আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

''শেখ মুজিব ১৯৭১ সনে ভুল করেছিলেন, কিন্ত আমি ভুল করব না। ''

তৎকালীন ব্রিট্শি শাসিত সমাজের মানুষেরা ছিল নিষ্পেষিত ও অসহায় পরাধীন একটি জাতি। তাদের ইথিক্সই ছিল আগ্রাসন, নিপীড়ন , শোষন, সাম্রাজ্যবাদ। তারা ধনী-গরীবের পার্থ্ক্য করে রে্খেছিল। নিজেরা সু্ট প্যান্ট পরলেও বাঙ্গালীরা পরত ধুতি পাঞ্চামী। যা দ্বারা সাহেব -গোলাম বুঝানো হত।

ঠিক ১৯৪৭ সনে পাক-ভারত বিভক্তির পরও মানুষের ভিতর সেই ব্রিট্রিশ রুলস চালু হয়। ফলে সমাজে ধনী শ্রেণীরা ধনী-গরীবের ব্যবধান সৃষ্টি করে। আর তার একটি বড় উদাহরন গোপালগঞ্জ, কাশিয়ানীর বিখ্যাত ব্যবসায়ী সফিউদ্দিন মিনার পরিবার। তৎকালীন সময়ে তাদের চেয়ারে কেহ বসতে পারেনি। আর তখন বাঙ্গালীদের হাতে অস্ত্র আসেনি।

তারা ঢাল তালোয়ার দিয়ে লড়াই করেছেন। তাইত সফিউদ্দিন মিনার তৃতীয় নম্বর ছেলেটিকে এলাকার মানুষ ছোট আল্লাহ বলে ডাকতেন তিনি যদি বলতেন কাউকে মারতে হবে তাই নাকী হয়ে যেত। যা ইতিহাস পর্যালোচনা করলেই পাওয়া যাবে। আজ আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় ১৯৭১ এর আগে মানুষের ভিতর এত দ্বন্ধ, সংঘাত, হানাহানি ছিলনা। কেবল গ্রাম্য সমাজে ঢাল তালওয়ারের প্রচলন ছিল।

আর যারা প্রকৃত শিক্ষিত তাদের হাতে কোন অস্ত্রই ছিলনা। তাদের হাতে ছিল কেবল কলম। ক্ষমতার মোহে মদমত্ত মানুষ বাকেঁ বাকে কেবল দু:শাসনের রক্ত চিহ্ন একে দেয়। Ego and Ego is the root of evills ( অহমিকাই সকল অপরাধের মুল)। তখন এই ক্ষমতার লোভ ছিল কেবল ভারত ও পাকিস্তানের উচ্চ পর্যায়ের মানুষের ভিতর।

তাদের ইথিক্স ছিল-আগ্রাসন, সাম্রাজ্যবাদ, নিপীড়ন, অত্যাচার ও শোষন যা ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই সেদিন পুর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালীদের উপর প্রযোগ করেছিল। আর একেই বলে ব্রিটিশ রুলস। ধনী-গরীবের ব্যবধান। সেদিন সারা বাংলার দরিদ্র কৃষক সমাজ ছিল অসহায়। তারা রাজনীতি জানতেন না কেবল প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকতেন।

আর শিক্ষিত সমাজের হাতে ছিল কলম তারা রাজনীতি জানতেন, বুঝতেন, আর সমস্যার সমাধান দিতে চেষ্টা করতেন। আর সেদিন সেই ব্রিটিশ রুলসের বিরুদ্ধে বাংলার সকল বুদ্ধিজীবি, শিল্পি, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক চিকিৎসক সকল পেশার লোকই সোচ্চার হয়েছিলেন। অবশেষে ১৯৭১ এর ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এল আমাদের সেই স্বাধীনতা। কিন্ত কিভাবে ? শেখ মুজিব অমুসলিম ভারতের সাথে চুক্তির মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তান হতে পুর্ব বাংলাকে দিখন্ডিত করলেন। সেদিন সম্ভবত: বাংলার ৯৯% মানুষই ছিল কৃষিজীবি।

তারা অশিক্ষিত ও অসহায় আর ভারত ও পাকিস্তান দ্বারা শোষিত একটি ভূ-খন্ড। তারপরও তারা ভাগ্যকে মেনে নিয়েছিল। একদিন তারা্ও স্বাধীনতার আনন্দে উদ্দেলিত হয়েছিল হয়ত এই ভেবে যে আমরা আরও সুখে শান্তিতে আমাদের সন্তানদের মানুষ করতে পারব। আমরা আরও ধনী হব্। যা ছিল তাদের বিশ্বাস ও অনুভূতি।

তাইত স্বাধীনতার পর আমার ভাইযেরা যখন বাবার জমি বিক্রি করতেন তখন তার দুচোখ বেয়ে পানি পড়তে দেখেছি। মাটির সাথে ছিল তার হৃদয়ের বন্ধন। জীবন থাকতেও জমি নষ্ট করতে চায়নি। অথচ আজ রাজনীতিবিদরা তার সব জমিই নষ্ট করেছে। এই হল বাংলা্র মধ্যবিত্ত কৃষকের চিত্র ।

কিন্ত ১৯৭১ এর পরে নুতন সরকার গঠনের পর কারা লাভবান হয়েছিল বেশি ? ইতিহাস কখনও মুঝে যায়না। সেদিন সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছিল বাংলার কৃষক সমাজের কিন্ত লাভবান হয়েছিল সেদিন কেবল রাজনীতিবিদদের। আর কৃষকের হাতে গড়া সকল শিক্ষিত সন্তানেরা শহীদ হয়েছিলেন কেবল সেই নোংরা রাজনীতির খেলায়। আরও লাভবান হয়েছিল ভারত কারন বাংলায় সেদিন আল্লাহ ও কুরআনকে মানুষ ভুলে গিয়েছিল যা আজ সব দেখে মনে হয়। কারন পাকিস্তান সরকার পহ্নী জামাত ইসলামকে সেদিন সম্ভবত বিলুপ্ত করা হয়েছিল।

যাই হোক আমি সঠিক জানিনা। আবার শোষন, নিপীড়ন, আগ্রাসন শুর হল। ধনী-গরীবের পার্থক্য সৃষ্টি হল। কৃষক সমাজ অসহায় ও দরিদ্র হয়ে পড়ল। তাদের আর পরিবর্তন হলনা।

কেবল পরিবর্তন হল এতটুকু ১৯৭১ সনে রাজনীতিবিদরা তাদের হাতে যে অস্ত্র ধরিয়ে দিয়েছিল তারা অনেকেই তাকে রাজনৈতিক খেলনা হিসেবে রেখে দিল। আর তাদের তখন ব্যবহার করা হল স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি হিসেবে। আর বাকশাল, রক্ষীবাহিনীও ছিল। আর ঠিক তখনই বাংলার সে্ই কৃষকের সন্তানেরা স্বাধীন বাংলাদেশে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল আর অকালে জীবন দিতে হল হাজার কৃষকের সন্তানদের। আবারও ১৯৭৫ !! সেই ক্ষমতার মোহে মদমত্ত মানুষ বাকেঁ বাকে কেবল দু:শাসনের রক্ত চিহ্ন একে দেয়।

'' ইতিহাসের পরির্বতন হল। কিন্ত কিভাবে ? হাজার স্বনামধন্য মুক্তিযোদ্ধা, সেনাকর্মকর্তাসহ মানুষের মৃতুর ভিতর দিয়ে জাতি এগিযে চলল তার নিজস্ব গতিতে। কিন্ত আমাদের কৃষক সমাজের কি পরিবর্তন এল ? আমরা স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে গেলাম। আমাদের কৃষক সমাজের বাবা মাযেরা তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে লাগলেন আর এখানে রাজনীতিবিদরা তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার শুরু করল্। তারপর দিনের পর দিন কেবল আমাদের মধ্যব্তি কৃষক সমাজের সন্তানেরা লেখাপড়া শিখতে এসে লাস হয়ে ঘরে ফিরে গেছে।

আর আজও তার ধারাবাহিকা চলছে। প্রতি বছর আমাদের কতজন ছাত্রের মৃতু হচ্ছে তার তথ্য আমার জানা নেই। তবে তার পরিসংখ্যান দেখলে হয়ত জানা যাবে ৪০ বছর পরে ধরে কত ছাত্র/অসহায় মানুষ জীবন দিয়েছে, কত মানবতার মৃতু হয়েছে এহ স্বাধীন বা্ংলায় তার হিসাবে কে রাখে ? আজ ভারত আমাদের দেশের উপর যে আগ্রাসন চালাচ্ছে তাতে মনে হয় নিজ দেশের শাসকগোষ্টির আগ্রাসন সহ্য করা গেলেও অন্যের আগ্রাসন মেনে নেওযা যায়না। ১৯৭১ সনে শেখ মুজিবের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আজ ভারত আমাদের পবিত্রভুমিতে পা রাখার সাহস পেয়েছে। তারা আমাদের পবিত্র জন্মভূমির উপর দিয়ে চলছে।

তারা আজ চারিদিক দিয়ে আমাদের উপর আগ্রাসন চালাচ্ছে যাকে বলে শোষন, নিপীড়ন, আগ্রাসন ও সাম্রাজ্যবাদ মন মানসিকতা। যা আজ আমাদের জাতির জন্য সবচেয়ে বড় কষ্টদায়ক ও যন্ত্রনাদায়ক !! আমরা জন্ম নিয়েছিলাম পাকিস্তানের পবিত্র মাটিতে কিন্ত তা আজ অপবিত্র হয়ে গেছে । কিন্ত কেন ? সে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্ত তা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। আমরা হয়ে গেলাম দ্বিধাবিভক্ত একটি জাতি।

যারা সামগ্রিক বাংলার জনগনের কল্যান, সম্মৃদ্ধি আনতে পারে না। এই জাতি গোষ্টির বিভিক্তি রাজনীতির পালাবদলের খেলায় আজ আমাদের সপ্নের সেই সোনার বাংলা আজ ইমিটেশন হয়ে গেছে। আর আমাদের কৃষক সমাজই বেশি মাত্রায় আজ ক্ষতিগ্রস্ত ও অবহেলিত। দেখলে মনে হয়-নবাব চাকর হল আর চাকর নবাব হয়ে গেল। যা আমি আজ মেনে নিতে পারছিনা কারন আমি একটি ভাত টিপে বাংলার সকল কৃষকের অবস্থা বুঝতে পারি।

তারপর আজ যখন স্বাধীনতার ৪০ বছর পরে দেখছি- বাংলায় স্বাধীনতার পক্ষ আর বিপক্ষ শক্তি সৃষ্টি হয়ে দেশের ভিতর অস্থিতিশিলতা সৃষিট করছে। প্রতিনিয়ত দ্বন্ধ, সংঘাত, হিংস্বাত্বক কথাবার্তা বলে দেশকে আরও সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যা আমাদের কৃষক সমাজকে আরও ধ্বংষ করছে। কারন তারা প্রকৃতির সাথে লড়াই করেও তাদের সন্তানদের ঠিকমত মানুষ করতে পারছে না্ । নোংরা রাজনীতির কারনে তাদের জীবন ও জীবিকা ব্যাহত হচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি কষ্ট হল আমাদের সেই পবিত্র জন্মভূমি আজ খেলার মাঠে পরিনত হয়েছে যা আজ আমরা মেনে নিতে পারছিনা। সবসময় রাজনীতিবিদদের মনে রাখতে হবে-এই দেশটি কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয় অথবা কারো দয়ার দানও নয়্। এই বাংলাদেশটি আমাদের পবিত্রভূমি। এখানে আমরা সকলে জন্ম নিয়েছি আর বড় হযেছি। যার সাথে আমাদের রক্তের সম্পর্ক।

প্রতিনিয়ত আমরা এই বাংলার আলো বাতাস, পানি, বায়ু গ্রহন করছি। তাইত তার প্রতি আমাদের অনেক কর্তব্য। আজ ৪০ বছর পরে যখন সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশটিকে অঙ্গ জাতি হিসেবে পরিচিত করানো হয়েছে তখন আর এই মাটিতে নোংরা খেলা বন্দ করতে হবে। আর সকলকে আজ তাদের অতীতকে ভুলে গিয়ে ক্ষমতার মোহে মদমত্ত না হয়ে সকলে মিলে আমাদের সেই সপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়ো্গ করতে হবে হয়ত তখনই বাংলাদেশটি আবার সোনার বাংলায় পরিনত হবে। একটি বাংলাদেশ।

একটি জাতি। একটি বড় পরিবার। আর আমরা হলাম এই পরিবারের সদস্য। (সমাপ্ত)-কৃষান কন্যা রাহিলা, ১১ ডিসেম্বর, ২০১১, রাত-১২-৩১ মি:।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।