বাক স্বাধীনতা মানে সত্য বলার অধিকার। Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission বা BTRC এর পক্ষে আমি।
ব্লগে বিভিন্ন ঘরানার ব্লগার আছে আওয়ামী ঘরানা, বিএনপি ঘরানা, আস্তিক ঘরানা, নাস্তিক ঘরানা, হিন্দু ঘরানা, ভারতের দালাল ঘরানা, পাকিস্তানের কুকুর ঘরানা, বাম ঘরানা, ডান ঘরানা ইত্যাদি ইত্যাদি। সব ঘরানার লোক যদি ব্লগে থাকতে পারে তবে বিটিআরসি ঘরানার লোক থাকতে অসুবিধা কোথায়?
আমি বিটিআরসির পক্ষে। কারণ, মডুদের অবিচারে নাব্যাচাব্ল -রা বড়ই অসহায় হয়ে গেছিলো।
আর 'ইবি' (ইসলাম বিদ্বেষী)- দের তেল বেড়ে গেছিল। ধন্যবাদ বিটিআরাসি। ব্লগে অনেক বিদগ্ধ ব্লগার আছেন যারা ইবিদের ব্যান চেয়ে সাধের নিকটা অকালে হারিয়েছেন। আমি সেইসব অসহায় ব্লগারদের পক্ষে।
আবার আমি নিয়ন্ত্রণের পুরোপুরি পক্ষপাতিও নই।
বিআরটিসি তা করছেও না। নিয়ন্ত্রণ করবে ব্লগ কর্তৃপক্ষ, মডারেটরগণ। এখানে কাউকে তোষণ করা হবে না- বাংলাদেশের সব ব্লগার সমান অধিকার ভোগ করবে এটাই হবার কথা। কিন্তু ব্লগের ইতিহাসে তা হয়নি। এ কারণে, শুধুমাত্র এ কারণেই বিআরটিসি এখানে হস্তক্ষেপ করেছে।
এখানে যারা অশণী সংকেত দেখতে পাচ্ছেন তাদের বলব, এখনই নাকে কান্না করার কিছু নেই। দেখা যাক বিআরটিসি পরে কী করে।
আর এটাও বইলা নেই যে, বিটিআরসি যেটা করতেছে সেটা ব্লগের নীতিমালাতেই আছে। কিন্তু মডারেটররা সেটা এপ্লাই করে নাই বিধায় বিটিআরসি সেটা জোর করে করাচ্ছে। মডুরা নীতিমালা না মানে একপক্ষ বেজায় খুশি হয়, আর বিটিআরসি সেটা করালেই যত দুষ।
ব্লগে এ যাবৎ কালে দুই ঘরানার লোককে জেনারেল বা ব্যান করার করার ভুরি ভুরি নমুনা আছে- এক নম্বর হচ্ছে জাশি আর দুই নম্বর হচ্ছে নাব্যাচাব্ল (নাস্তিকদের ব্যান চাওয়া ব্লগার)। কিন্তু বিটিআরসি ঘরানার ব্লগারকে এখন পর্যন্ত ব্যান করার একটা উদাহরণও নাই (ভয়ে আছি অচিরেই না শুরু হয়ে যায় )।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।