আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়ে 'জামাইকে' কেউ এতো নৃশংসভাবে 'আদর' করে তা জানা ছিল না !

প্রিয় বন্ধুরা কয়েকদিন আমার আজেবাজে ক্যাচাল থেকে আপনাদের মুক্ত রাখার পর আজ আবার আরেকটি ক্যাচাল নিয়ে আসলাম যা নিয়ে এখন প্যাঁচাল করবো! ১) মূল প্যাঁচাল- আমাদের বর্তমান সামাজিক-পারিবারিক অবস্থা এতো ভয়াবহ হয়ে গিয়েছে যে সবসময় আতংকিত না থেকে উপায় নেই। আসলে আমরা যে বড় বেশী নৃশংস এক জাতিতে পরিণত হচ্ছি যা আমাদের শিল্প- সংস্কৃতিতেও প্রভাব পড়েছে। যার ফলে আজ পত্রিকা, টেলিভিশন, সিনেমা সর্বত্রই শুধু নৃশংসতার ছবি। রক্তাক্ত মানুষের ছবি দেখতে পাই। যা দেখে দেখে সবাই এতো সাহসী হয়ে গেছে যে এসব কোন ব্যাপারই নয়।

এসব আমাদের স্বাভাবিক জীবনেরই অংশও! যা ভেবে মনে প্রশ্ন আসে তাহলে কি আমরা 'ভেম্পেয়ার' হয়ে যাচ্ছি? রক্ত না পান করলে আমাদের তৃষ্ণা মেটেনা! আমরা আরও বেশী বেশী রক্ত চাই! আরও বেশী রক্ত পান করে ক্ষুধা নিবারণ করতে চাই! স্টার মুভিজ, এইচবিও চ্যানেলা 'ভেম্পায়ার' নিয়ে প্রায় পুরনো হলিউড এর কাল্পনিক সব ছবি দেখায় বাণিজ্যর জন্য। যেখানে দেখা যায় একদল 'ভেম্পেয়ার' গোটা শহরে একেরপর এক নিরীহ মানুষদের হত্যা করে তাঁদের রক্ত পান করে। কেউ যদি কোন ভাবে বেঁচে যায় তবুও সে 'ভেম্পেয়ার' এর আঘাতে আহত হয়ে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় 'ভেম্পেয়ার' এর নখের আঁচড় বা কামড়ের দাগ এর ফলে তাঁর মাঝেও রক্তপান করার তৃষ্ণা জাগে যা তাঁরে ধীরে ধীরে 'ভেম্পেয়ার' এ পরিণত করে । যে ''ভেম্পায়ার' তাকে আক্রমণ করেছিল সে তাঁর নখের আঁচর অথবা দাঁত এর কামড় দিয়ে ঐ সুস্থ ব্যক্তির মাঝে তাঁর সকল কিছু ছড়িয়ে দেয় যার ফলে ঐ সুস্থ ব্যক্তিটি জীবিত থাকলেও সে 'ভেম্পেয়ার'' এর দলে ভিড়বে বা পরিণত হবে। তাই নগরের সব সুস্থ সাহসী মানুষরা এইসব ''ভেম্পেয়ার'' কে প্রতিহত করতে একজোট হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আর তাঁদের পরিবার পরিজনকে অন্য শহরে পাঠিয়ে দেয়।

আমরা কি সেই ভয়ঙ্কর রক্তচোষাদের পাল্লায় পড়লাম নাকি ? যাদের আঘাতে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে আরও রক্ত চোষা বেড়েই চলছে, এর শেষ কোথায় জানি না! সার্বিক ভাবে দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক যে অবস্থা দেখছি আর প্রতিদিন সংবাদপত্রে পাই তা ঐ 'রক্তচসা'দের ছবির কাহিনীকেও হার মানায়। আর হয়তো বেশী দেরি নয়, নিকট ভবিষ্যতে দেখা যাবে হলিউড এর সব বিখ্যাত কাহিনীকার, পরিচালক এই দেশে আসতে লম্বা লাইন ধরেছেন। কারণ তাঁদের রমরমা বাণিজ্যর জন্য প্রচুর ছবির বাস্তব গল্প /ঘটনা এই দেশে প্রতিদিন এতো বেশী হচ্ছে যা দিয়ে আগামী ৫০ বছর হলিউড এর কাহিনীকারদের কাহিনী লিখতে কোন চিন্তাই করা লাগবে না। গল্পের কাহিনী এই দেশে প্রচুর পরিমাণে আছে যার জন্য কোন কাল্পনিক কোন গল্প লিখার প্রয়োজন নেই। ২) যে ক্যাচাল এর জন্য এতক্ষণ এতো প্যাঁচাল- গতকাল অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় শহরের সবচেয়ে বড় সিনেমা হলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম।

সেখানে দেখলাম অনেক লোকের ভিড়। তাই তাকিয়ে দেখলাম কন ছবি চলছে! হলের সামনে হাতে আঁকা বিশাল বড় ব্যানার টানানো ছবির নামটি হলো 'আদররের জামাই', কিন্তু সেখানে জামাইয়ের চরিত্রে যিনি নায়ক তাঁর বিশাল রক্তাক্ত ছবি যেখানে দেখলাম তাঁর বুকে ,পিঠে বিশাল গজ ব্যান্ডেজ , মাথায় ব্যান্ডেজ! হাত ভাঙ্গা! সেই অবস্থায় তাঁর চোখে মুখে ক্রোধ। যা দেখে সত্যিই ভয় পেয়ে গেলাম এই ভেবে যে- আদরের জামাই এর যদি এতো ভয়ঙ্কর পরিণাম হয় তাহলে যারা জামাই আদর পায়না বা শ্বশুর বাড়ির লোকদের সাথে বনিবনা করে না তাঁদের কি অবস্থা হবে? আর আসলেই আমরা কোথায় বাস করছি এবং দিনদিন কত নির্মম একটি জাতিতে পরিণত হচ্ছি যেখানে 'আদর / সম্মান/ ভালোবাসা ' বলতে আমরা কাউকে রক্তাক্ত করা কে বুঝাই! আমাদের কাছে মানুষকে জবাই করা, কেটে টুকরো টুকরো করা কোন ব্যাপারই না ,যা আমাদের শিল্প সংস্কৃতির মাঝে এর জয়গান করা হয়েছে। ৩) ক্যাচাল থেকে নিজের বোধোদয় - ক) আমার বিয়ে না করার সিদ্ধান্তটা আবারো সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে। খ ) যদি পরিবার এর বিদ্রোহের কাছে পরাজিত হতে হয়ে তাদের দাবি মেনে নিতে হয় তাহলে আগে হবু শ্বশুর বাড়ির কাছ থেকে লিখিত নিশ্চয়তা আনবো যে উনারা আমাকে কখনও জামাই আদর করবেন না, অর্থাৎ আমাকে কোনদিন ' আদরের জামাই' হিসেবে গ্রহণ করবেন না, চিরদিন উনারা যেন আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেন।

তাহলেই আমি তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করবো !!!!!!!!!!!!!! আজাইরগা এসব ক্যাচাল এর প্যাঁচাল না পড়ে এই লিঙ্কে ক্লিক করলে আপনার নিজেরই উপকার / লাভ হবে - নিজের ভালো পাগলও বোঝে ! আর আপনি বুঝবেন না কেন? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.