Set sail, ye hearts~ into the sea of hope.. লিখতে গেলে বানান ভুল – এটা তো কমবেশি সবারই হয়। একটা শব্দ পর পর কয়েকবার সঠিকভাবে লিখলে সেই ভুলটা আর হওয়ার কথা না। কিন্তু বেখাপ্পা কতগুলা শব্দ আছে, যেগুলা আমরা সচরাচরই লিখতে বা বলতে ব্যাবহার করি, কিন্তু লেখার সময় কিভাবে যেন বানানের ভুল হয়েই যায়। হাইস্কুল পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পা দেয়ার পরও এই সমস্যাটা আমার খুব বেশী হচ্ছে ইদানিং। তাই ঠিক করেছি সবচেয়ে বেশী ভুল করা দশটা শব্দ নিয়ে ব্লগে একটা পোস্ট দিবো।
এটা করে যদি শুধরানো যায়, তাহলে খারাপ কি! সারাদিন ধরে ভেবে ভেবে এরকম দশটা শব্দ বেরও করে ফেলেছি, আপনারাও মিলিয়ে নিতে পারেন আমার সাথে
এইটা যদি হয় একটা school এর রোড সাইন ! তাহলে ভাবেন, আমাদের বানানের অবস্থা এর চেয়ে আর কতই বা ভালো হবে...
১. permanant
একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে পড়ার সুবাদে এই শব্দটা আমাকে প্রত্যেকটা পরীক্ষার খাতার ফ্রন্ট পেজে লিখতে হয়। তারপরও গত দুই বছর ধরে বানানটা ঠিক করতে পারিনি। এখনো শেষ সিলেবালে -a হবে না -e হবে সেটা লেখার সময় ওলটপালট হয়ে যায়। আর এই বানানটা সহজে মনে রাখার কোনও উপায় আমার জানা নাই কারো জানা থাকলে প্লিজ কমেন্ট করবেন।
২. ignorance
একটা কথা অনেকে বলে যে, অজ্ঞানতায় স্বর্গবাস সত্যি কি না জানি না, তবে আমার কাছে অজ্ঞানতাকে অভিশাপ লাগে যখন এই শব্দটা লেখার সময় কলম আটকে যায়।
(-rance হবে, না -rence হবে?)
৩. foreign
হাইস্কুলের বাংলা ব্যাকরণে পড়া ‘বর্ণ বিপর্যয়’ সম্ভবত এই শব্দটাতেই সবচেয়ে বেশী হয়। আমি তো সবসময় -ei এর জায়গায় -ie দিয়ে বসে থাকি, আর এর উচ্চারণটাও আমরা করি একটু অদ্ভুতভাবে: ফরেন।
৪. calendar
আমার বেশীরভাগ বানানের ভুল হয় শেষ syllable-এ, এই যেমন ক্যালেন্ডার কত পরিচিত একটা শব্দ, অথচ লিখার সময় -dar হবে না -der হবে সেটা নিয়ে প্রায়ই ধান্ধা লেগে যায়।
৫. category
ভুল বানান বেশীরভাগ সময় হয় ভুল উচ্চারণের কারণে। এই যেমন বলার সময় তো আমিরা ক্যাটেগরি বলি না, ক্যাটাগরি বলি।
ফলে লেখার সময়ও অনেকের -te টা -ta হয়ে যায়।
৬. embarrassment
বানান ভুল হওয়া এমনিতেই লজ্জার ব্যাপার, তারচেয়েও লজ্জাজনক ব্যাপার মনে হয় সেটা, যদি কেউ লজ্জা শব্দটা লিখতে গিয়ে আবিষ্কার করে যে, embarrassment এর সঠিক বানান কিছুতেই মনে পড়ছে না আমি সেইসব হতভাগাদের একজন। যখনই কোথাও শব্দটা দেখি, নিজেকে বলি দুইটা -rr আর দুইটা -ee, কিন্তু তাড়াহুড়া করে লিখতে গেলে -ee টা কোথায় যে হারায় যায়!
৭. fulfill
full আর fill, একেবারে আলাদা দুইটা শব্দ, কিন্তু একসাথে হলেই শুরু হয় সমস্যা। fulfill এর ক্ষেত্রে full লিখতে লাগে একটা -l আর fill লিখতে দুইটা।
৮. tomorrow
একটা -m দুইটা -rr, কানে ধরে একশবার বলানো হলেও আগামীকাল সকালে ঠিকই ভুলে যাবো।
আমার জন্যে এটা একটা চিরন্তন সত্য।
৯. until
দুইটা না, until লিখতে সবসময় একটা -l হবে আর কত বড় হলে শিখবো? আল্লাহ মালুম।
১০. solution
decision আর solution, এই শব্দ দুইটা একটার সাথে একটা সবসময় গুলায় যায় আমার। decision লেখার সময় মনে হয় -tion হবে, আর solution লেখার সময় মনে হয় -sion হবে।
এই পোস্ট লেখা শেষ করে এখন বসে বসে ভাবছি, এই যে নিজের এইসব ভুল গুলা বুক ফুলিয়ে প্রচার করলাম কাজটা কি ভালো হলো, না খারাপ হলো! জানি না, তবে আপনাদেরকে এই গ্যারান্টিটা দিতে পারি যে, এত গ্যাঁজানোর পরও আমার বানানের কোনও প্রকার উন্নতি হবে না যাই হোক, এই বছরের আর মাত্র পনের দিন বাকী, তারপর আসছে নতুন একটা বছর।
সবাই দোয়া করবেন যেন নতুন বছরে আমার এইসব বানানের ভুলগুলা আর না হয়।
When our spelling is perfect, it’s invisible. But when it’s flawed, it prompts strong negative associations.”
-Marilyn vos Savant (American Author)
--------
আরও লেখা:
চোখের রং: বাদামী? না নীল?
নিজ ঘরের ছাদ নিয়ে একটা কবিতা
মুক্তিযুদ্ধ: অন্ধ আবেগ বনাম সত্য ইতিহাস ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।