***** অতি-ভক্তি যেমন চোরের লক্ষণ, অতি-অভক্তি তেমনি স্বেচ্ছাচারীর লক্ষণ। সাধারণ অর্থে ধার্মিকেরা লক্ষণধারী চোর বা স্বেচ্ছাচারীকে সযত্নে এড়িয়ে চলতে বাধ্য এজন্যেই যে, সকল সামাজিক ধার্মিকেরা শান্তিকামী। ধার্মিকেরা জানে যে তারা নিজেরাই নির্ভুল নয়, শত সতর্কতার মধ্যেও ভুল হয়ে যায়। নিজেদের ভুলের সংশোধনে ধার্মিকেরা ততখানি ব্যস্ত, যতখানি ব্যস্ত থাকলে পরে অন্যদের ছিদ্রান্বেষণের জন্যে বাড়তি সময় পাওয়া যায় না। যারা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীকেও বিজ্ঞান মনে করি এবং বিজ্ঞান না-জেনেও নিজেদেরকে বিজ্ঞানমনস্ক হিসেবে দাবি করি, তারা যেমন ধর্মকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চাই, --তেমনি যারা নিজের ভাষায় ধর্মগ্রন্থগুলো না-পড়ে কিছু মহাযুক্তিবানের ব্যাখ্যাকেই ধর্ম হিসেবে অন্ধভাবে অনুসরণ করে করে নিজেদেরকে ধর্মরক্ষার ইজারাদার এবং স্বর্গের একচ্ছত্র দাবিদার ভাবি এবং সাধারণ ধার্মিকদেরকেই জাহান্নামের দিকে ধাবমান মনে করি, --এই দুই ধরণের মহাপণ্ডিত আমরা সুযোগ পেলেই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িতে লিপ্ত হতে পছন্দ করি। আমরা যখন অর্থহীন তর্কে বা দ্বন্দ্বে মেতে চূড়ান্ত অশ্লীলতায় পৌঁছে যাই, তখনো আমাদেরকে থামানোর জন্যে ধার্মিকেরা এগিয়ে আসতে পারেন না সম্ভবত এ জন্যেই যে, সামাজিক শান্তিকে সামনে রেখে আত্মরক্ষার স্বার্থেই ধার্মিকেরা নিজেদের ভুলের প্রায়শ্চিত্ততেই লিপ্ত থাকতে বাধ্য হন। নিশ্চয়ই ফ্যাসাদি আমরা আমাদের অপদস্থকর পরিণতির জন্যে সভ্য সাধরণ শান্তিধর্মী মানুষগুলোকে কখনোই দায়ী বলতে পারি না। রঙ্গপুর : ২৬/১২/২০১১ খ্রি: করণিক : আখতার ২৩৯
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।