পরিমিত খাবার-পানীয় গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ধূমপান কমালে তা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতো মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে পারে বলে এতোদিন চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে ছিলেন।
তবে বিবিসি জানায়, নতুন ওই গবেষণায় পরিমিত ঘুমানোর মাধ্যমে হৃদরোগে মৃত্যুঝুঁকি কমার কিছু প্রমাণ পান ইউরোপের বিজ্ঞানীরা।
গত ১০ বছর ধরে নেদারল্যান্ডসের একদল গবেষক ১৪ হাজার নারী-পুরুষের মাঝে বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ চালান।
এতে দেখা যায়, এদের মধ্যে ৬০০ মানুষ পাওয়া যায় যারা হৃদরোগে আক্রান্ত এবং এদের ১২৯ জনের মৃত্যু হয়।
নিয়মিত ব্যায়াম, পরিমিত খাবার ও ধূমপান থেকে দূরে থাকার মতো প্রচলিত সতর্কতাগুলো অবলম্বন করে ৫৭ শতাংশ মানুষ হৃদরোগ থেকে এবং ৬৭ শতাংশ মানুষ এ সংক্রান্ত অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
এছাড়া্ প্রচলিত সতর্ক জীবন যাপনের সঙ্গে নিয়মিত সাতঘণ্টার অধিক ঘুমের চর্চাটি হৃদরোগে মৃত্যু ঝুঁকি ৬৭ শতাংশ থেকে ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে বলে গবেষকরা জানান।
ইউরোপিয়ান জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি ছাপানো হয়।
নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব বার্জিনের অধ্যাপক গ্রিথ এস টেল বলেন, এই গবেষণার মূল শিক্ষাটি হচ্ছে সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ অ্যান্ড এনভাইরনমেন্টসহ আরো দুইটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওই গবেষণা কাজ পরিচালনা করা হয়।
বিবিসি জানায়, অসুস্থ্যতা বা অন্য কোনো কারণে যারা নিদ্রাহীন রাত পার করেন তাদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
রাতে অনিদ্রার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে এই গবেষণায় এমন কিছুও পাওয়া যায়নি।
শুধুমাত্র প্রচলিত সতর্কতাগুলো অবলম্বনের সঙ্গে লম্বা সময় (সাতঘণ্টা) ঘুমের বিষয়টি যোগ হলেই কেবল তা হৃদরোগের জন্য আরো উপকারি হয় বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।