মাঝরাতে আকাশটা ঝকঝক করছিল তারার মেলায়। গাড় অন্ধকার চারপাশে তাই বুঝি আকর্ষণটা আরো রহস্যময় হয়ে উঠেছিল। গাড়ির উষ্ণতা থেকে বেড়িয়ে আকাশে দৃষ্টি ফেলে দাঁড়িয়ে থাকলাম। কত বিচিত্র রঙের খেলা মহাশূন্য জুড়ে,কি আছে ঐ অজানায় সাজানো হীরকদ্যুতির মেলায়। কবে জানা হবে অযুত নক্ষত্র তারকারাজীর কথা।
দূর.. সে তো! শত আলোক বর্ষ দূরের জগৎ!
জানা কি হয়েছে পাশের মানুষটির মনও আজও অবিকল ঠিকঠাক গড়নে, যে থাকে পৃথিবীর পরে, ধূলির ভুবনে পাশে পাশে কাছে কাছে, মনে মনে। তবু আমাকে রহস্যময়তা ডাকে আমি নিমগ্ন হতে থাকি বিশাল জগতের বিদ্যাপীঠে আর এক সময় টের পাই বাস্তবতা বড় কঠিন আমার নাশারন্ধ্র বেয়ে উঠে আসে হীম বাতাসের ঢেউ, মস্তিস্কের কোষে কোষে ছড়ায় শীতল যন্ত্রনা। রোমকূপে প্রগাঢ় অনুভব শৈতপ্রবাহের। কনকনে শীতল অনুভব অসাড় করে তুলে হাত পা যদিও চেতনা জগৎ সবল, আহরণ করতে চায় অচেনার সকল স্বাদ অথচ চাদরের মতন জড়িয়ে যায় আমার শরীরে ঠাণ্ডা স্রোত, কামড়ে ধরে পিঠ, কুঁড়েকুঁড়ে খেতে চায় আমার মেরুদণ্ড। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রহস্য জগতের সুর ভাজতে গিয়ে আমার নিজেরই রহস্যময়তার অন্য জগতে হারিয়ে যাওয়ার দরজা খুলে যাচ্ছে, এখনও সময় হয়নি বলে, আমি তার দিকে পিছন ফিরে উত্তপ্ত ঘরের দরজা খুলে ঢুকে গেলাম....ভাবনাকে বুকের কপাটে জড়িয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।