আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাপুড়ের প্রতিবাদ

প্রাণখোলা হাসির শব্দ শুনতে ভালোবাসি তবে সে হাসি হতে হবে স্বর্তস্ফূর্ত এবং মুখ খুলে। মুখ টিপে হাসার চেয়ে অট্টহাসিই আমাদের সত্যিকার প্রভাবিত করে এবং হাসির সংক্রমণ ঘটায়। বিষধর সাপ লালন-পালনের জন্য সাপুড়েকে এক টুকরা জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কিন' ভূমি রাজস্ব অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘুষ ছাড়া তা হস্তান্তর করতে নারাজ। দুই বছর ধরে দেন-দরবার করেও হাক্কুল নামের ওই সাপুড়ে জমি বুঝে পাননি।

অবশেষে তিনি প্রতিবাদ হিসেবে মঙ্গলবার ভূমি রাজস্ব অফিসে গিয়ে তিন ব্যাগভর্তি সাপ ছেড়ে দেন। সাপগুলোর মধ্যে কয়েকটি তিন হাত লম্বা বিষধর গোখরাও ছিল। উত্তর প্রদেশের হারিয়া থেকে টেলিফোনে ভূমি রাজস্ব প্রশাসন প্রধান সুভাষ মনি ত্রিপাঠি জানান, লোকটি তার সাপ পোষার জন্য একটা প্লট চেয়েছিল। কিন' এ ধরনের কাজে ভূমি বরাদ্দের কোনো নিয়ম নেই। তারপরও হাক্কুল অফিসের সর্বত্র সাপ ছেড়ে দেয়।

সাপের আতঙ্কে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চেয়ার-টেবিলে জড়সড় হয়ে বসে থাকেন। আর অফিসের বাইরে বিপুলসংখ্যক লোক তামাসা দেখতে ভিড় করেন। সাপুড়ে জানান, তিনি একজন প্রকৃতিপ্রেমী। সাপ পোষার জন্য তার একটি প্লট দরকার। এক ম্যাজিস্ট্রেট তা দিয়েও ছিলেন।

কিন' ঘুষ ছাড়া কর্মকর্তারা জমি বুঝিয়ে দিতে নারাজ। ধৈর্য ধরতে ধরতে আর না পেরে অবশেষে অফিসের ভেতরেই সব সাপ ছেড়ে দিয়েছেন বলে তিনি জানান। সাপে অবশ্য কাউকে কামড়ায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সাপগুলো ধরার কাজ করে যাচ্ছে। আর তার জমি বরাদ্দের আবেদনপত্রটিও দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস'া নেয়া হচ্ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।