আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাত ধোয়া !!! হ্যান্ডওয়াশ না সাবান ?? লাইফবয় আর ডেটলের স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যাবসা......... সাবান দিয়ে হাত ধুলে যদি জীবাণু থেকেই যায় তাহলে সেই একই প্রতিষ্ঠান এখনও হাত ধোয়ার সাবান বিক্রি করে কি করে ???

আমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া সন্ধানো করিয়া স্বপ্নেরও পাখি ধরতে চাই আমি স্বপ্নেরও কথা বলতে চাই আমার অন্তরের কথা বলতে চাই... হাত ধোয়া কিন্তু শিশুদের জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু কথা অন্য কোথাও, গত প্রায় কয়েক বছর ধরে ইউনিলিভারের হেলথ সোপ ব্র্যান্ড লাইফবয় ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং এই অভ্যাসের গড়ে তোলার জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে চালিয়েছে। ভালো কথা...। এবার একটু তাদের টিভিসি অর্থাৎ বিজ্ঞাপন গুলোর দিকে তাকাই। কি উপাদান দিয়ে তারা সাবান বানায় তা না হয় বাদ দিলাম, আপনারা কি লক্ষ্য করেছেন বছর কয়েক ধরে তারা হ্যান্ডওয়াশ নামক পন্য জনপ্রিয় করার ব্যাপক চেষ্টা করছে।

সেটিও ভালো......। void(1); কিন্তু বন্ধুগন একটু লক্ষ্য করুণ তারা তাদের বিজ্ঞাপনে বলছে সাধারণ হাত ধোয়ার সাবানে বারবার হাত ধুলে জীবাণু থেকেই যায়, এই জীবাণু বরং এক হাত থেকে অন্য হাতে ছড়ায়। কথায় যুক্তি আছে ধরেন আপনার বাসায় মা খালারা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকেন আপনি সারাদিন রাস্তা ঘাটে ধুলাবালি জীবাণুতে মাখামাখি হয়ে ঘরে ঢুকে লাইফবয় দিয়ে হাত ধুলেন, একটু পর আপনার মা আবার সেই একই সাবানে হাত ধুলেন। আপনার হাতের জীবাণু সাবানে, সাবান থেকে আপনার প্রিয়জনের দেহে তারপর অসুখ। তার থেকে হ্যান্ডওয়াশই ভালো অন্তত জীবাণু ছড়ানোর আশংকা নাই।

আমি এখন থেকে হ্যান্ডওয়াশই কিনব, দাম একটু না হয় বেশীই নিল ... তবে পরিবারের স্বাস্থ্য আগে, কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখি যেই বিজ্ঞাপন দেখে কিনতে অনুপ্রাণিত হলাম দোকানগুলোতে সেই কোম্পানির সাবান থরে থরে সাজানো, তাদের কথা যদি সত্যিই হবে তাহলে তারা বাজারে এখনও সাবান বিক্রি করছে কেন ? আমি হাত না ধুলে আমি অসুস্থ হব, কিন্তু হাত ধুয়ে অন্যকে কেন অসুস্থ্য করব ? অনেকটা ধূমপানের মত হয়ে গেল না ? যে খায় সে মরে যে সামনে থাকে সেও মরে...... আমার লেখা দেখে কিন্তু কেউ ভেবে বসবেন না আমি হাত ধোয়ার বিরোধিতা করছি সুস্থ থাকতে হাত ধোয়াটা জরুরি,হাতের মাধ্যমে প্রতিদিন হাজারও জীবাণু আমাদের দেহে সংক্রমিত হচ্ছে। আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ফলে এসব জীবাণুর অধিকাংশই মারা যায়। কিন্তু যখন জীবাণুর পরিমাণ অত্যধিক হয় বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল থাকে তখনই আমরা অসুখে ভুগতে থাকি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, হাতের মাধ্যমে প্রতিদিন হাজারও জীবাণু আমাদের দেহে সংক্রমিত হচ্ছে। আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ফলে এসব জীবাণুর অধিকাংশই মারা যায়।

কিন্তু যখন জীবাণুর পরিমাণ অত্যধিক হয় বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল থাকে তখনই আমরা অসুখে ভুগতে থাকি। আর অসুখে ভুগলে শারীরিক ভোগান্তি তো আছেই, তার সঙ্গে মানসিক কষ্ট, ক্লান্তিভাব, অফিস কামাই, কাজে ব্যাঘাত, ডাক্তার দেখানো, ওষুধ খাওয়া, অর্থেরও অপচয়। তার চেয়ে হাত ধোয়ার মতো সহজ অভ্যাসটুকু গড়ে তুললে আমরা সব ভোগান্তি আর রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকতে পারি। বাচ্চাদের জন্য হাত ধোয়া অতি জরুরী, প্রতি বছর ৫ বছরের নিচের ৩.৫ মিলিয়ন শিশু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় মারা যায়। শিশুরা যদি হাত ধোয় এবং শিশুদের খাবার তৈরি করতে যদি অভিভাবকরা হাত ধুয়ে নেন, তবে এ মৃত্যু ২৫ শতাংশ কমানো যায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, হাত ধোয়ার ফলে শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের রোগ অর্ধেক কমে গেছে। হাত ধোয়ার ফলে সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয় ডায়রিয়া পরিস্থিতির। বিশ্বজুড়ে সঠিক নিয়মে হাত ধুলে ডায়রিয়াজনিত শিশুমৃত্যু অর্ধেকে নেমে আসবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, শুধু হাত ধুলেই শতাব্দীর উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় ২০১৫ সালের মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনার যে কথা বলা হচ্ছে তা অনেকখানি অর্জিত হবে। আসল কথাটা এখানে ব্যাবসা, আপনার কাছে যা বলে যেটা বিক্রি করতে পারে, তাদের ব্যাবসা তারা করুক আপত্তি নাই কাদের হিরলিক্সে লম্বা হয়? কার কমপ্লেনে বাঁট্টু হয়? সৌন্দর্য যদি শক্তি হয় তার একক কি? মাথায় হাত রেখে কোন স্যাম্পু কথা বলে... সেইসব প্রশ্ন আজ করব না, এগুলো বিলাস পন্য কিন্তু হাত ধোয়া আমাদের স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত সাবান থেকে যদি জীবাণু ছড়ায় তাহলে হাত ধোয়ার সাবান উৎপাদন বন্ধ করা হোক, আর এতদিন এসব জেনেও বিক্রি করার দায়ে যারা অসুস্থ হয়েছে তাদের সবার দায় ভার সেই বহুজাতিক কোম্পানিকেই নিতে হবে।

এদের আইনের আওতায় না আনলে দেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে নির্মমজনক ব্যাবসা বন্ধ করা যাবে না। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।