রহস্যময় গ্যালাক্সি ঘুরে, অসীম আকাশে উড়ে আর সাগরের অতল গভীরে ডুবে আমৃত্যু পান করতে চাই ভালোবাসার অমৃত সুধা... অন্ততঃ এইটুকু চাইতেই পারি, চলতি চাকরীটা যেন হারাতে না হয়। আমাদের যা কিছুই আছে না কেন আমাদের কাছেই থাকতে দিন। আমি কাউকেই দোষারোপ করছি না। দোষারোপ করার সাহসও নেই। দোষ এই নসিবের।
পোড়া কপালের। রাত্রে বিভোর ঘুমে যখন আচ্ছন্ন তখন কোথায় আছি আমি বুঝতে পারি না। মনে হয় আমি বুঝি গুম হয়ে গেছি। নিকষ অন্ধকারে পথ হাতড়াতে থাকি। হঠাৎ ঘেমে নেয়ে সম্বিৎ ফিরে পাই।
হাতের কাছে জল খুঁজি গলায় গলাবো বলে। না। তৃষ্ণায় কাতর আমি অসহায়ের মতো চোখ মেলি। না কেউ কোথাও নেই। শুধু একা।
নেত্রী আসে নেত্রী যায়। নেতা আসে নেতা যায়। আখের গুছিয়ে সবাই কেন কেটে পাড়ে? আমাদের কথা কি কেউ ভাবে না? আমরা তো মহা আবেগী জাতি। আবেগে ভোটের সময় সব কষ্ট ভুলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করি। নিজের টাকা খরচ করে ধূলা মেখে ভ্রমণ করে দূরের গ্রামের বাড়ী ফিরে যাই ভোট দেবো বলে।
কোনো এক সময় বলেছিলাম মাকে- মা তোমাকে দেখতে আসতে বলতে পারো, আসব হাজার বার কিন্তু ভোট দেবার জন্য ভোটের সময় আসতে বলো না। কাকে ভোট দেবো বলো? মা অনুরোধ তারপর রাগ করে বলত- শিক্ষিত হয়েছিস, সচেতন মানুষ হয়েছিস ভোটাধিকার প্রয়োগ করবি না? এটা তোর নাগরিক অধিকার। মা'র কথা শুনে বুকের খাঁচা টানটান হয়ে ওঠে। হ্যাঁ একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক আমি। কত রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছি আমরা।
গর্বে বুক ফুলে ওঠে। চোখ বিস্ফারিত হয়। কন্ঠে স্বাধীন বাংলার গান আর কবিতা আবৃত্তি করতে থাকি। না মা আমি আসবো। অবশ্যই আসবো।
যদি পোড় খাওয়া মানুষগুলোর ওই জনপ্রতিনিধিগণ আবারো সঠিক পথে চলে।
কত কথাই না বলে ওরা- ভুল করেছি, আপনাদের কোনো উপকার করতে পারিনি। অমুক দল, তমুক দল, আমার দল নয় ইত্যাদি কত কথা বলে ভুল স্বীকার করে বুকে জড়িয়ে নিয়ে আবারো ভোট চায়। আমরা সব ভুলে মাফ করে দিয়ে আবারো ভোট দেই। আবারো পরাজিত হই।
আবারো সমালোচনা করি। "নিজের দোষে দোষী আমি/আমার বিচার চাই/ আমার ভুলের কোনই ক্ষমা নাই রে বন্ধু/আমার ভুলের কোনো ক্ষমা নাই" ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।