ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের গুলি, বোমাবাজির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ৬০ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন। গতকালের এ হরতালে সহিংসতায় অন্তত পাঁচজন নিহত এবং অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দগ্ধ বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হরতালের শুরুতেই লালমনিরহাটের পাটগ্রামে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নাসিরউদ্দিন (২২) নিহত হন। চট্টগ্রামে পিকেটারদের ধাওয়ায় টেম্পো উল্টে পোশাক তৈরি কারখানার কর্মকর্তা জাকির হোসেন এবং নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় সড়ক অবরোধের জন্য হরতালকারীদের কাটা গাছের নিচে চাপা পড়ে মারা যান আবদুস সালাম (৪০) নামের একজন পথচারী।
এ ঘটনায় নিহত সালামের শিশুসন্তানও গুরুতর আহত হয়। গাজীপুরে বাবার সামনে পিকেটারদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয় কিশোর বয়সী ছেলে। প্রতিবারের মতো এবারও নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছিল অবরুদ্ধ। ভোর থেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হয়নি।
রাজধানীতে দিনভর ঝটিকা মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণ ও অগি্নসংযোগসহ বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে। খিলগাঁওয়ে পিকেটাররা একটি পেট্রলপাম্পে বোমা হামলা চালায়। আদালত প্রাঙ্গণেও বোমা ফাটিয়েছে হরতালকারীরা। এসব ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সংসদ ভবন ও আশপাশ এলাকায় হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপির ১২ জন এমপি। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, ভিপি জয়নাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, হাফিজুর রহমান প্রমুখ এমপি উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি দাবি করেছে, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সারা দেশে দুজন নিহত ও এক হাজার ৮০০ জনের মতো আহত হয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি জানিয়ে বলেন, পাঁচ শতাধিক গ্রেফতার ও আট হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত চারজনকে সাজা দিয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে।
নিহত দুজনের একজন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভা ছাত্রদল নেতা নাসির উদ্দিন এবং ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা নাজমুল হাসান ভূঁইয়া রাজু। পুলিশের গুলি ও আওয়ামী লীগের হামলায় এই দুজন নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ বিএনপির।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ৬০ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন চলছে আজ। আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় তা শেষ হবে। হরতালের আগের দিন শনিবার রাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানাবহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনায় অগি্নদগ্ধ এক অটোরিকশার যাত্রী গতকাল হাসপাতালে মারা গেছেন।
হরতালের প্রথম দিন গতকাল রাজধানী ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দখলে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চৌকি বসিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। দু-একটি স্পর্শকাতর সড়ক ছাড়া বিভিন্ন সড়কে সকাল থেকেই অল্পসংখ্যক গাড়ি চলাচল শুরু করে। গণপরিবহন ছাড়াও স্বল্পসংখ্যক বিভিন্ন কাউন্টার সার্ভিসের পরিবহন চলতে দেখা গেছে দুপুর থেকে।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গাড়ির সংখ্যাও। রিকশা চলাচল ছিল স্বাভাবিক। এ ছাড়া রমনা, ধানমন্ডি, শাহবাগ, ফার্মগেট, শ্যামলী, মহাখালীসহ রাজধানীর প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের অবস্থানের পাশাপাশি বাড়তে থাকে জনসমাগম ও যানবাহন।
ট্রেন ও বিমান চলাচল স্বাভাবিক ছিল বলে রেলওয়ে ও বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সকালে সদরঘাট থেকে কয়েকটি লঞ্চ বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে।
তবে যাত্রীর সংখ্যা ছিল কম। নগরীর কাঁচাবাজারগুলো প্রতিদিনের মতোই খোলা ছিল। ব্যাংকে লেনদেন হয় প্রধান ফটক বন্ধ করে। বিকল্প পথে গ্রাহকরা যাতায়াত করেছেন। কঠোর নিরাপত্তা-বলয় ছিল সচিবালয়ে।
রাজধানীর অফিস-আদালতে যথারীতি কাজকর্ম হয়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস হয়নি। লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে।
নয়াপল্টন কার্যালয়ে প্রবেশে কড়াকড়ি : হরতালের প্রথম দিন নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করে পুলিশ। ভোর থেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
সকালেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অবশ্য আগের রাতেই দলের দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবীর রিজভী, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবদুস সালামসহ গুটিকয় নেতা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন। গতকাল দিনভর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়নি বের হতেও। কার্যালয়ের সামনে প্রিজন ভ্যান, জলকামান, রায়ট কার ও দুটি মাইক্রোবাস রাখা হয়।
সংসদ ভবনে মিছিল : প্রথম দিন সকালে সংসদ ভবন এলাকায় মিছিল করেন বিএনপির এমপিরা। সকাল ৯টার দিকে সংসদ ভবন ও আশপাশ এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল করেন বিএনপির ১২ জন এমপি। মিছিল শেষে পূর্ব টানেলে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন এমপিরা। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আওয়ামী লীগের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কঠোর সমালোচনা করেন তারা। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, 'সংবিধান পরিবর্তন করেছেন।
এ সংবিধান আবার পরিবর্তন করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পূরণ করুন। ' জয়ের কঠোর সমালোচনা করে সাংসদ শাম্মী আখতার বলেন, 'শেখ হাসিনা নিজে পারছেন না। তাই তার ছেলেকে ভাড়া করে এনেছেন। তিনি প্রলাপ বকছেন প্রতিদিন। মানুষ মারার পরিকল্পনা করছেন জয়।
' আসিফা আশরাফিও জয়ের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, 'জয়কে দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে না। '
রাজধানীতে বোমা, আগুন : ভোর ৬টা থেকে রাজধানীর বেশ কিছু স্থানে ঝটিকা মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ারে আগুন দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ৬০ ঘণ্টার হরতাল। এর পর থেকে দিনভর তা অব্যাহত থাকে রাজধানী জুড়ে।
মিরপুর : সকাল ৮টার দিকে বাঙ্লা কলেজের সামনে থেকে ছাত্রদলের প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মী ব্যানার নিয়ে একটি মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
পরে চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা পালিয়ে যায়। গাবতলী : সকাল পৌনে ৭টার দিকে গাবতলীর বালুর মাঠে মিছিল বের করে রাস্তায় টায়ারে আগুন দেন ছাত্রদলের কর্মীরা। এ সময় দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তেজগাঁও : ভোর সাড়ে ৬টার দিকে নাবিস্কোর পশ্চিম পাশে শিবিরের একটি দল হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে। পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে একটি ককটেল ফাটিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
এদিকে বিজয় সরণি এলাকায় উড়াল-সড়কের সামনে একই সময় একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খিলগাঁও এলকায় বেলা ২টায় পিকেটাররা একটি পেট্রলপাম্পে হামলা চালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি মুহসীন হলের ভেতর দুটি ককটেল ছুড়ে পালিয়ে যায়। ককটেল দুটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে হলের শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আদালতপাড়া : ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত প্রাঙ্গণে বেলা আড়াইটার দিকে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বিস্ফোরণের শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা জেলা জজ আদালতের সিঁড়ির নিচ থেকে দুটি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেগুনবাগিচা : রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাসে আগুন দেওয়ার সময় প্রেস (সাংবাদিক) লেখা মোটরসাইকেলসহ দুই পিকেটারকে আটক করে রমনা থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা পৌনে ২টায় সেগুনবাগিচার বটতলা এলাকায় সড়কে প্রেস লেখা মোটরসাইকেলযোগে দুজন একটি বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ এসে তাৎক্ষণিক তাদের আটক করে। বনানী : বেলা ২টার একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টাকালে দুই দুর্বৃত্তকে আটক করেছে বনানী থানা পুলিশ। যাত্রাবাড়ী : সকালে সেনাবাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে হরতাল সমর্থকরা। শিবিরের কর্মীরাই এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেন যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
সারা দেশের হরতালের খবর তুলে ধরেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিরা-
লালমনিরহাট : পাটগ্রামে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে এক ছাত্রদল কর্মী। ১৮ দলের মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই নিহত হন নাসির হোসেন (২২) নামের এক ছাত্রদল কর্মী। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও চারজন। এ ছাড়া সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে। নিহত নাসির হোসেন পাটগ্রাম পৌরসভার সোহাগপুর এলাকার মন্টু মিয়ার ছেলে।
তিনি ছাত্রদলের কর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন পাটগ্রাম পৌর বিএনপির সভাপতি ছালাউজ্জামান ওপেল। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটগ্রাম পৌরসভার ধরলা ব্রিজের কাছে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানয়, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা সোহাগপুর থেকে মিছিল বের করে। মিছিল থেকে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। মিছিলটি পাটগ্রাম শহরের দিকে রওনা হলে ধরলা ব্রিজ এলাকার অপর প্রান্তে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন।
ধরলা ব্রিজ এলাকায় ১৮ দলের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এতে পুলিশের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে পিকেটাররা। ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ১৮ দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশ। পরে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয় আওয়ামী লীগ। এ সময় পুলিশ ১৮ দলের মিছিল লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন নাসির হোসেন। এ ছাড়া পাথরের আঘাতে এসআই রমজান আলীসহ ১০ পুলিশ সদস্য এবং উভয় দলের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে চার বিএনপি কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৭০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১০ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। আশুলিয়া : আশুলিয়ায় প্রাণ দিতে হলো মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল (৩৫) নামের সিএনজি অটোরিকশার এক যাত্রীকে।
তিনি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরতাল শুরু আগে রবিবার রাত ১১টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আশুলিয়ার বীরশ্রেষ্ঠ আবদুর রউফ গেটের সামনে একটি সিএনজি অটোরিকশায় পেট্রল বোমা মেরে আগুন ধরিয়ে দেয় পিকেটাররা। এ সময় ঝলসে যায় চালক ও সিএনজিতে থাকা দুই যাত্রীর শরীর। গুরুতর অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে গতকাল সকাল ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলের মৃত্যু হয়।
চালক আসাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
চট্টগ্রাম : হরতাল চলাকালে মো. জাকির হোসেন (৩০) নামের এক গার্মেন্টস কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার মৃত্যু নিয়ে পৃথক মত পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, পিকাটারদের ধাওয়া খেয়ে টেম্পো উল্টে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। তবে চান্দগাঁও থানা ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ বলছে, সড়ক দুর্ঘটনায় টেম্পো উল্টে গেলে ওই গার্মেন্টস কর্মকর্তা মারা যান।
নিহত জাকির খুলশী থানার দামপাড়া ১ নম্বর গলির বাসিন্দা আলী হোসেনের ছেলে। তিনি কালুরঘাট সিঅ্যান্ডএ গ্রুপের কমার্শিয়াল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সকালে অফিসে যাওয়ার সময় নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন মৌলভি পুকুর পাড় এলাকার সড়কে পিকেটাররা ধাওয়া দিলে দাকে বহনকারী টেম্পোটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এ সময় গুরুতর আহত হন জাকির। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুর দেড়টায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নাটোর : টানা ৬০ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ কেটেছে গোটা জেলা। সব উপজেলায় পিকেটিংয়ের পাশাপাশি মিছিল করেছে বিএনপি, জামায়াত, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও শিবির। গুরুদাসপুরের নয়াবাজারে পিকেটারদের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ইসাহাক আলী মোল্লা (৪৫) নামের এক শ্রমিকের। তবে পুলিশ এ ঘটনা অস্বীকার করে বলেছে, ট্রাক থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে এর চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেছেন ইসাহাক। এ ছাড়া জেলা জাসদের যুগ্ম সম্পাদক ডি এম আলমগীরও আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পঐভা ৬টার দিকে ৩০-৪০ জনের একদল কৃষিশ্রমিক সিরাজগঞ্জ থেকে ট্রাকে গুরুদাসপুরের নয়াবাজার এলাকার হাটে যাচ্ছিলেন। এ সময় হরতাল-সমর্থকরা ট্রাকটিকে থাওয়া করে। ট্রাক থেকে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে এর চাকায় পিষ্ট হন ইসাহাক।
নেত্রকোনা : কেন্দুয়া উপজেলায় হরতালকারীদের কাটা গাছের চাপায় মৃত্যু হয়েছে আবদুস সালাম নামের এক পথচারীর। একই সময় তার শিশুপুত্র গুরুতর আহত হয়েছে।
ভোর ৬টার দিকে রামপুর-বৈখেরহাটি সড়কের রামনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে রামপুর-বৈখেরহাটি সড়কে হরতালকারীরা রাস্তা অবরোধের জন্য গাছ কাটছিলেন। এ সময় পথচারী সালাম তার ছেলেকে নিয়ে গাছের নিচ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি ডাল তাদের ওপর এসে পড়লে ঘটনাস্থলেই সালামের মৃত্যু হয়। তবে পুলিশ বলেছে, পিকেটাররা ওই গাছ কাটছিলেন কি না নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গাজীপুর : চান্দনা চৌরাস্তা ও সালনায় তিনটি গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মনিরুজ্জামান মনির (১৪) নামে এক শিশু দগ্ধ হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, শিশুটির শরীরের শতভাগ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খুলনা: সকালে মিছিলকারীরা পিকচার প্যালেস মোড়ে একটি ভবনের কাঁচ ভাংচুর করে। ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মিরা নগরীতে বিক্ষোভ মিছিলসহ সমাবেশ করেছে। জোটের সমন্বয়ক ও মহানগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। রাজশাহী: দুপুরে নগরীর রাজাহাতায় ছাত্রদল মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় এক কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর ১৮ দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিনুর নেতৃত্বে কাদিরগঞ্জে মিছিল হয়। চট্টগ্রাম : সকালে নগরীর চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ থানা এলাকায় পিকেটিংয়ের সময় চারজনকে আটক করে পুলিশ। সকাল সাতটায় কাজীর দেউড়ি মোড় থেকে একটি মিছিল বের হয়। এনায়েত বাজার, লাভ লেইন, মেহেদীবাগ, বায়েজিদ বোস্তামীসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। নগরীতে এক সমাবেশে আবদুলাহ আল নোমান বলেন, অহিংস হরতালে সরকার নিরস্ত্র জনগণের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে।
অপর এক সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাব না। বরিশাল: সকালে মহানগর বিএনপি'র সভাপতি ও জোটের আহ্বায়ক মজিবর রহমান সরোয়ার এমপি'র নেতৃত্বে একটি মিছিল সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হল এলাকা অতিক্রমকালে পুলিশ বাঁধা দেয়। সকাল পেঁৗনে ৮টায় বগুড়া রোড বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে জেলা সভাপতি সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল ও সাধারন সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের নেতৃেত্ব মিছিল বের করে জেলা (দক্ষিন) বিএনপি। সকালে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরে পুলিশ মিছিলে বাঁধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় পুলিশবাহী টম্পো ভাঙচুর করে হরতালকারীরা।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল জেলা (উত্তর) যুবদলের সাধারন সম্পাদক বদিউজ্জামান মিন্টুকে আটক করে পুলিশ। রংপুর: নগরীর পার্কের মোড়, দর্শনা মোড় ও দমদমা এলাকায় ২টি পিকআপ ও ৮টি অটোরিকসা ভাঙচুর করে হরতাল সমর্থকরা। দুপুরে দুটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় ছাত্রদলকর্মীরা। পিকেটিং করার সময় ১৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল করে। সিলেট: সকালে নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় মিছিল থেকে কয়েকটি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটায় হরতাল সমর্থনকারীরা। এর আগে জেলা ও মহানগর বিএনপি, জামায়াত, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শিবির নগরীতে পৃথক মিছিল করে। বিকেলে বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজারে হরতাল সমর্থকরা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এদিকে, ওসমানীনগর থানার গোয়ালাবাজারে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে পিকেটিংকালে ছালাম মিয়া নামের এক ছাত্রদলকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কুমিল্লা: বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। লাকসাম উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মনির হোসেনকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। মহানগরীর বিআরটিসি বাস কাউন্টারে মিছিল থেকে ভাঙচুর এবং সেখানে ৩টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। রাণীর বাজার থেকে দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুদ্দিন আহমেদসহ ৫জনকে আটক করে পুলিশ।
রাণীর বাজারে আটক করা পাঁচজন এবং দুর্গাপুর থেকে আটক একজনসহ মোট ছয়জনকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বরুড়া উপজেলার লক্ষীপুর বাজারে আওয়ামীলীগ-বিএনপির সংঘর্ষে ৫জন আহত হয়েছে। মুরাদনগর সদর ও বাঙ্গরায় পিকেটিং কালে বিএনপির ৪কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। বগুড়া: শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, পিকেটিং ও বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে হরতাল সমর্থকরা। সকালে মাটিডালিতে ৬/৭টি, চারমাথা বারপুরে গোকুলে মোটার সাইকেল ভাঙচুর ও দুপুরে জেলা জজ আদালত চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণে এজিপি (সহকারি গর্ভমেন্ট প্লিডার) আব্দুস সালেক সরদার আহত হন।
এক বাদাম বিক্রেতাসহ অপর একজন আহত হলেও তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর আগে শাজাহানপুর উপজেলার নয় মাইলে দু'টি ট্রাক ভাঙচুর করে পিকেটাররা। এতে ট্রাক চালক জাহিদুল ইসলাম ও হেলপার রাশেদ আহত হয়। পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বাহেরচর বাজারে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ, দুমকি উপজেলায় আ'লীগের দু-গ্রুপে সংঘর্ষ এবং সদরের শৌলা বাজারে পুলিশের সঙ্গে যুবদল ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৭০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। বাহেরচর বাজারে আ'লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের অন্তত ২০টি দোকান-পাট ভাঙচুর করেছে দু'দলের নেতা-কর্মীরা।
সদর উপজেলার শৌলা ব্রীজ এলাকায় ছাত্রদল-যুবদলের মিছিল ও পিকেটিং কালে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রদল ও যুবদলের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে । সিরাজগঞ্জ: ভোরে বাজার ষ্টেশন ও চাটমড়াপ্িট্টতে ককটেল বিস্ফোরন ঘটায় হরতাল সমর্থনকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
সকালে চন্ডিদাসগাতীতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত-শিবির কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান, ওয়ার্ড বিএনপির সম্পাদক ফরিদুল, মোস্তফা, হায়দার আলী, মজিদ, মাজেদ মেম্বর, মাহমুদুল ও গাজীউর রহমান আহত হয়। রাঙামাটি: কাউখালী উপজেলায় আওয়ামীলীগ- বিএনপি সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। ফেনী: ছাত্র শিবিরের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের ত্রিমুখি সংঘর্ষে এক অ্যাডভোকেটসহ কমপক্ষে ৫জন আহত হয়েছে। এসময় পুলিশ ১ শিবির কর্মীকে আটক করলে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে এক মাসের বিনা শ্রম কারাদন্ড দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: সকালে কলেজপাড়া সংলগ্ন রেললাইনে টায়ারে পিকেটাররা আগুন দেয়। সকাল ১১টায় হরতালকারীরা একটি সিএনজি অটোরিঙ্া আটক করে। অটো সিএনজি'র শ্রমিকরা আলাদাউদপুরে বিএনপি'র মিছিলে হামলা চালালে বিএনপি কর্মী মো. মাইনুদ্দিন (৫০), যুবদল নেতা টোটন (৩৫), আবু তাহের (৪২), জহির (৩৮) ও ছাত্রদল কর্মী মো.ইমরান (২৫) ৫ আহত হন। এসময় পুলিশ জসিম নামে এক বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার করে। নারায়ণগঞ্জ: সকালে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদরুজ্জামান খাঁন খসরুর অনুসারী বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন অনুর নেতেৃত্বে কাফনের কাপড় পড়ে বাজার এলাকায় মিছিল হয়।
উপজেলার তিলচন্দলাকায় মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বাপ্পী স্মরণী এলাকায় মহানগর যুবদল আহবায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নেতৃত্বে মিছিল থেকে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। শহরের উকিলপাড়া এলাকায় বঙ্গবন্ধু সড়কে ও যুবদল গলাচিপা এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল লাইনে টায়ারে আগুন দেয়া হয়। দেওভোগে শুক্কুর কারী মসজিদের সামনে শিবির মিছিল করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ: শিবগঞ্জের লাঘাটায় আব্দুস সোবহান নামে এক তহশিলদারকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে তার মোটরসাইকেল আগুন দেয়ে পিকেটাররা।
সকালে সদর উপজেলার সরকারের মোড়ে হরতালকারীদের বোমা হামলায় হক সাহেব (৩৭) নামে এক আওয়ামীলীগ কর্মী আহত হয়। পিটিআই এলাকায় একটি দোকান ভাঙ্গচুরের সময় স্থানীয় লোকজন দুলাল নামে এক বিএনপি কর্মীকে আটক করে পুলিশে দেয়। লক্ষীপুর: সকালে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে জামায়াত শিবির শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় মিছিল করে। এসময় ২ টি মটর সাইকেল ভাঙচুর করে তারা। কমলনগর উপজেলার হাজির হাট বাজারে মো. সফিক নামের এক যুবলীগ নেতাকে মারধর করে রক্তাত্ব জখম করে শিবির।
ঝিনাইদহ:সকালে কালীগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীরা রেল লাইনে টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করে। নরসিংদী : সকালে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি খায়রুল কবীর খোকনের নেতৃত্বে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভেলানগরে মিছিল হয়। পিরোজপুর:সকালে পিকেটাররা রানীপুরের কাছে একটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে। জিয়ানগরের টগড়া মোড়ে একটি টেম্পু ও দুটি অটোরিঙ্া ভাঙচুর করে পিকেটাররা। এতে টেম্পুর চালকসহ আহত হয়েছেন ৫ জন।
জেলায় ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। মেহেরপুর : সদর উপজেলার রাজনগর ও গাংনী উপজেলার পোড়াপাড়ায় বিক্ষোভ,সড়ক অবরোধ,ককটেল বিষ্ফোরন ও আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িতে ভাঙচুর করেছে হরতাল সমর্থনকারীরা। মাদারীপুর:জেলা যুবদলের উদ্যোগে মিছিল করলে পুলিশের বাঁধার মুখে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ সদর থানা যুবদলের সাধারন সম্পাদকসহ ৩ জনকে আটক করেছে।
বাগেরহাট: রামপালের ফয়লায় মিছিল বের করলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে জামায়াত ও শিবিরের দুই কর্মীকে আটক করেছে। উপজেলায় যাত্রীবাহি বাস ও একটি মটরসাইকেল ভাঙচুর করে হরতাল সমর্থকরা। দিনাজপুর: রাস্তার মোড়ে মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে হরতাল সর্মথৎেকরা। বিরল পুলিশ পিকেটিং করার দায়ে ২জনকে আটক করে। দশমাইল, রানীরবন্দর , বিন্যাকুড়ি , হাজির মোড় , চম্পাতলী মোড় , কিষান বাজার মোড়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে হরতাল সমর্থনকারীরা ।
চাঁদপুর:সকালে চাঁদপুর-রায়পুর সড়কে টোলঘর এলাকায় হরতাল সমর্থকরা রেললাইনে টায়ারে আগুন দেয়। বাগাদী নিজ গাছতলা এলাকায় সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে তারা। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক, বাবুরহাট, ঘোষেরহাট, বাগাদী, লক্ষীপুরে মিছিল করে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। সকালে পিকেটিং কালে শহরের কালি বাড়ী থেকে সোহেল (২৩) ও রহমান শেখ (২৬) এবং বড় স্টেশন এলাকায় ২ পিকেটারকে আটক করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।