দ হওয়া শুরু করলো....প্রথমে পাত্তা দেই নাই কিন্তু আস্তে আস্তে সাউন্ড বাড়া শুরু করলে ইনভেস্টিগেট কইরা যা পাইলাম তা হইলো খিদায় পেটের ভিতরে চিকা ডাকা শুরু করছে....মানে সেই কোন দুপুরে আম্মার হাতের বিরিয়ানি খাইছি এর পরে আর কিছুই খাই নাই....ভাইরে পেট আর নারী মানুষের আবদার আমি কেন জানি ফালাইতে পারি না ....তো খুজা শুরু করলাম খাওয়ার কি কি আছে বাসায়....একটু ম্যাকারনী পাইলাম...মানে খুব কম খায় এমন একজনের জন্য প্রযোজ্য পরিমানের ম্যাকারনীর খোজ পাইলাম...তখনই চিন্তাইলাম যে আইজকা পাস্তা খাইতে হইবো...বহুত দিন হইলো পাস্তা খাই না। তো জোগাড় যন্ত্র করা শুরু করলাম.....পাস্তা সিদ্ধ বসাইয়া ফ্রিজে চিকেন খুজতে গেলাম.....পাইলাম না (যদিচিকেন খুইজা পাইতাম পোস্টের হেডলাইন হইতো চিকেন হোয়াইট সস পাস্তা খাইতে চাইলে এদিকে আইতে হইবো )...কিন্তু খুজতে খুজতে হঠাৎ মনে হইলো খাজানা পাইয়া গেলাম.... বড় বড় সাইজের ফ্রেশ চিংড়ী খুইজ্যা পাইলাম..আম্মা সকাল বেলা বাজার থেকা আইন্না রাখছে...চিংড়ী দেইখ্যা জিবলা বাইর হইয়া গলা চুলকাইতে লাগলো..নগদে কিছু চিংড়ি বাইর কইরা পানিতে ভিজাইয়া রাখলাম...হঠাৎ ধিরিমম কইর‌্যা পিডের উপরে কি জানি পড়লো ...পিছে তাকাইয়া দেখি আম্মা পিডে একটা কিল দিয়া আরেকটা দেয়ার প্রস্তুতি নিতাছে..নগদে আম্মার হাতের চিপা দিয়া পাকঘর থেকা বাইর হইয়া পলাইলাম ...আম্মা আর মারতে না পাইয়া চিংড়ির শোকে গজর গজর করতে লাগলো....যাই হোক যেহেতু একজনের জন্য পাস্তা রানতেছি তাই দুইটার বেশি চিংড়ী লাগবো না। তাই বেশি না নিয়া দুইটাই নিলাম ( আসল কাহীনি অন্য, কোনোমতেই আম্মার হাতে পায়ে ধইর‌্যা কান্দাকাটি কইর‌্যা দুইটার বেশি বাগাইতে পারি নাই ) মাইর খাইয়া মন মিজাজ পুরা বিলা হইয়া গেলো দুর শালা পাস্তাই খামু না...পাক্কা আধা ঘন্টা বরফের মতন মেজাজ নিয়া খিচ মাইরা খারাইয়া রইলাম...বরফের ধর্ম তো জানেনই...খিদার তাপে বরফ গলতে শুরু করলো..গলতে গলতে পানি হইয়া বাস্প হইতে আরম্ভ করলো...হঠাৎ দেখি মিজাজ বাষ্পীভূত হইয়া কই জানি উইবা গেলো, চিন্তা করলাম পাস্তারে এমনে ফালাইয়া রাইখ্যা কস্ট দিয়া লাভ নাই..একজনের উপরের মিজাজ আরেক জনরে না দেখানোই ভালো...তারচে রাতের বেলায় ভাত না খাইলেই আম্মার উপর মিজাজ দেখানো হইবো ....দেরি না কইর‌্যা আস্তে আস্তে আমার ঘর থেকা বাইর হইয়া ফ্রিজ থেইকা লিকুইড দুধ, মাশরুম(পিজার জন্য আনা) আর লোকাল চিজ বাইর করলাম(রাস্তা ঘাটে বেডারা টুলের উপরে ঝুড়ি বিছাইয়া বড় বড় গোলাকার পনির বেচে অইগুলান)। একটা পাতিলে দুধ নিয়া জাল দেয়া শুরু করলাম...তাতে মাশরুম আর চিংড়ী ছাইড়া দিলাম...হোয়াইট সস বানাইতে হইলে একটা হুইস্ক লাগবো..এইযে এইডারে হুইস্ক কয়... দুধ গরম হইলে তাতে প্রায় আধা মুঠ ময়দা ছাইরা দিয়া হুইস্ক দিয়া জোরে জোরে ঘাটাইতে হইবো(আমি বেশি জোরে ঘাটাইতে পারি নাই...পাছে ফুলনদেবী আইস্যা হাজির হয় ) দুধ একটু ঘন হইয়া আইবো...তার পর তাতে পনির ছাইরা আবার ঘুটা ঘুটা করতে হইবো...তাতে একটু আদা আর রসূন বাটা ছাইরা দিতে হইব এরপর তাতে একটু লবন গোল মরিচ আর জায়ফল গুড়া মাইরা দিতে হইবো ....আবার ঘুটা ঘুটা.........জিনিসটা অনেক আঠালো হইয়া আইবো এরকম সবশেষে একটু সয়াসস দিয়া আবারো লাড়া দিয়া নামাইয়া ফেলাইতে হইবো এবার সিদ্ধ পাস্তা নামাইয়া ঠান্ডা পানি দিয়া ধুইয়া, পানি ঝরাইয়া একটা বাটি তে নিয়া তাতে একটু লবন, গোল মরিচ, চিনি সস আর অলিভ অয়েল দিয়া মাখাইতে হইবো এরকম ভাবে মাখানোর আগে মাখাইয়া প্লেটে রাখার পরে এরপর তাতে গরম গরম হোয়াইট সস ঢাইলা দিতে হইবে এমনে ক্লোজ শটে চিংড়ীর অ্যাংগেল থেকা দেখেন খাইয়াই ব্লগ লিখতে বইলাম....লিখা শেষের পথে এর মইধ্যে আম্মা ডাকাডাকি শুরু করসে ভাত খাওয়ার লাইগ্যা....ভাত খামু না এটা কইতে গিয়া দেখি টেবিলে চিংড়ীর দোপেয়াজা কইরা রাখা..ভাই থাকেন তো আমারে যাইতে হইবো তাড়াতাড়ি...আইজকা টাইম কম..যাই হোক মায়ের উপরে রাগ কইরা থাকা কোনো বেটা ছেলের কাম না ... গত কালকে পিজার রেসিপি দিসিলাম  

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।