আকাশটা ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে গত ৪ ডিসেম্বর ২০১১ ইং রবিবার দিবাগত রাত ১০ ঘটিকায় রাঙ্গামাটি বরকল উপজেলাধীন ভূষণছড়া ইউনিয়নের তবলাবাগ নামক স্থান হইতে নিরস্ত্র, মাছধরা অবস্থায় নদী থেকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা ভূষণছড়ার মো. রমজান আলী (২৫), পিতা- মো. আজাদ, মো. জাহিদ (১৮), পিতা- আব্দুর রাজ্জাক, মো. মোখলেছ (২৫), পিতা- মো. সৈয়দ আলী, মো. আজাহার (৩৫), পিতা- আব্দুছ সামাদ, মো. ইউসুফ আলী (২৪) অপহরণ করেছে। আজ পর্যন্ত অপহরিত এই ৫ জন বাঙালি জেলের কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। আজ আবার রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে আব্দুল ছাত্তার নামের এক বাঙালী মোটরবাইক চালককে হত্যা করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। অল্প কিছু দিন আগে রাঙ্গামাটিতে এক বাঙালি ট্যাক্সি চালকরে হত্যা করেছিল পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। এতগুলো নির্মম ঘটনার পরেও সাংবাদিক পরিচয়ের কিছু ভেকধারী চুপচাপ ছিলেন।
কারণ বাঙালিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, আর সন্ত্রাসী কান্ডগুলো ঘটচ্ছিল পাহাড়িরা। কিন্তু আজকের ঘটনার জের ধরে দীঘিনালার কবাখালি এলাকায় বাঙালীরা গাড়ীতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে চিকনমিলা চাকমা নামে এক পাহাড়ী মহিলা আহত হন,পরে তিনি মারা গেছেন। এই ঘটনার পর তারা কাচা মেরে নেমেছেন। ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক স্ট্যাটাস দিচ্ছেন! ঘটনাটি অবশ্যই নিন্দনীয়।
কিন্তু এতদিন চুপ থেকে আজ হঠাৎ করে যাদের মানবাধিকার জেগে উঠেছে সেই ভেকধারীদের জন্য ধিক্কার ছাড়া আর কিছু দেয়ার নেই।
সাম্প্রদায়িক স্ট্যাটাস তাদের পক্ষেই দেয়া সম্ভব।
ধারাবাহিক এসব ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে, সব কিছুই পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে। যে কোনভাবে বাঙালিদের ক্ষেপিয়ে দিয়ে একটা দাঙ্গা বাঁধিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অপপ্রচারের একটা অযুহাত তৈরি করাই পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য। আর ভেকধারী সাংবাদিকরা তাদের ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক স্ট্যাটাস দিয়ে সেটাই শুরু করছে বলে মনে হচ্ছে। ধিক্কার সেই সব সন্ত্রাসীদের, যারা পাহাড়কে আবারো অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে।
ধিক্কার জ্ঞানপাপীদের জন্যও যারা তাদের পৃষ্টপোষকতা করছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।