আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই পিতার শহর আজ থেকে ঢাকা

আমি মুক্ত আমি স্বাধীন দুই পিতার শহর আজ থেকে ঢাকা আজ থেকে ঢাকা পেল দুইজন নগর পিতা। এর আগে শুনে থাকবেন দুই মাতার কথা কিন্তু ডিজিটাল সরকার আজ থেকে দুই নগর পিতা উপহার দিল ঢাকাবাসিদের। ঢাকা বাসিদের অভিনন্দন রইল দুই পিতা পারাব জন্য । যে ভাবে হলো দুই পিতার শহর: গতকাল বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে স্পিকার আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেটের সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। সংসদের নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

আর জরুরি জনগুরুত্বসম্পন্ন মনোযোগ আকর্ষণীয় নোটিস পর্বটি স্থগিত করা হয়। এরপরেই সরাসরি আইন প্রণয়ন কার্যাবলিতে চলে যান স্পিকার। শুরুতেই স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) বিল-২০১১ বিবেচনার জন্য গৃহীত হয়। এর আগে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, মইনুদ্দীন খান বাদল, শাহ জিকরুল হাসান, জামায়াতে ইসলামীর হামীদুর রহমান আযাদ ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম এ বিলে কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব তুললেও তারা কেউ উপস্থিত না থাকায় এ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সংশোধনী ও যাচাই-বাছাই প্রস্তাব উত্থাপিত না হওয়ায় অনেকটাই হতাশ হন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সংশোধনী প্রস্তাবগুলো উত্থাপিত হলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যেত। পরে তিনি বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে অভিনন্দন জানান। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় নেওয়া হয় মাত্র ৪ মিনিট। সংশোধিত বিল পাসের ফলে, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ নামে আলাদা দুটি সিটি করপোরেশন গঠিত হবে।

আর এ দুটিতে নির্বাচন হবে ৯০ দিনের মধ্যে। বর্তমান মেয়র ও কাউন্সিলররা আর দায়িত্বে থাকছেন না। নির্বাচন পর্যন্ত অনির্বাচিত ব্যক্তিই মেয়রের দায়িত্ব পালন করবেন। ঢাকার ওয়ার্ডগুলো এখন দুটি সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হবে। ১ থেকে ২৩, ৩৭ থেকে ৪৭ এবং ৫৪ ও ৫৫ ওয়ার্ড (মোট ৩৬টি) নিয়ে গঠিত হবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

২৪ থেকে ৩৬, ৪৮ থেকে ৫৩, ৫৬ থেকে ৯২ পর্যন্ত মোট ৫৬টি ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন হবে। সংসদে পাসের পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে বিলটি আইন হিসেবে কার্যকর হবে। বিল পাসের সময় অনুপস্থিত ছিলেনÑ সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছিলেন না জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদও। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর আইনের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে বিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করতে হবে।

এ সময় সরকার পছন্দের ‘উপযুক্ত’ ব্যক্তি বা যেকোনও সরকারি কর্মকর্তাকে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। তবে এক ব্যক্তি একবারের বেশি প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। সবকয়টি সিটি করপোরেশনের জন্য অভিন্ন স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) আইন কার্যকর হবে বলে মেয়াদোত্তীর্ণ যেকোনও সিটি করপোরেশনেও প্রশাসক নিয়োগের বিধান হল। মেয়াদোত্তীর্ণের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের বেশি দিন প্রশাসক নিযুক্ত থাকতে না পারলেও নতুন সিটি করপোরেশনে ১৮০ দিন দায়িত্বে থাকতে পারবেন। সংশোধিত বিলে অন্তর্বর্তী দায়িত্ব পালনের জন্য ‘উপযুক্ত’ ব্যক্তির কথা বলা হলেও তার যোগ্যতার কোনও মাপকাঠি নির্ধারণ হয়নি।

এছাড়া সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগে সেনা মেতায়েনের আইনি সুযোগ বাদ দিয়ে বিলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞায় পবিবর্তন আনা হয়েছে। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।