শাফিক আফতাব---------------------- আমি ছুঁইলাম আস্ত একজন মানুষের মুখ ক্ষণিকেই দেখি সেটা বান্দরের মুখ হয়ে গেলো আমি ছুঁইলাম রমণীর হাত, দেখি সেটা পশারিণীর পুরুষালি বাহু। আমি তোমাকে ভালোবাসলাম, অতিদ্রুত সেটা ঘৃণা থুথু হয়ে গেলো। আমি কি জুয়েল আইচ ? না জ্বিন-পরি ভরে করেছে আমার উপর ? কোনো কর্তাবাবা ? না পীর-আউলিয়া ? না আমি নিজেই আউলিয়া হয়ে গেলাম ? প্রভু বিশেষ বর দিলো আমাকে ? তা না হলে মানুষ কেনো বান্দর হবে? রূপবতী প্রেয়সী কেনো হবে পশারিণীর আদল ? কুকুরের গলে কেনো হবে মানুষের মালা বদল ? আমি অতিতীক্ষ্ন তীব্র দৃষ্টিতে অনুপুঙ্খ তাকাই তবু আমার দিকভ্রম হয়, উত্তর হয় দক্ষিণ, নয়তো দক্ষিণ উত্তর কিংবা পূর্ব পশ্চিম হয়, নয়তো পশ্চিম হয় পূর্ব। স্বর্ণগোধিকা হয় রূপবতী ষোড়শি, তাই দেখে ফুল্লরা ক্ষেপে ক্ষেপে সাড়া । তাই দেখে দেবি মোর চলে যায়, আমি হই দিশেহারা। আমি ছুঁই ভালোবাসার মুখ, নিমিষেই রুক্ষ কর্কশ মন্দবাসা হয়ে যায় আমি ছুঁই মানবতার হাত, নিমিষেই হয়ে যায় পাশবিকতার করাল থাবা আমি ছুঁই করুণার মুখ, নিমিষেই তা হিংসুটে হয়ে যায় আমি ছুঁই গোলাপ কলি, পরক্ষণেই হয়ে যায় ধুতরার ফুল। আমি কি হয়ে গেলাম যাদুর গুঁটি ? না মানুষই আমাকে ম্যাজিক দেখায় ? আমারি কি ভ্রম হচ্ছে ? না মানুষ গুলিই আজ বান্দরের সমার্থক শব্দ ? ০৬.০৭.২০১৩
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।