যদি ঠাঁই দিলে তবে কেন আজ হৃদয়ে দিলে না প্রেমের নৈবদ্য
The charred bodies of Muslim who were burnt alive by terrorist Buddhist mob and monks called 969 campaign with the presence of police in Meiktilar city, Myanmar. The police and authorities were not stopping them to kill Muslim, to burn Muslim and their homes and to torch the Mosques in broad day light. Photo Credit – Maung Nyan
A body is seen on a street in Meikhtila on Thursday. (Photo: Reuters / Soe Zeya Tun)
এটা দাঙ্গা না, এটা নির্বিচার গণহত্যা! যেসব মিডিয়া এটাকে দাঙ্গা বলে হাল্কা করতে চায় তাদের মতলব কি জানি না! বুদ্ধের অহিংস ধর্মের নীতি ভুলে গিয়ে কি করে মায়ানমারের সংখ্যাগুরু বৌদ্ধরা এভাবে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধনযজ্ঞে (জাতিগত ক্লিনজিং) মেতে উঠল তা রীতিমত অবাক করার বিষয়। মায়ানমারের রাষ্ট্রযন্ত্র ইসরাইলের জয়োনিজমের মতই রোহিঙ্গা মুসলিমদের বহিরাগত বলে হেজিমনিক প্রচার চালিয়ে তাদের নাগরিকতাকে অস্বীকার করে রাখাইনদের মাঝে এক ধরনের উন্মত্ত জাতীয়তাবাদী ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছে আর তাই এই রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের অন্যতম কারন। বুদ্ধের ধর্ম অনুসারে যেখানে জীব হত্যাই মহাপাপ সেখানে এই ভাবে মানুষ হত্যা.........গণতান্ত্রিক সূচি না শান্তি তে নোবেল পাইছেন? কই আপনার শান্তির ললিত বানী? আপনি এখন ক্ষমতার মোহে সংখ্যাগুরু রাখাইনদের এই উন্মত্ত হত্যাযজ্ঞকে নিরবে সহে যাচ্ছেন স্রেফ ভোটের রাজনীতির কারনেই, আপনাদের এই গণতন্ত্রের নিকুচি করি!
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় সংখ্যাগুরু রাখাইনদের দ্বারা জাতিগত শুদ্ধি অভিযান, গণহত্যা ও বেপরোয়া লুটতরাজ এর শিকারে পরিণত হওয়া সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের মানবিক বিপর্যয় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এই আধুনিক সভ্যতার অমানবিক অসভ্যতা কতটা নির্্মম হতে পারে, নিপীড়িত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের এই দুর্দশা মোকাবিলায় পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের নির্দয় নির্বিকার ভূমিকা মূলত তাদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার যে আসলে শুধুই ভণ্ডামি আর কপটতা তার আরেকটি দলিল হয়ে থাকল। কিন্তু এই যে জাতিগত নিধন, গণহত্যা তার মোকাবিলায় আমেরিকা, ফ্রান্স, ইটালি, জার্মানি, জাতিসংঘ কেন এখন তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়ে নিপীড়ক মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না? কেন লিবিয়া, সিরিয়া এর মত মিয়ানমারের উপর আছড়ে পড়ছে না পশ্চিমা জঙ্গি বিমান? কেন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হচ্ছে না নিপীড়ক মিয়ানমারকে? আমি জানি, পশ্চিমারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের মানবিক বিপর্যয় রোধে কিছুই করবে না, নীরব দর্শকের মত তারা উপভোগ করবে এই জাতিগত নিধনযজ্ঞ। আমি জানি, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা বিধানে একটুও এগিয়ে আসবে না! আমি জানি, গনতন্ত্রপন্থি সূ চি ও এ ব্যাপারে কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবেন না, আমার কেবলি এই তথাকথিত আধুনিক সভ্যতার প্রতি তীব্র ঘৃণার সৃষ্টি হয়, মনে হয় এই বস্তুবাদী সভ্যতার আধুনিক মানুষ আজ বড্ড বেশি স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক, অনুভূতিহীন যান্ত্রিক মানুষে পরিণত হয়ে গেছে, এখানে আজ যা কিছুই ভাল, যা কিছুই উন্নত, যা কিছুই আদর্শিক (যেমন মানবতা,উন্নয়ন, গনতন্ত্র, মানবাধিকার, সভ্যতা) সব কিছুই শুধু অভিজাতদের জন্য, সব কিছুই সংখ্যাগুরুর জন্য, সেখানে সংখ্যালঘুর কোন অধিকার নেই, তাদের কোন আশ্রয় নেই, তাদের নিশ্চিহ্ন করতে পারলেই সংখ্যাগুরুর ভোগদখল আরও বৃদ্ধি পাবে! তাই পৃথিবীর দেশে দেশে আজ চলছে সংখ্যালঘুর উপর সংখ্যাগুরুর democratic domination. এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধে-
১।
সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী রাখাইনদের মহান বুদ্ধের অহিংস নীতি অনুসরণ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিপীড়ন না করে তাদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করা শিখতে হবে।
২। মিয়ানমারের সরকারকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে মেনে নিয়েই তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৩। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে যেন রোহিঙ্গাদের উপর জাতিগত নিপীড়ন বন্ধ করা হয়।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।