আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ... সার্ভেইল্যান্স কোম্পানিগুলো আপনার অজান্তেই আপনার আইফোন ব্যবহার করে আপনার পরিপার্শ্বের ছবি তুলে থাকতে পারে - বলেছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের অধীন একটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ব্যুরোর প্রতিনিধি
কোম্পানিগুলো এমন অনেক পণ্য বিক্রি করছে যা কিনা আপনার লিখিত বার্তা বদলাতে পারে, আপনার অবস্থান ট্র্যাক করতে পারে, আপনার ইমেইল কন্ট্যাক্টগুলো ব্যবহার করতে পারে জানিয়েছেন এই প্যানেল (প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনাল এবং আগে উল্লেখিত ব্যুরোর) প্রতিনিধি।
লন্ডনে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সচেতনা প্রচারক বক্তাদের এই বৈঠকে বেশ চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সমৃদ্ধ উইকলিকসে গত ১ ডিসেম্বর প্রকাশিত ২৮৭টি নতুন নথিতে ২৫টি দেশের প্রায় ১৬০টি বিভিন্ন সার্ভেইল্যান্স কোম্পানি সম্পর্কে আলোচিত হয়।
"এখানে কার আইফোন আছে, কার আছে ব্ল্যাকবেরী বা কারা জিমেইল ব্যবহার করেন?" অ্যাসাঞ্জ জিজ্ঞেস করেন, "আপনারার সবাই ধরা খাচ্ছেন!" তিনি যোগ করেন, "সত্য হচ্ছে এসব বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক হারে সার্ভেইল্যান্স তথ্যাদি বিক্রয় হচ্ছে এসব পণ্যের মাধ্যমে"।
প্যানেলের বক্তা, প্রতাপ চ্যাটার্জী (অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ব্যুরোতে কর্মরত যা সিটি ইউনিভার্সটি থেকে একট স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে) জানান, আপনার ফোন ব্যবহার করে আপনার রেকর্ড করা আপনার সম্পর্কে তথ্য প্রেরণ করতে পারে এমনকি যখন স্ট্যান্ডবাই মোডে থাকে। এসব তথ্য আপনার অবস্থান, আপনার কথোপকথন রেকর্ডিং এবং এমনকি ফোটোগ্রাফ যেকোনো কিছুই হতে পারে।
এই গুপ্তচর সফ্টওয়্যার আইফোন, ব্ল্যাকবেরি এবং উইন্ডোজ মোবাইল ইত্যাদিতে চলতে পারে।
স্তেফানিয়া মৌরিজি, ইতালিয় সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ল'এসপ্রেসো'র সাংবাদিক, এমন সব নথি দেখান যাতে বলা হচ্ছে এইসব সফটওয়্যারগুলো কেবল আপনার স্পাইংকৃত ফোন থেকে ইমেইল বা টেক্সট মেসেজই পড়তে বা পাঠাতে পারে তাই নয়, বরং নিজেই বানোয়াট বার্তা যুক্ত করতে পারে বা আপনার লিখিত বার্তা বদলেও দিতে পারে।
এই সফটওয়্যারগুলো বাণিজ্যিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে এবং কোনোপ্রকার নিয়মতান্ত্রিকতার বাইরেই বিক্রিও হচ্ছে।
মৌরিজি এবং এন. রাম (ভারতের দি হিন্দু পত্রিকার প্রধান সম্পাদক) স্কাইপ কথোপকথনের এ পর্যায়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন এজন্য যে এধরনের সার্ভেইল্যান্স পদ্ধতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন বা তদারকী ব্যবস্থাপনা এখনো গড়ে ওঠেনি।
কেমব্রিজ সিকিউরিটি গ্রুপের স্টিভেন মারডক বলেন, অনেক বৃটিশ কোম্পানিই এধরনের সফটওয়্যার তৈরি করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে যাদের মধ্যে সারে এবং অক্সফোর্ডের অনেকে আছে।
তিনি যোগ করেন এতে আইনগত বাধা বা সন্দেহের চোখ অনেকটাই উপেক্ষিত। "আমরা দেখতে পাচ্ছি কোনোরকম সন্দেহ এড়িয়ে ব্যাপক জনগোষ্ঠি এই গণ-মনিটরিংয়ে আক্রান্ত হতে যাচ্ছে - আর তথ্যগুলো মনিটর করে সংরক্ষিত থাকছে ভবিষ্যতে কাজে লাগবে এমন ভেবে। "
"নিয়ন্ত্রণহীন এই খাতটি এভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা তথা মানবাধিকারের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। "
সূত্র- Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।