আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমতলার আশ্বিন

বাংলার আলো-জলে ধূলো মেখে বেড়ে ওঠা মুক্তি সন্ধ্যাবেলায় ভাতের মাড় ফোটার মতোই টগবগ করে ফুটছিল আমতলার বাতাস। আর রাত নয়টার পর থেকেই ঝাকি দিতে দিতে প্রেসার কুকারের মতো ফোঁস ফোঁস করে উষ্ণতাপ ছেড়ে কমতে বাধ্য হয় সেই পশ্চিমের আবেগী তাপ, কামতাপ। তাপমোচনে বাধ্য হতে বাধ্য হয়। খোলা গাছতলায় ইট পোড়াতে বড্ড বাঁধে। কিন্তু ভাটায় তীব্র আগুন জ্বলে।

বাষ্প গলে। আর এখন রাতে ফেরার সময় দেখলাম- কী সিগ্ধ ! শীতের সেই শান্ত আমতলা। আমার মনে হয় আমতলার কাল দুইটা। শীতকাল আর গরমকাল। প্রতিদিন কয়েকঘন্টার জন্য এই আলো-আধারি শিহরিত সন্ধ্যার উষ্ণতাই হয়তো বাচিয়ে রেখেছে আমতলার কামঝরা লোভনীয় দর্শনীয় ক্ষণ , নাগরিকাদের হিস হিসস ছন্দ আর কতিপয় বিনোদন সওদাগরকে ।

বাঁচিয়ে রেখেছে আমতলার আবেদনকে.. বাঁকে বাঁকে জীবনের মজা খুঁজে বেড়ানো কিছু দুষ্ট বাঁদরকে উপেক্ষা করে জড়াজড়ি-চুমাচুমি আর ধরাধরির মধু-মৌণতা শেষে-টেনেটুনে কাপড় ঠিক করে-আলো এড়িয়ে মুখচোরা যৌণতা শিকারী যুগল লেপ্টালেপ্টি হয়ে চলে যায় এদিকে সেদিকে। আহ! কী নির্লজ্জ লজ্জ্বা রে.! তারপর আমতলায় ধীরে ধীরে শীত নেমে আসে । ঘাই-হরিণি ছটফটিয়ে মরে... আহা ! পানি ভাঙ্গে ঘাই-হরিণির, ছটফটিয়ে মরে.... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.