৬১ টি জেলা পরিষদে দলীয় লোকদের প্রশাসক মনোনয়ন দিয়ে দলীয়করণের চরম নজির স্থাপন করেছে শেখ হাসিনার নেত্বৃতাধীন এই সরকার। শুধু তাই নয় এই দলীয় লোকদের অধীনে একটি বিতর্কিত নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে পূনাঙ্গ জেলা পরিষদ গঠনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।এই নির্বাচন হবে পাকিস্তান আমলের স্বৈরশাসক আইয়ুব খান কর্তৃক উদ্ভাবিত মৌলিক গণতান্ত্রিক পন্থায়। যতদূর জানা গেছে এই ৬১ জন প্রশাসকের মধ্যে বিরুধীদলের কেউ তো নয়-ই, এমনকি মহাজোটের অন্যান্য শরিক দলগুলোরও কেউ নেই। যেখানে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা জাতীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত থাকার কথা সেখানে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাদের সরাসরি হস্তক্ষেপে যে জেলা পরিষদ গঠিত হবে তা 'নিরোপেক্ষ হবে' এ কথা বিশ্বাস করা স্বয়ং শয়তানের পক্ষেও কঠিন। আর এই নির্বাচনে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের উদ্ভাবিত পদ্ধতির প্রয়োগ শেখ হাসিনার স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবেরই প্রকাশ। এই ঘটনাসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, ঢাকা'র বিভক্তি ইত্যাদি কর্মকান্ড প্রমাণ করে দেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চলছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।