এসো আবার চড়াই উৎড়ই.......... Basement of Student Politics ধার ধারি না পাড়া পড়শীর ধার ধারি না কারো, আমাদের এমনই অহম যে আমরা এখন আর নিজেরটা ছাড়া কিছুই বুঝি না, একজন স্টুডেন্ট তার ক্যাম্পাসে রাজনীতিতে জড়াবে তখনই যখন তার নিজের পড়ালেখা কোন একটা কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, আমার মা বলত নিজের পায়ে কুড়াল মারছিস, ঠিকইতো আমাদের ক্যাম্পাসসমূহের অবস্থা দেখলে আমার তাই মনে হয়, আমাদের কলেজ, ভার্সিটিতে যে বুদ্ধিবিদ্ধিক যোগ্যতা যাচাই না করেই শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র তাদের কাগজ, উত্তরাধিকার ও টাকার যোগ্যতায় যাচাই করে, শবদাহের পূর্বপ্রস্তুতিস্বরূপ নবীনবরন ও সীমানা নির্ধারন করে দিয়ে বুঝানো হয়, আমাদের শিয়াল মাতাদের আচঁলের তলার সুবাস ও আরামে অভ্যাস্ত করিয়ে কসাইয়ে রূপান্তরিত করা হয়, তা যে কোন ক্যাম্পাসের সাধারণ চিত্র। আর তাই তো আমাদের শিক্ষার্থীরা কখনও শিক্ষকের মান নিয়ে আন্দোলন করে না, ল্যাব, লাইব্রেরী ফ্যাসিলিটিস নিয়ে আন্দোলন করে না, ইভ টিজিং এর বিরূদ্ধে কোন আন্দোলন তো নেইই বরং আছে নিত্যনতুন ইভ টীজার তৈরীকরন, কাউকে বলতে শুনিনা প্রশ্নপত্র রিপিটেশন আমরা পরীক্ষা দিব না, বরঞ্চ আছে পরীক্ষা পিছাও আন্দোলন, জাতীয় লেজুরবিত্তিক রাজনীতির কমিটিকরণ, আমাদের শিক্ষার্থীরা কোন গাড়ী নিয়ে গবেষনা তো দূরে থাক, বড় বাবার ডাকে রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাংচুরের সময় সেই একই কায়দায় ভাংচুর করে, ঠিক একটা বলদ যেমন মাটিতে গুঁতোতে থাকে, গাড়ি ভাংঙ্গার কি দরকার পার্টসগুলো খুলে নিয়ে ল্যাবে রেখে দে, পড়ে কিছু একটা শিখলেও শিখতে পারিস, না হয় গাড়ি চুরিই শিখবি, এমনিতেতেও চোর, চোরের সাগরেদ কিংবা চোরের ঘর থেকে এসেছিস। আমি প্রায়ই আমার ছাত্রত্ব নিয়ে লজ্ঝায় পড়ি, ছাত্র বলতে খুব ভয় হয়, কি ছাত্র হব বলতো যে ছাত্র তার ক্লাশমেটের ওড়ানা ধরে টানে, ম্যাডামকে অশ্লীল উক্তি করে, যে কোন এক শিয়ালের লিঙ্গে বেড়ি পড়ানো হলো কি হলো না তা নিয়ে আন্দোলন করে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক উৎসব উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে শিল্পী ও শিল্প আনানো হয়, তাহলে কি ধরে নিতে হচ্ছে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা সংস্কৃতি জানে না, সাংস্কৃতিক কোন শিক্ষাই নেই। যেকোন কাজে ঠিকাদার জোগাড় করতে হয়, ধরেই নিলাম আমাদের শিক্ষার্থীরা কিছু তৈরীও করতে জানে না, আমাদের ছাত্রদের নিয়ে বিশাল বিশাল আন্দোলনের ডাক দেন জাতীয় খাশি ও শিয়াল সমাজ, তারাও ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মত লাফাতে লাফাতে এগিয়ে যায় ...... পিপিঁলিকার পাখা গজাাঁয় মরিবার তরে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেলে কিছু ভাংচুর বা অবরোধ না করে রাস্তা থেকে কিছু গাড়ি ক্রোক করে বিক্রিত টাকা দিয়ে ঐখানের সড়ক সংস্করনও করার যোগ্যতা আমাদের ছাত্রদের নেই, তারা বসে থাকে, বিদেশ থেকে আব্বা কিনে এনে দিবে, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, উদ্ভাবক, মেশিনারীজ । ------------ মাঝে মাঝে ধোলাইখালের কথা শুনি ---------------------- লক্ষাধিক শ্রমিক বানিয়ে চলছে অবিরত...... ----- তাদের বইয়ের দরকার হয়নি---------- তাদের প্রতিষ্ঠানের দরকার হয়নি------------ তাদের সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার দরকার হয়নি------------- ---------------------- ধোলাইখালটাই যে বর্তমানে বাংলাদেশের সর্ব্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা এখন আমরা বুঝি--------- আমার সন্তানকে তাই ধোলাইখালেই ভর্তি করাবো সিদ্ধান্ত নিয়েছি।.................... শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে গবেষণার জন্য টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় না, কিন্তু ঠিকই মাদকের জন্য বরাদ্দটা জুটে যায়, শিক্ষার্থীরা চাঁদা তুলছে, শিক্ষকরাও চাঁদা তুলছে, সরকার, বিভিন্ন শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে, দোকানদার, চায়ের দোকানদারদের থেকে, ছিনতাই করছে, দূর্নিতি করছে........... বেশ মোটা অংকইতো হওয়ার কথা না! এগুলো দিয়েওতো বেশ ভালো কয়েকটা ল্যাব তৈরী করা যায় না! আমার ছোট মাথায় যা বুঝি তা হল, একজন শিক্ষার্থীর রাজনীতি হবে সম্পূর্নই জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে, এই অধিকারটুকু পূরন না করেই সে জনগনের অধিকার নিশ্চিত কিভাবে করবে, আমাকে বলবেন কি?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।