স্টেফি গ্রাফের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছিল জার্মানির সাবিনা লিসিকিকে। প্রথমবারের মতো উইম্বলডনের ফাইনালে উঠে জার্মানদের উইম্বলডন হতাশা ঘোচানোরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সী লিসিকি। কিন্তু চূড়ান্ত লড়াইয়ে শেষ হাসিটা হাসতে পারলেন না এই জার্মান তারকা। ফাইনালে ৬-১, ৬-৪ গেমের সহজ জয় দিয়ে প্রথমবারের মতো উইম্বলডন শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন মারিওন বারতোলি।
১৯৯৯ সালে গ্রাফের হাত ধরে শেষবারের মতো উইম্বলডন শিরোপাটি গিয়েছিল জার্মানিতে।
এবার জার্মানির ১৪ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আশা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু অল ইংল্যান্ড ক্লাবে আজ উড়ল ফ্রান্সের পতাকা। শেষ হাসিটা হাসলেন ফরাসি তারকা বারতোলি। সাত বছর পর আবারও কোনো ফরাসি খেলোয়াড়ের হাতে উঠল উইম্বলডনের শিরোপা। ২০০৬ সালে শেষবারের মতো উইম্বলডন জিতেছিলেন ফ্রান্সের অ্যামেলি মরেসমো।
প্রথম সেটে ৬-১ ব্যবধানে হারের পর আর খেলায় ফিরতে পারেননি লিসিকি। দ্বিতীয় সেটের প্রথমদিকেও আধিপত্য ধরে রেখেছিলেন বারতোলি। এগিয়ে গিয়েছিলেন ৫-১ গেমে। এরপর লড়াইয়ে ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালান লিসিকি। একসময় স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৫-৩।
কিন্তু এরপর লিসিকিকে আর কোনো সুযোগ দেননি বারতোলি। ৬-৪ গেমের জয় দিয়ে তিনিই হেসেছেন শেষ হাসিটা।
২০০০ সালে পেশাদারি টেনিসে পা রেখেছিলেন উইম্বলডনের নতুন রানি বারতোলি। ২০০৭ সালের সেমিফাইনালে জাস্টিন হেনিনকে হারিয়ে গিয়েছিলেন ফাইনাল পর্যন্ত। কিন্তু সেবার ভেনাস উইলিয়ামসের কাছে হেরে হতাশ হতে হয়েছিল বারতোলিকে।
— রয়টার্স।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।