আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
জোট সরকার ২০০১-০৬ মেয়াদে বিদ্যুত খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে! এটাই ১/১১ উত্তর বাংলাদেশে প্রচন্ড প্রোপাগান্ডা। যা প্রকৃত পক্ষে ঐ মেয়াদে মোট বাজেটই ছিল ১৩ হাজার কোটি টাকা। যার ৯ হাজারই বিদ্যুত বিভাগের কর্মচারীদের বেতন বোনাসে ব্যায় হয়েছে। কিন্তু ২০০৭-০৮ মেয়াদে তথাকথিত জরুরী অবস্থার জন্য বিএনপির কারো পক্ষেই এই জলজ্যান্ত মিথ্যার বিরুদ্ধে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা সম্ভব হয় নি। এটা আওয়ামী-বাকশালী গং তথা শেখ হাসিনার জন্য বিশাল প্লাস পয়েন্ট হয়।
এর পর কমলাপুর রেল ষ্টেশনে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর জন্য গ্যটাকো কোম্পানীর লিজ পাওয়াতে ফখরু-মঈনুর সরকার প্রথমে বলে যে রাষ্ট্রের নাকি হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু পরে ঐ মামলার চার্জশিটে দেওয়া হল ১৪ কোটি টাকার ক্ষতি।
২০০১-০৬ মেয়াদে র্দূনীতি হয় নি এটা আমি বলব না। কিন্তু ঐ মেয়াদে ১৯৯৬-২০০১ এর তুলনায় র্দূনীতি কম ছিল। এর জন্য প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় শেয়ার বাজারের কথা।
খালেদার প্রথম আমলের শেষে শেয়ার বাজারের সূচক ছিল ৬০০-৭০০ এর মধ্যে। তখন ঢাকার তথা ডিএসইর সর্বোচ্চ লেনদেন ১০-১২ কোটি টাকার উপর যায় নি। দৈনিক গড়ে ৫-৬ কোটি টাকা। কিন্তু হাসিনা জুন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর হতে এর গড় লেনদেনই হয়ে গেল ৩০ কোটি টাকার উপর। শেয়ার সূচক ১২০০-১৪০০ হয়ে যায়।
স্বভাবতই কৃত্রিম তথা কারসাজির মাধ্যমে প্রায় সব শেয়ারকেখ অতি মূল্যায়িত করা হয়। ফলে রাঘব বোয়ালরা ডিসেম্বর ১৯৯৬ সালে তাদের অতি মূল্যায়িত শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের গছিয়ে দিয়ে লুটে নেয় ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকা। আর শেয়ারের সূচকও হাজারের নীচে নেমে যায়। শেখ হাসিনার প্রথম আমলে শেয়ার বাজার আর চাঙ্গা হয় নি। গতি ছিল অত্যন্ত মন্থর।
১৯৯৭ সালে সালমান এফ, রহমান সহ রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে এমন দূর্বল মামলা করা হয় যে আজ পর্যন্ত '৯৬ এর কেলেংকারীর ঘটনায় না পারে দোষীদের শাস্তি দিতে না পারে নতুন মামলা দিতে। তারপর ২০০১-০৬ সালে মরহুম অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের আন্তরিক-সততা, দক্ষতা ও কঠোরতার জন্য দেশের শেয়ার বাজার আবার প্রাণ ফিরে পায়। তবে এবার আর '৯৬এর মত পাগলা ঘোড়া নয়। বরং ন্যায্য ভাবে শেয়ারের মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। এই বিষয়ে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন ছিল অত্যন্ত কঠোর কোন শেয়ারের দাম এক দিনে ১০% বৃদ্ধি হলে সাথে সাথে তার লেনদেনতো বন্ধই তাকে কালো তালিকা ভূক্ত করা হত।
যার ফলে ২০০৬ সাল নাগাৎ ডিএসইর সূচক দাড়ায় ২০০০ এরও বেশী। এটা ফখরুদ্দিনের সময় শেষে ২৭০০ হয়। এর পর হাসিনার বালমহাজোট ক্ষমতায় এসে একে ২০১০ সালের নভেম্বরে এসে ৮৫০০ এরও বেশীতে নিয়ে যায়। স্পষ্টতই সাইফুর রহমান প্রণিত ও পরে মির্জা আজিজের সময় চলতে থাকা কঠোর নিয়ম ভেঙে আবারও কারসাজি তথা '৯৬এর ক্যাসিনোর ষ্টাইল অনুসরণ করা হয়। দেখা গেল কোন যথাযথ অবস্থান তথা অস্তিত্ব নেই এমন ধরণের কোম্পানী উদয় হয়ে ১০ টাকার শেয়ার ২-৩ সপ্তাহের মধ্যেই ৫০০ টাকা দাম হয়।
প্রকৃতপক্ষে বেশীর ভাড় স্বাভাবিক কোম্পানীর লেনদেন ১০০% হতে ঐ একই সময়ে ৩০-৪০% বৃদ্ধি হয়ে ১৩০-১৪০% হতে পারে সেখানে কিভাবে ৫০০০% হয়? স্পষ্টতই ডিজিটাল বাটপারি। ফলাফল যা হওয়ার তাই হল! ৩৩ লক্ষ সাধারণ ব্যাবসায়ীর দেড় হতে ২ লক্ষ কোটি টাকা হাওয়া হয়ে গেল। এটা কিভাবে হল তার কিছু তথ্য নির্ভর প্রমাণ দেখি;
শেয়ারবাজারে চাঙাভাব শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। তবে ওই সরকারের দুই বছরে বাজারের সূচক বাড়ে স্বাভাবিক গতিতে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল বাজারের উল্লম্ফন।
এ সময় সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় বিভিন্ন মহল রীতিমতো আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে এসেছে লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে। রাতারাতি ধনী হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় এসব বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজারকে বিকল্প কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র হিসেবে ধরে নেয়। আর এ সুযোগটাই নেয় কারসাজিকারীরা। এর অনিবার্য পরিণতি হিসেবে বাজারে নামে বড় ধস।
তিন বছরে শেয়ারবাজার নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
উত্থানের সময়েও তাঁরা ছিলেন ব্যর্থ, পতনেও ছিলেন ব্যর্থ। ফলে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
Click This Link
শেষ লাইনে দেখা যায় হাসিনা এমন ভাব নিছে যে সে ২০০৯ হতে ২০১০ পর্যন্ত কি হইছে কিছুই জানে না। মানে হাসিনা আসমান থেকে পতিত হইছে। এর আগে অথর্ব মন্ত্রী কিবরিয়ার ঘাড়ে বন্দুক রাখছে যে ব্যাটা বলছিল "আমি শেয়ার বাজারের কিছুই বুঝি না"।
এই বারও হাসিনা এমন ভাব ধরছে যে তার অগোচরে শেয়ার বাজারে ভূমিকম্প হইছে। আর ফেসবুকে এক ভাই বলল যে প্রআলোও হাসিনারে এই বিষয়ে এত তোয়াজ যে শেয়ার বাজার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ আলোচনায় বসবেন, এখন আলোচনা চলছে এবং পরিশেষে শেয়ার বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু যে টাকা একবার লুট হয়ে গেছে সেটা কি আর ফিরত আসে? উপরন্ত মুহিত সাধারণ শেয়ার বিনিয়োগকারীদের ফটকাবাজ, গন্ডগোল সৃষ্টিকারী বলছে। আর শেখ হাসিনা আরো কয়েক ডিগ্রী বেশী, যে জোট আমলে শেয়ার বাজার বাড়েও না কমেও না, কিন্তু আমার আমলে বাড়ে। তার মানে সাধারণ মানুষকে গাধা বানিয়ে মূলা ঝুলানো হয়।
তারপর তাকে লুট করে এমন ভাব যে আমি ২৭০০ হতে ৮৫০০ করছি এখন ৫০০০ এর নীচে সূচক নামতেই পারে। এরই নাম একেতো চুরি তার উপর শিনাজুড়ি! সেই ১৯৭৪ সালে রিলিফের সাড়ে ৭ কোটি কম্বল চুরি হতে এই ধরনের ঘটনা চলে আসছে। কারণ তারা স্বাধীনতা স্বপক্ষের শক্তি!
আজকে দেশে দফায় দফায় জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ঘটানো হয়েছে! কারণ বলা হচ্ছে যে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়ছে এবং রাষ্ট্রের ভর্তূকি কমাতে হবে। এটা সত্য কথা। কিন্তু মহাজোট সরকারের এই ৩ বছরে দেশের জ্বালানি খাত, বিদ্যুত খাত, যোগাযোগ, শিল্পায়ন, টেলিযোগাযোগ, ব্যাবসা-বাণিজ্য কি উদ্যোগ নেওয়া এবং সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে কি ব্যায় হয়েছে এবং সেই তুলনায় কি রিটার্ন বা প্রতিফল পাচ্ছি সেটার কোন যথাযথ হিসাব পাচ্ছি কি? দেশের গ্যাস ক্ষেত্রকে বাপেক্সের চেয়ে বিদেশী কোম্পানী গুলোর কাছে ৮০% মালিকানা দিয়ে লিজ দিচ্ছে।
কয়লা ক্ষেত্রেও কোন নীতিমালাই চূড়ান্ত করতে পারে নি। ফলে বিদ্যুত খাতের স্বাভাবিক(গ্যাস-কয়লা ভিত্তিক) উৎপাদন বাড়ে নি। ফলে বিদ্যুত সংকট মোকাবেলা করতে গিয়ে ডিজেল ভিত্তিক কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে যেয়ে গত প্রায় দেড় বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তূকি দিতে হয়েছে। যোগাযোগ খাতে ২/৩ গুণ বেশী ব্যায়ে নতুন কিছু রাস্তা-সেতু এবং বাকী বেশীর ভাগ রাস্তা-সেতু মেরামত করলেও তা অল্প দিনেই ভেঙে অথবা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। তারপর ঘরে ঘরে চাকুরী দেওয়া ও দেশের সার্বিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা, বিদেশী বিনিয়োগ পরিমাণ বাড়ানো এবং সর্বপরি বিদেশে শ্রমিক প্রেরণও বৃদ্ধি করতে সম্পূর্ণ রুপে ব্যার্থ।
যার কারণে রপ্তানি আয় খানিকটা বৃদ্ধি পেলেও আভ্যন্তরীন ব্যায় বৃদ্ধি ও এফ.ডি.আই ও রেমিটেন্স আয় না হওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রা তথা ডলারের রিজার্ভ কমছে। কিছুদিন আগেও যেখানে ১১০০ কোটি ডলারের বেশী ছিল এখন তা ৯৫০ কোটিতে এসে দাড়িয়েছে। এক বছর আগে ডলার বিনিময় হার ৬৮ টাকা ছিল এখন সেটা ৮১ টাকা হয়েছে। ফলে আমদানী ব্যায় বৃদ্ধি পেল। তো হাসিনার বালমহাজোটের তুলনায় বলতে হয় ২০০১ এ ৯/১১ ও আফগানিস্তান এবং ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের জন্য ২২ মার্কিন ডলার(৯/১১এর পূর্বে) হতে ২০০৬ সাল নাগাৎ ৭৫-৮০ মার্কিন ডলার হয়।
তারপরেও খালেদার দ্বিতীয় তথা জোট আমলের শেষে ডিজেলের মূল্য দাড়ায় ৩৩ টাকা/লিটার। স্পষ্টতই জোট সরকার বিশাল পরিমাণ ভর্তূকি দিতে পেরেছিল। তাতে তার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যায় নি বরং হাসিনার প্রথম আমলে রেখে যাওয়া ৯৮ কোটি ডলার হতে ২০০৬ সালে তা ৪৫০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। ২০০১-০৬ মেয়াদে র্দূনীতি অবশ্যই ছিল কিন্তু সেটা হরিলুট নয়। কারণ পৃথিবীর তৃতীয় বিশ্বের কোন দেশই র্দূনীতি মুক্ত নয়।
জোট আমলে বিদ্যুত ঘাটতি কম ছিল বলে প্রচুর শিল্পায়ন, ব্যাবসা-বাণিজ্য, আভ্যন্তরীন ও বিদেশে যথেষ্ঠ কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। আফগান-ইরাক যুদ্ধের পরবর্তী বিশ্ব অবস্থায় দেশের দ্রব্যমূল্য কিছু বাড়লেও সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল। দেশের আভ্যন্তরীন ট্যাক্স-খাজনা সংগ্রহ, রপ্তানী, রেমিটেন্স ও এফ.ডি.আই সন্তোষজনক থাকায় সরকারকে বেসরকারী ব্যাংক হতেতো দূর রাষ্ট্রীয় ব্যাংক হতেও পাগলের মত ঋণ নিতে হয় নি। তখন ব্যাবসায়ী সহ বিভিন্ন মানুষ ও গোষ্ঠী চাহিদা মাফিক ঋণ পেত। আর এখন মহাজোটের সময় ১০০% ঋণ আবেদন করে ৩০-৩৫% এর বেশী পাওয়া যায় না।
বিভিন্ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে একজনকে ১০০% দিতে গেলে বাকীদের ঋণই দিতে পারব না। এখন বিশ্বব্যাংক ও আই.এম.এফকে কঠিন শর্ত মেনে নতুন ঋণও পাচ্ছে না হাসিনার মহাজোট সরকার। সর্ব-র্দূনীতিগ্রস্থ মহাজোট ঋণ নিতে নিতে এমন অবস্থায় যে সে দেশের কোন খাতেই অগ্রগতি করতে পারছে না। এর জন্যই সিপিডির দেবপ্রিয় সরকার বলছেন সরকার ঋণ নেয় নিক কিন্তু এই ঋণের টাকা কোথায় যাচ্ছে?
২০০৯ সালে শুরুতে ক্ষমতায় এসেই কিভাবে লুটেপুটে তথা হরিলুট করবে সেই চিন্তায় জ্বালানি, বিদ্যুত, যোগাযোগ, শিল্প, ব্যাবসা-বাণিজ্য কোন খাতেই অগ্রগতি অর্জন করতে পারে নি। যেখানে বাপেক্সকে দিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে গ্যাস উত্তোলনের দায়িত্ব ২০০৯তেই দিতে পারত, তা না দিয়ে মানুষের র্দূভোগ বাড়িয়ে নিজেদের অবৈধ আয়ের জন্য উচ্চমূল্যে বিদেশীদের কাছে গ্যাস ক্ষেত্র লিজ দিচ্ছে।
তথা দেশের স্বার্থ জঞ্জালি দিচ্ছে। আজকে তেল, গ্যাস, কয়লা ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এর প্রতিবাদে আন্দোলন করলে তাদেরকে ঠ্যাঙ্গানো হচ্ছে;
Click This Link
একদিকে দেশের ডলার রিজার্ভ কমে আসছে, আমদানী সহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে তার উপর বাপক্সেকে গ্যাস উঠাতে না দিয়ে উচ্চমূল্যে তথা ডলারে গ্যাস কিনার ষড়যন্ত্রে সফল। একদিকে সীমাহীন র্দূনীতি, দেউলিয়া হয়ে এর বোঝা জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়া তার উপর সরকারের অন্যায়-র্দূনীতির প্রতিবাদকারী তথা বিরোধী দল সমূহকে কঠোর ভাবে পেটানো ও দমন করা হচ্ছে। আর যাই হৌক বিরোধী পক্ষ এমনকি নিজ দলের সৎ নেতা-কর্মীদের হত্যা-গুম, নির্যাতন-মামলা ও অহেতুক পুলিশী হয়রাণি করতে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল। প্রশাসনতো বটেই বিচার বিভাগও হাসিনার কথায় উঠে বসে।
তাই হাসিনা বলতে সাহস পাচ্ছে যে বঙ্গবন্ধুর সময় দেশ ডলার ছাড়া চলতে পারলে সেও বাপের বেটী বাংলাদেশকে চালাতে পারবে। দ্রব্যমূল্যর বৃদ্ধি ঘটলেও দেশের মানুষের নাকি ৩গুণ আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের মানুষ নাকি এখন ৪ বেলা পেট ভরে খেতে পারছে। অবশ্য হাসিনার পক্ষে মিথ্যা কথা তথা খাড়ার উপর পল্টি দেওয়া নতুন কিছু নয় সেই ১৯৮৬ সালের জাতীয় বেঈমান এরপর ২০০৮ সালে ১০ টাকা/কেজি চাল খাওয়ানোর ওয়াদা করে সেটাকে বেমালুম অস্বীকার করা অত্যন্ত সহজ;
http://www.youtube.com/watch?v=QY5mLQwYoiM
তাই সে আজকে ৩৩লক্ষ শেয়ার ব্যাবসায়ীর সাথে মস্করা, দ্রব্যমূল্য ও ব্যায়ের ভারে জর্জরিত মানুষের সাথে তামাশা করেই চলছে। এর মূলে একটাই ভিত্তি যে তার পিতা মুজিবের সীমাহনী সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন এবং হাল আমলে হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ২০২১ গড়ার আকাশ-কুসুম উচ্চা ভিলাস।
হাসিনার এই মিথ্যা-বাস্তবতা বিবর্জিত চিন্তা-স্বপ্ন যে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সামঞ্জস্যহীন এটা আওয়ামী-বাকশালী গোষ্ঠীতো মুখ ফুটে বলবেই না বরং বাংলাদেশের তথাকথিত নিরপেক্ষতার ভানকারী কিছু দালাল বুদ্ধিজীবি মতিউর, মাহফুজ, মিজান, আনিসুল হক গংও এই বিষয়ে যথাযথ সমালোচনা করতে নারাজ। কিছু হলেই মহাজোট সরকারের পাশাপাশি বিগত জোট সরকারের অহেতুক সমালোচনা করে। আর বিগত জোট সরকারের বেশীর ভাগ ভাল কাজ আড়াল করে রাখে। যাও আনে নিতান্ত ঠেকায় পড়ে। যেমন শেয়ার বাজার নিয়ে প্রআলো আলীগের সমালোচনা করলেও ২০০১-০৬ মেয়াদে জোট সরকার যে শেয়ার বাজারের ভেঙে যাওয়া কোমড় ঠিক করে এখানে এর স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনে সেটা পুরোপুরি চেপে গেল।
তাদের উদ্দেশ্য হল হাসিনা ও আলীগ যতই খারাপ কাজ করুক এর বিপরীতে বিএনপির কোন ভাল কাজ তারা তুলে ধরবেন না। তাতে জনগণের সেন্টিমেন্ট ও নৈতিক সমর্থন খালেদা জিয়ার প্রতি বৃদ্ধি পেলে হাসিনার জন্য ক্ষতিকর। অথচ দেশের জন্য মঙ্গল। ১৯৭২-৭৫, ১৯৯৬-২০০১ এবং বর্তমানে আওয়ামী-বাকশালী গং দেশকে দেউলিয়া করার উপক্রম আর বিরোধী দলকে দমন ছাড়া জাতিকে কোন আশাব্যাঞ্জক নির্ভরতা দিতে পারে নি। কিন্তু স্রেফ মুজিব-হাসিনার স্বপ্ন তথা রুপকথার আলাদ্দিনের চেরাগ মার্কা গপ্প দিয়ে স্বাধীনতার স্বপক্ষ নামক ভন্ডামীকে টিকিয়ে রেখেছে।
তাই দেশের সাধারণ মানুষের সীমাহীন কষ্ট হতে থাকলেও হাসিনার স্বপ্ন দেখারও শেষ হয় না এবং সে নিত্য নতুন চাণক্য কথা ও আশারবাণী শুনিয়েই চলে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।