আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হরতালে সহিংসতা কার স্বার্থে???

হরিষে বিষাদ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হরতাল রাজনৈতিক প্রতিবাদের ভাষা তথা রাজনৈতিক কর্মসূচি। অথচ হরতালের নামে যে সহিংসতা দেখা যায়, এতে সাধারন মানুষ আতঙ্কিত। এর আগে হরতালের নামে বিরোধীকর্মীরা রাজধানীতে বেশ কিছু গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল। এতে সম্পদের ক্ষতি হল, এর দায় কে নেবে? রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে এ ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না। ঈদের আগে হরতালের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছিলেন ঘরমুখো সাধারণ মানুষ।

অনেকে টিকিট কেটেও গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি। অন্যদিকে, হরতালের দোহাই দিয়ে নিত্যপণ্যের দামও বাড়িয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে হরতাল জনজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে, অর্থনীতির চাকা হয়ে পড়ে স্থবির। যে কর্মসূচি জনগণের দুর্ভোগ বাড়ায়, দেশের অর্থনীতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেয়, সে ধরনের কর্মসূচি কেন রাজনৈতিক দলগুলো নেবে? বক্তারা বলেন, হরতাল আহবান করা গণতান্ত্রিক অধিকার, আবার হরতাল পালন করা বা না করাও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। এই অধিকারকে কেন্দ্র করে যারা সহিংস ঘটনার জন্ম দিচ্ছে, তারা সাধারণ মানুষের বন্ধু হতে পারে না।

এরা দেশ ও জনগণের শত্রু। এদের এ অপতৎপরতা রুখতে হবে। সরকারকে টেনেহিঁচড়ে গদি থেকে নামানো তো গণতান্ত্রিক বিরোধীদলের কাজ নয়। হরতাল সন্ত্রাসের সহায়ক। কারণ হরতালে বিশৃংখলা সৃষ্টি হলে এর ছিদ্র দিয়ে সন্ত্রাস প্রবেশ করবে।

মানুষের মাথা ফাটিয়ে দেবে। গায়ে কেরোসিন ঢেলে মানুষ পুড়িয়ে মারবে। সন্ত্রাস শক্তিশালী হয়ে উঠলেই জঙ্গিবাদের আবির্ভাব ঘটবে। গণতন্ত্র যখন নতুন হাঁটতে শেখা শিশুর মতো হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগোতে চাচ্ছে, তখন সত্যিকার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত হবে সমবেতভাবে হরতালের মতো উস্কানিমূলক কর্মসূচি একযোগে পরিহার করা। সেই সঙ্গে জনগণেরও উচিত হবে হরতালকে দৃঢ়ভাবে না বলা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।