"অ্যাবসার্ড"
বিখ্যাত পরিচালক রোমান পোলানস্কি যে ফিল্ম দিয়ে পূর্ণ পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সেটা হল, Knife in the Water
১৯৬২ সালে পোলিশ ভাষায় নির্মিত ড্রামা জেনারের এই মুভিটি পোলানস্কির নিজের দেশে বানানো একমাত্র মুভি। সিনেমার দৈর্ঘ্য ৯৪ মিনিট।
প্রথম ছবি দিয়েই বাজিমাত,
বুখারেস্ত ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ গোল্ডেন উলফ ১৯৬৩ এবং বেস্ট ফরেন ল্যাংগুয়েজ ক্যাটাগরিতে অস্কার নমিনেশন ১৯৬৩
মজার ব্যাপার হল তার এটা খুব শখের ফিল্ম ছিল। একে পরিচালক হিসেবে প্রথম সিনেমা। তার উপর আবার একটা চরিত্র নিজে অভিনয় ও করার কথা ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুভাকাঙ্ক্ষী দের পরামর্শে নিজে আর অভিনয় করেননি। সবাই তাকে বলসিল," আরে মিয়া তুমি ওই চরিত্রে অভিনয় করার মত স্মার্ট না। "
যাইহোক, সিনেমাতে চরিত্র আসে মোটে ৩ টা। আন্দ্রে ছাড়া বাকি দুইজন নতুন অভিনেতা অভিনেত্রী। স্বামী আন্দ্রে (Leon Niemczyk) স্ত্রী ক্রিসটিনা (Jolanta Umecka) এবং একজন তরুন ছাত্র।
তরুনের কোন নাম সিনেমায় দেখানো হয়নি। এই চরিত্রে অভিনয় করবার খায়েশ ছিল পোলানস্কির, তবে অভিনয় করসে Zygmunt Malanowicz
তবে এই অভিনেতার কণ্ঠ চরিত্রের সাথে না মানানোর কারনে, পরে ডাবিং করা হইসে, ডাবিঙের কণ্ঠ পোলানস্কির
এবার একটু কাহিনীর দিকে যাই।
এক স্পোর্টস রিপোর্টার তার স্ত্রীকে নিয়ে ছুটি কাটাতে যাচ্ছে। রাস্তায় লিফট দিতে গিয়ে পরিচয় ঘটে এক তরুনের সাথে। সে তাদের সাথে লেক পর্যন্ত যায়।
বিদায় নেবার সময় আন্দ্রে তাকে তাদের সাথে বোটে করে ঘুরতে যাবার অফার দিলে তরুন রাজী হয়ে যায়।
কিন্তু,যখন আন্দ্রে আবিষ্কার করে তরুনটি তার স্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে তখন ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে এক ধরনের ঠাণ্ডা যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। সিনেমার মূল থিম এইটাই।
তরুন একটি ছুরি নিয়ে খেলা করে সবসময়। আন্দ্রে একটু ভয় অনুভব করে।
আবার সুযোগ পেলে আন্দ্রে ও ছাড়ে না শিক্ষা দিতে। সবই চলে ক্রিসটিনার চোখের আড়ালে।
এক পর্যায়ে ক্রিস্টিনা যখন এই গান গায়-
say no more, no more
dont look that way, let me go
we are out of words
and moon...and stars.....
there's no tenderness in us
dont lie anymore, dont beg
u know threr's nothing left....
though life is empty,
u dont need me
joy has faded, and our love gone sour
তখন তরুনটি বুজতে পারে, "ডাল মে কুচ কালা হ্যায়"
এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ছুরি নিয়ে মল্লযুদ্ধ হলে, ছুরিটি পানিতে পরে যায়, মানে নাইফ ইন দি ওয়াটার আর কি। ছুরির পেছন পেছন সাতার না জানা?? ছেলেটিও পরে যায় পানিতে ঘুষি খেয়ে।
ছেলেটা কি বেঁচে থাকে? মেয়েটা আসলে কাকে ভালবাসে?আন্দ্রের কি হয় শেষ পর্যন্ত?জানতে হলে দেখে নিবেন
মুভিটি সম্পর্কে ২ টা ইনফো দিয়ে শেষ করবো।
শুটিং করতে গিয়ে ক্যামেরাম্যান কে বোটের মাস্তুলে বেঁধে দেয়া হইসিল। সেখানে উঠে দৃশ্য ধারনের সময় পোলানস্কির সাথে রাগারাগি করে, হাত থেকে ক্যামেরা পানিতে পড়ে যায়। ওই ক্যামেরা আর পাওয়া যায়নি। এখনো আছে ওই লেকের তলায়।
যে বোট টা ব্যাবহার করা হইসে, সেটা নাকি হিটলারের দোস্ত হারমান গেরিং এর বোট ছিল।
এটাতে করে সে ছুটি কাটাতে লেকে যাইত। এটার আসল নাম দি শার্ক।
ডাউনলোড লিংক
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।