আমার আমি ....
বাউকুল রক্ষায় বাগানের চারিদিকে কারেন্ট জাল ব্যবহার করায় প্রতিদিন অবাধে মারা পড়ছে দেশীয় প্রজাতির নানা পাখি। উচ্চ ফলনশীল, সুস্বাদু রসালো ফল বাউকুল। ব্যাপক চাহিদা থাকায় বানিজ্যিকভাবে চলছে এ কুলের চাষ। লাভবান হচ্ছে প্রান্তিক চাষি সহ বেকার যুবসমাজ।
তবে গ্রাহক পর্যায়ে এ সুস্বাদু ফল পৌছাতে যে নির্মমতার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে তা জানলে সচেতন মানুষের রসনা বাধাপ্রাপ্ত হবে।
পাখির হাত থেকে বাউক’ল ক্ষেতের ফল ও ফসল রক্ষায় ঝিনাইদহে প্রতিবছরই কারেন্ট জাল( সুক্ষ জাল) ব্যবহার করে আসছে খামারীরা । বাউক’ল বাগানের চারিদিকে মাটি থেকে ৩০/৩৫ ফুট উচ্চতায় কারেন্ট জালে ঢেকে রাখে । আর সিনথেটিক সূতার তৈরী সুক্ষ জালে প্রতিদিন আটকে মারা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় পাখি। এভাবে পাখি মারা পড়ায় ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ, জীববৈচিত্র নিয়ে সংশয়ে পড়েছে সচেতন মহল। তারা পাখি নিধন বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে।
বাউক’ল ক্ষেতে বাগানের পর বাগান চারিদিকে শুক্ষ কারেন্ট জালের ফাঁদ। পাখি যাতে বরই খেতে না পারে তাই এ ব্যবস্থা। কিন্তু পাখি তো আর মিহি জাল সম্পর্কে সচেতন নয়। তারা অবাধে এসে গাছের ডালে বসতে বা উড়তে গিয়ে আটকে যাচ্ছে। শত চেষ্টা করেও মুক্তি নেই।
অনেক পাখিই আছে; বাউকুল বা ফল খাওয়া যাদের অভ্যাস নয়। অথচ জালের ফাঁদে পড়ে মুক্ত আকাশে নিষ্ঠুরতার শিকার হচ্ছে । ঝিনাইদহের ৬ উপজেলার ২শতাধিক বাউকুল ,বেগুন সহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেতের জালে জড়িয়ে জাতীয় পাখি দোয়েল, কবুতর, ঘুঘু, বুলবুলি, লক্ষীপেচা, ডাহুক সহ হরেক রকম পাখি প্রতিনিয়ত মরছে। । শালিখ, বাদুড়, চড়–ই সহ ছোট পাখিগুলোও প্রাণ হারাচ্ছে।
। বিলুপ্তপ্রায় কিছু বন্যপ্রাণীও প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে এই ফাঁদে। বাগানজুড়ে ঝুলে থাকছে অসংখ্য মৃত পাখপাখালি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।