আজি হতে শতবর্ষ পরে কে তুমি পড়িছো বসি আমার ব্লগখানি কৌতুহল ভরে www.irfanmahmud.tk গুগল সায়েন্স ফেয়ার কী?
এটি একটি অনলাইন বিজ্ঞান প্রতিযগিতা।
২০১১ সালে প্রথম এর আয়োজন করা হয়।
প্রতিবছরের মত এবারও গুগল সায়েন্স ফেয়ার এর আয়োজন করা হয়েছে। ৩০ জানুয়ারি, ২০১৩ থেকে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে অনলাইন এন্ট্রি নেয়া শুরু হয়েছে। প্রতিযোগিতায় যোগদান এর শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল,২০১৩।
কারা অংশ নিতে পারবে?
১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী যে কেউ এতে অংশ নিতে পারবে।
প্রতিযোগীকে অবশ্যই নিজস্ব গুগল অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে অনলাইন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে।
গুগল সাইট এর মাধ্যমে বিজ্ঞান প্রোজেক্টগুলো জমা নেয়া হবে। প্রোজেক্ট এর ভাষা হতে পারে ইংলিশ, জার্মান, ইতালিয়ান, স্প্যানিশ কিংবা ফ্রেঞ্চ!
প্রতিযোগীকে জিনিয়াস হতে হবেনা, হতে হবে জিজ্ঞাসু।
কিভাবে অংশ নিবে?
যাদের নিজস্ব গুগল অ্যাকাউন্ট নেই তাদের প্রথম কাজ অ্যাকাউন্ট খোলা।
https://accounts.google.com/SignUp এই লিঙ্ক এ গিয়ে খুব সহজেই গুগল অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।
এবার https://www.googlesciencefair.com/ এই লিঙ্ক এ কিংবা https://www.googlesciencefair.com/en/2013/ এই লিঙ্ক এ গেলে গুগল সায়েন্স ফেয়ার ২০১৩ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর পেজ আসবে।
প্রতিযোগিতাটির চারটি ধাপ রয়েছে।
১ম ধাপঃ রেজিস্ট্রেশান
২য় ধাপঃ অভিভাবকের সম্মতি
৩য় ধাপঃ প্রোজেক্ট তৈরি করে ড্যাশবোর্ড এ এর বৃত্তান্ত উপস্থাপন
৪র্থ ধাপঃ প্রোজেক্ট জমা দেয়া
১ম ধাপঃ রেজিস্ট্রেশান
১ম পেজটার নিচের দিকে Start লেখা ১টি বাটন আছে। এন্ট্রি নেয়ার জন্য এই বাটন এ ক্লিক করতে হবে।
এখন পেজ এর নিচে এন্ট্রি ফর্ম দেখা যাবে।
সঠিকভাবে নাম, বয়স, দেশের নাম লিখে ফর্ম পূরণ করতে হবে।
কয়েকজন মিলে টিম হিসেবে অংশগ্রহণ করতে চাইলে টিম কোড ও লিখতে হবে।
ব্যাস। খুব সহজেই হয়ে গেল রেজিস্ট্রেশান!
২য় ধাপঃ অভিভাবকের সম্মতি
গুগল সায়েন্স ফেয়ার এ অংশ নেয়ার জন্য প্রতিযোগীর অভিভাবক কে অবশ্যই সম্মতি জ্ঞাপন করতে হবে।
ই-মেল কিংবা ফ্যাক্স এর মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের সম্মতি জানাতে পারেন।
ইমেইল এর মাধ্যেমেঃ
প্রতিযোগীকে তার অভিভাবকের ইমেইল আইডি নিজ নিজ ড্যাশবোর্ড এ দিয়ে দিতে হবে। এর পর কিছুক্ষণের মধ্যেই গুগল সায়েন্স ফেয়ার এর তরফ থেকে সম্মতি চেয়ে ১টি মেইল অভিভাবকের কাছে পৌঁছে যাবে। যথাযথভাবে সেই মেইল অনুসরণ করে সম্মতি জানালেই প্রতিযোগী গুগল সায়েন্স ফেয়ার এ অংশ নিতে পারবে।
ফ্যাক্স বা চিঠির মাধ্যমেঃ
অনলাইনে সম্মতি জানাতে কোন সমস্যা হলে https://www.googlesciencefair.com/en/2013/parents এই লিঙ্ক অনুসরণ করতে হবে।
এখানে একটি ফর্ম এর লিঙ্ক দেয়া আছে। ফর্ম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে স্ক্যান অথবা ছবি তুলে এই অ্যাড্রেস এ মেইল করতে হবে কিংবা নিচের ঠিকানায় চিঠি লিখতে হবে অথবা ফ্যাক্স করতে হবে।
ফ্যাক্স: 44 (0)20 7401 4000
লেটার অ্যাড্রেস: Google Science Fair 2013, EdComs, Capital Tower, 91 Waterloo Road, London, SE1 8RT, UK
লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সম্মতিপত্র নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পৌঁছায়। সম্মতি পাঠানোর শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল, ২০১৩।
৩য় ধাপঃ প্রোজেক্ট তৈরি করে ড্যাশবোর্ড এ এর বৃত্তান্ত উপস্থাপন
এখানে প্রোজেক্ট করা মানে আসলে প্রশ্ন করা! প্রতিযোগিতার প্রথম শর্তই হল প্রশ্ন করতে হবে এবং প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে চেষ্টা করতে হবে।
উত্তর খোঁজার জন্য প্রয়োজনীয় এক্সপেরিমেন্ট ও গবেষণা করতে হবে।
প্রত্যেক প্রতিযোগীর নিজস্ব ড্যাশবোর্ড থাকবে। এখানে তার প্রশ্ন ও এ সম্পর্কিত সকল এক্সপেরিমেন্ট ও গবেষণার বৃত্তান্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
ড্যাশবোর্ড তৈরিতে গুগল সায়েন্স ফেয়ার এর ওয়েবসাইট ই সাহায্য করবে।
নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রোজেক্ট জমা দিয়ে দিলে সমস্যা নেই।
শেষ তারিখের আগে যেকোনো সময়ই প্রোজেক্ট এর যেকোনো পরিবর্তন করা যাবে।
ড্যাশবোর্ড এ প্রোজেক্টটিকে বিভিন্ন সেকশন এ ভাগ করে উপস্থাপন করতে হবে। সেকশনগুলো হলঃ
Summary (প্রোজেক্ট এর সারমর্ম)
Step 1: About Me (নিজের কথা)
Step 2: The Question (প্রশ্ন)
Step 3: Hypothesis (অনুমান)
Step 4: Research (গবেষণা)
Step 5: Experiment and Procedure (পরীক্ষণ ও কার্যপ্রণালী)
Step 6: Data (তথ্য ও উপাত্ত)
Step 7: Observations (পর্যবেক্ষণ)
Step 8: Conclusion (সিদ্ধান্ত)
References (তথ্যসূত্র)
Acknowledgements (কৃতজ্ঞতা স্বীকার)
৪র্থ ধাপঃ প্রোজেক্ট জমা দেয়া
সব শেষে পুরো গবেষণার ফলাফল সুন্দর ভাবে প্রকাশ করে জমা দিতে হবে। যার প্রশ্ন ও প্রশ্নের সমাধান যত সুন্দর হবে, তাকেই বিজয়ী হিসেবে গণ্য করা হবে।
বিচারকরা যা দেখবেনঃ
বিচারপর্বের প্রথমেই বিচারকরা দেখবেন কার উপস্থাপনা কত সুন্দর।
প্রতিটি উপস্থাপনায় তাঁরা নিম্নলিখিত বিষয়গুলো দেখবেনঃ
১) নিজের কথাঃ প্রতিযোগীকে তার জিজ্ঞাসু মনের পরিচয় দিতে হবে। বোঝাতে হবে বিজ্ঞানের প্রতি তার ভালবাসা কতখানি। সে যে প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করছে তার সম্পর্কেও একটা স্বচ্ছ ধারণা দিতে হবে। এই প্রোজেক্ট এর ব্যাপারে সে কতটুকু উৎসাহী এবং এই প্রতিযগিতায় অংশ নেয়াটা তার কাছে কতখানি গুরুত্বপুর্ণ সেটাও জানাতে হবে।
২) প্রশ্নঃ সৃজনশীল, বিজ্ঞানসম্মত ও উৎসাহজনক প্রশ্ন করতে হবে।
৩) অনুমানঃ প্রশ্নের যুক্তিসঙ্গত উত্তর কি হতে পারে অনুমান করতে হবে। এক্ষেত্রে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে নিজের জ্ঞান এর পরিচয় দিতে হবে।
৪) গবেশনাঃ প্রশ্নের সঠিক উত্তর অনুমান করার জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন গবেষণাটি অবশ্যই বাস্তবসম্মত হয়।
৫) এক্সপেরিমেন্টঃ খুব ভাল ভাবে গুছিয়ে এক্সপেরিমেন্ট দাঁড়া করাতে হবে।
এক্সপেরিমেন্ট এর বর্ণনা ও ফলাফল স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
৬) তথ্যঃ এক্সপেরিমেন্ট এর জন্য উল্লেখ্য তথ্য প্রাসঙ্গিক হতে হবে। এক্সপেরিমেন্ট শেষে যেন একটা ভাল সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় এবং তা থেকে পুরো ঘটনা যেন সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা যায় সেথা মাথায় রেখে পুরো বিষয়টা উপস্থাপন করতে হবে।
৭) পর্যবেক্ষণঃ তথ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ এর মাধ্যমে ফলাফল বের করতে হবে।
৮) সিদ্ধান্তঃ সব শেষে সিদ্ধান্ত গুছিয়ে লিখতে হবে।
এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখা দরকার যে শেষ পর্যন্ত প্রশ্নের যথাযথ উত্তর মিলল কিনা। উত্তর পেয়ে থাকলে সেটার সত্যতা যাচাই করতে হবে। না পেয়ে থাকলে উত্তর না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত পূর্বের অনুমানের সাথে কতখানি সঙ্গতিপূর্ণ তাও বলতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।