লালমনিরহাটের কলেজছাত্রী পারভীনাকে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলার চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান হায়দার এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন হালিম বাদশা ওরফে বাদশাহ হালিম (২৭), মাহবুবুর রহমান ওরফে মাহবুব (২৭), রশিদুল ইসলাম ওরফে রাশিদুল (২৫) ও আতাউর রহমান (২৫)।
পারভীনার বাড়ি লালমনিরহাটের সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সাকুরপাড় গ্রামে। সে লালমনিরহাটের পাশের জেলা কুড়িগ্রামের রাজারহাট আদর্শ ডিগ্রি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী ছিল।
২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি পারভীনা শিক্ষকের বাসায় পড়া শেষে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। ১২ জানুয়ারি পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রতিধর গ্রামের একটি পুকুরে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। পরে পারভীনার লাশ ময়নাতদন্ত করে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়।
১২ জানুয়ারি পারভীনার বড় ভাই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রথম তিনজনকে আসামি করা হয়।
ওই দিনই হালিম বাদশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর হালিম বাদশা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আতাউর রহমান, রাশেদুল ইসলাম ও মাহবুবুর রহমানকে মামলায় আসামি করা হয়।
গত ১৯ জুন চাঞ্চল্যকর এ মামলার বাদী ও বিবাদীপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলে ২৭ জুন রায় ঘোষণার প্রথম তারিখ ধার্য করা হয়। কিন্তু ওই দিন মামলার রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত পুনরায় রায় ঘোষণার দিন ৩ জুলাই ধার্য করেন।
একই কারণে ওই দিন রায় ঘোষণা না করে আদালত দ্বিতীয়বারের মতো তারিখ পিছিয়ে ৯ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
মামলাটি ২০০৯ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাঞ্চল্যকর মামলার মনিটরিং সেলে ছিল। মামলাটি পরিচালনায় সহায়তা করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।