সময় কে জানতে চাই.. মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে কত কথা কত গৌরব কত মহত্ত্ব কত কিছুই না শুনি।
আজ এই বিজয়ের মাসে এই করুন মলিনমাখা মুক্তিযুদ্ধের সাহসী যোদ্ধা কে এই অবস্থাই দেখতে হল!!!
এ লজ্জা কোথাই রাখি?
রাজাকারের গাড়িতে বাংলাদেশের মন্ত্রিতের পতাকা ওড়ে। আর আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধার সৈনিকের গান গেয়ে দুমুঠো খাবার খেতে হয়।
কিচ্ছু না কিচ্ছু না সরকারের সবার আগে উচিত এই অতন্দ্রপ্রহিদের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ করে দেয়া।
না হলে এই দেশে আর কারো খাবার মুখে তোলা উচিত নয়।
এনাদের অনাহারে রেখে কিভাবে আমরা খেতে পাড়ি এনারা না থাকলে তো এখন আমাদের পশ্চিম পাকিস্তানের পা চাটতে হত। চিন্তা করে দেখেবেন।
তাও ভাল দেখুন ভিক্ষা করে নয় গান গেয়ে অপরের আনন্দিত করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করছেন।
শিক্ষা নেয়া উচিত নয় কি?
আসুন এই বিজয়ের মাসে আমরা এনাদের জন্য সংহতি প্রকাশ করি।
আজকে একটি অনলাইন পত্রিকাই দেখলাম তিন মাস বিনা চিকিৎসায় রোগে ভোগার পর বিজয়ের মাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ভূমিহীন বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল মিয়া (৬০)।
আমরা শুধুমাত্র এদের মৃত্যুর খবরই পাই বেচে থাকতে অদৃশ্য হয়ে যান।
কারণটা মনে হয় সৈনিকের সেই দৃপ্ত চেতনাটা এখন আর মলিন মুখে ফুটে উঠে না।
সে জন্য লুকিয়ে থাকেন আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখি।
ধিক্কার সরকার ধিক্কার আমাদের।
ধিক্কার মনুষ্যত্ব।
আমরা এত আন্দোলন এত মীটিং সমাবেশ করি একদিন কি এদের জন্য এদের সুষ্ঠু জীবনের নিশ্চয়তা দেবার জন্য একটা দিন দাড়াতে পাড়ি না?
না হলে যে স্বাধীনতার গায়ে কলঙ্ক রয়ে যাবে।
ছবিঃ ফেবু থেকে সংগৃহীত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।