আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চিত্রনায়ক সোহেল রানা ,ভারতীয় ছবি প্রতিরোধে আদালত আমাদের হাত পা বেঁধে দিয়েছেন

হাসি- নার বাপের দেশে ভারতিও ছবি চলবে না ?? ‘ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তা করেছে বলে বড়ভাইসুলভ আচরণ করবে, ছড়ি ঘোরাবে তা হতে দেয়া হবে না। ’ ভারতীয় সিনেমার বাংলাদেশে প্রদর্শনী প্রসঙ্গ ধরে এমন মন্তব্য করেছেন নায়ক ও চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সভাপতি সোহেল রানা। গত সন্ধ্যায় তিনি নয়া দিগন্তকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সোহেল রানা আরো বলেন, ‘ওয়ান ওয়ে কোনো কিছুই ভালো নয়’। বাংলাদেশে ভারতীয় ছবি মুক্তির চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। যারা ভারতীয় ছবি এনেছেন, তারা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশ অমান্য করেছেন।

তাকে অসম্মান করেছেন। ’ নয়া দিগন্ত : বাংলাদেশের সিনেমা হলে ভারতীয় ছবি দেখানোর বিষয়কে কিভাবে দেখছেন? সোহেল রানা : হাইকোর্টের কাছ থেকে নির্দেশ এনে আমাদের প্রতিবাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করা হয়েছে, হাত-পা বেঁধে রেখেছে। কিন' এটি বেশি দিন রাখা যাবে না। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়ায় আমরা এবার আন্দোলন করতে পারিনি। এ কথা সত্যি, যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশ অমান্য করে বাংলাদেশের সিনেমা হলে ভারতীয় চলচ্চিত্র দেখানোর ঔদ্ধত্য দেখানোর ব্যবস'া করেছে, তাদের ছাড় দেয়ার কোনো অবকাশ নেই।

নয়া দিগন্ত : সরকারই অনুমতি দিয়েছে? সোহেল রানা : প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় ছবি আমদানি করা হবে না বলে বলেছিলেন, এরপরও কিভাবে ভারতীয় ছবি এখানে এলো? এখানকার প্রশাসন আন্তরিক ছিল না বলেই এসেছে। এটি কোনোভাবেই আমরা মেনে নিতে পারি না। মানার মতো বিষয়ও নয়। বিজয়ের মাসে যারা এমন কাজ করতে পারেন, যারা ভারতীয় ছবি এনে দেখাচ্ছেন, তারা কাজটি যে ভালো করেননি, সেটি নিশ্চয় দর্শকেরা বুঝিয়ে দেবেন। নয়া দিগন্ত : আমদানিকারকেরা বলেছেন, বাংলাদেশের ছবির অবস'া খারাপ, এখানে ভালো ছবি হচ্ছে না।

তাই তাদের হল চালাতে বাইরে থেকে ছবি আমদানি করতে হচ্ছে? সোহেল রানা : আচ্ছা ধরুন, এখানকার ছবি খারাপ, ভালো ছবি হচ্ছে না, এসবই ঠিক। তাই বলে কি আমরা আমদানি করব নাকি আমাদের ছবির ভালো করব। এটি তো বৃদ্ধ মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার মতো অবস'া। মা ৪০ বছর ধরে আমাকে খাওয়ালেন, বড় করলেন, এখন মা খাওয়াতে পারেন না, বৃদ্ধ হয়ে গেছেন, তাই তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবেন? আমাদের বৃদ্ধ মা হচ্ছে সরঞ্জাম। এসব সরঞ্জামের বয়স হয়ে গেছে।

কিন' ভালো মেশিন নিয়ে আসার দায়িত্ব তো সরকারের। সরকার কি তার সে দায়িত্ব পালন করেছে? নয়া দিগন্ত : কিন' আমদানিকারকেরা তো এ সুযোগটা নিতে চাইবেন? সোহেল রানা : এটি সুযোগ নয়, চক্রান্ত। বিজয়ের মাসে বাংলাদেশে ভারতীয় ছবি মুক্তির চক্রান্ত। এটিকে রুখে দিতে হবে। এবার তারা হাইকোর্ট দিয়ে ঠেকিয়েছেন।

সামনে আর এসব চলবে না। সরকারিভাবেও তারা সে রকম সহযোগিতা পাবে না বলেই আমার বিশ্বাস। নয়া দিগন্ত : দর্শকের কাছে আপনাদের আর্জিটা কী? সোহেল রানা : আমরা দর্শকদের বলেছি, দেশপ্রেম থাকলে, নিজের কৃষ্টি সংস্কৃতির প্রতি মমত্ববোধ থাকলে তারা ভারতীয় সিনেমা হলে গিয়ে দেখা বর্জন করুন। আপনি দেখেন, বঙ্গবন্ধু কিন' এমনি এমনি উপমহাদেশের সিনেমা আমদানি বন্ধ করেননি। পাক-ভারতের সাথে আমাদের সংস্কৃতির অনেক মিল।

কিন' পশ্চিমা দুনিয়ার সাথে সে রকম মিল নেই। তাই তিনি তামাম বিশ্বের ছবি আনতে বলেছেন, শুধু পাক-ভারত ছাড়া। কিন' এখন তার নির্দেশ উপেক্ষা করা হয়েছে। নয়া দিগন্ত : এখানে আসলে দোষটা কোথায়? সোহেল রানা : দোষটা হলো এখানে সব কিছু একতরফা হচ্ছে। বাংলাদেশের ছবি যাবে, ভারতের ছবি আসবে, বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল তারা দেখাবে, তাদের চ্যানেল আমরা দেখাব, এমন হলে সমস্যা নেই।

কিন' ভারত যেটি করে সেটি একপক্ষীয়। তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে বলে বড়ভাইসুলভ আচরণ করবে আর মাথার ওপর ছড়ি ঘোরাবে, তারা যা বলবে তা-ই আমাদের মানতে হবে, এটি হবে না। ‘ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তা করেছে বলে বড়ভাইসুলভ আচরণ করবে, ছড়ি ঘোরাবে তা হতে দেয়া হবে না। ’ ভারতীয় সিনেমার বাংলাদেশে প্রদর্শনী প্রসঙ্গ ধরে এমন মন্তব্য করেছেন নায়ক ও চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সভাপতি সোহেল রানা। গত সন্ধ্যায় তিনি নয়া দিগন্তকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সোহেল রানা আরো বলেন, ‘ওয়ান ওয়ে কোনো কিছুই ভালো নয়’।

বাংলাদেশে ভারতীয় ছবি মুক্তির চক্রান্ত রুখে দিতে হবে। যারা ভারতীয় ছবি এনেছেন, তারা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশ অমান্য করেছেন। তাকে অসম্মান করেছেন। ’ নয়া দিগন্ত : বাংলাদেশের সিনেমা হলে ভারতীয় ছবি দেখানোর বিষয়কে কিভাবে দেখছেন? সোহেল রানা : হাইকোর্টের কাছ থেকে নির্দেশ এনে আমাদের প্রতিবাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করা হয়েছে, হাত-পা বেঁধে রেখেছে। কিন' এটি বেশি দিন রাখা যাবে না।

হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়ায় আমরা এবার আন্দোলন করতে পারিনি। এ কথা সত্যি, যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশ অমান্য করে বাংলাদেশের সিনেমা হলে ভারতীয় চলচ্চিত্র দেখানোর ঔদ্ধত্য দেখানোর ব্যবস'া করেছে, তাদের ছাড় দেয়ার কোনো অবকাশ নেই। নয়া দিগন্ত : সরকারই অনুমতি দিয়েছে? সোহেল রানা : প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় ছবি আমদানি করা হবে না বলে বলেছিলেন, এরপরও কিভাবে ভারতীয় ছবি এখানে এলো? এখানকার প্রশাসন আন্তরিক ছিল না বলেই এসেছে। এটি কোনোভাবেই আমরা মেনে নিতে পারি না। মানার মতো বিষয়ও নয়।

বিজয়ের মাসে যারা এমন কাজ করতে পারেন, যারা ভারতীয় ছবি এনে দেখাচ্ছেন, তারা কাজটি যে ভালো করেননি, সেটি নিশ্চয় দর্শকেরা বুঝিয়ে দেবেন। নয়া দিগন্ত : আমদানিকারকেরা বলেছেন, বাংলাদেশের ছবির অবস'া খারাপ, এখানে ভালো ছবি হচ্ছে না। তাই তাদের হল চালাতে বাইরে থেকে ছবি আমদানি করতে হচ্ছে? সোহেল রানা : আচ্ছা ধরুন, এখানকার ছবি খারাপ, ভালো ছবি হচ্ছে না, এসবই ঠিক। তাই বলে কি আমরা আমদানি করব নাকি আমাদের ছবির ভালো করব। এটি তো বৃদ্ধ মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার মতো অবস'া।

মা ৪০ বছর ধরে আমাকে খাওয়ালেন, বড় করলেন, এখন মা খাওয়াতে পারেন না, বৃদ্ধ হয়ে গেছেন, তাই তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবেন? আমাদের বৃদ্ধ মা হচ্ছে সরঞ্জাম। এসব সরঞ্জামের বয়স হয়ে গেছে। কিন' ভালো মেশিন নিয়ে আসার দায়িত্ব তো সরকারের। সরকার কি তার সে দায়িত্ব পালন করেছে? নয়া দিগন্ত : কিন' আমদানিকারকেরা তো এ সুযোগটা নিতে চাইবেন? সোহেল রানা : এটি সুযোগ নয়, চক্রান্ত। বিজয়ের মাসে বাংলাদেশে ভারতীয় ছবি মুক্তির চক্রান্ত।

এটিকে রুখে দিতে হবে। এবার তারা হাইকোর্ট দিয়ে ঠেকিয়েছেন। সামনে আর এসব চলবে না। সরকারিভাবেও তারা সে রকম সহযোগিতা পাবে না বলেই আমার বিশ্বাস। নয়া দিগন্ত : দর্শকের কাছে আপনাদের আর্জিটা কী? সোহেল রানা : আমরা দর্শকদের বলেছি, দেশপ্রেম থাকলে, নিজের কৃষ্টি সংস্কৃতির প্রতি মমত্ববোধ থাকলে তারা ভারতীয় সিনেমা হলে গিয়ে দেখা বর্জন করুন।

আপনি দেখেন, বঙ্গবন্ধু কিন' এমনি এমনি উপমহাদেশের সিনেমা আমদানি বন্ধ করেননি। পাক-ভারতের সাথে আমাদের সংস্কৃতির অনেক মিল। কিন' পশ্চিমা দুনিয়ার সাথে সে রকম মিল নেই। তাই তিনি তামাম বিশ্বের ছবি আনতে বলেছেন, শুধু পাক-ভারত ছাড়া। কিন' এখন তার নির্দেশ উপেক্ষা করা হয়েছে।

নয়া দিগন্ত : এখানে আসলে দোষটা কোথায়? সোহেল রানা : দোষটা হলো এখানে সব কিছু একতরফা হচ্ছে। বাংলাদেশের ছবি যাবে, ভারতের ছবি আসবে, বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল তারা দেখাবে, তাদের চ্যানেল আমরা দেখাব, এমন হলে সমস্যা নেই। কিন' ভারত যেটি করে সেটি একপক্ষীয়। তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে বলে বড়ভাইসুলভ আচরণ করবে আর মাথার ওপর ছড়ি ঘোরাবে, তারা যা বলবে তা-ই আমাদের মানতে হবে, এটি হবে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।