ধর্মান্ধ এবং নাস্তিকরা দূরে থাকুন… কি যুগ আইলরে। হালার একটা পোলাপাইনও খুইজ্জা পাওয়া যায় না। সব খালি ফেসবুক লইয়া পইরা থাকে। মাগার আসল জীবনের ফ্রেন্ডের খবর নাই।
আমাদের মহল্লার কালা মাসুদঃ সারা জীবন তপস্যা কইরা একটা মেয়ের লগে বন্ধুত্ব করতে পারল না।
সেই কালা মাসুদ এখন ফেসবুকে প্রেম কইরা বেড়ায়। আর অই পাড়ার মজিলা খাতুন আমাগো লগে ভাব দেহায়। ফেসবুকে ৫৪২০ টা বন্ধু বানাইয়া ক্যাটরিনার ভাব লয়।
আর আমাগো টাইগার সুমন ফেসবুকে পিরিত কইরা ছেকা খাইয়া এখন দিন রাইত বিড়ি ফুঁকে। এক্কেবারে খাটি দেবদাসের পার্ট লয়।
সেই চাইর মাস আগে কার লগে জানি ফেসবুকে ডেটিং মারত। তহন ও কইত "ফেসবুক মাগার জিনিসই একখান"। আর অহন কয় "ফেসবুক একটা হৃদয় ভাঙ্গার যন্ত্র"। কেন যে তার এই কথার পরিবর্তন আশা করি আপনেরা বুইজতে পারচেন। এই নিয়া হইয়া গেল এক কান্ড।
টাইগার সুমন রীতিমত রাস্তার পাশে খারাইয়া ফেসবুকের নামে অপপ্রচার চালাইতে আছে। অই রাস্তা দিয়া আবার আমগো কালা মাসুদ আইতে আছে এক্কেবারে হূমায়ূনের ভাব লইয়া। আমরা জিগাইলাম "অই মাসুদ, এত্ত ভাব লইয়া হাটতাচছ?"
- আর কইছ না। আইজ আমিও ৪০০০ মারলাম।
- মানে?
-মানে বুইজলি না! আমার একখান আইডি আছে না! 'জুলেখা জেম্স' ওইটার ফেরেন্ড লিস্ট অহন ৪০০০ পাড় করছি।
-তাতে এত ভাব লওয়ার কী আচে?
-বুজবি না।
আমরা কতা গুলা ভালো মতই শুইনলাম। মাগার টাইগার ভাই আস্তে আস্তে খাড়াইয়া অর কাচে গেল। আর তারপরেই টাসসস.... কইরা একটা আওয়াজ অইল। তাকাইয়া দেহি বেচারা কালা মাসুদ মাটিতে পইরা রইছে।
আমি তো পুরাই তাজ্জব গেলাম। হালার সুমইন্না করছেডা কী!
পরে জানলাম অই কালা মাসুদ নাকি টাইগার ভাইয়ের লগে ফেসবুকে ডেটিং মারত। তাও আবার অই জুলেখা আইডি লইয়া। আরও তাজ্জব খাইলাম যহন শুনলাম সুমন ভাইও নাকি ডিজে কুদ্দুস আইডি দিয়া পিরিত করত। তাই কালা মাসুদ কানা হইয়া গেল।
আর চিনতে পারল না যে অইডা আমাগো সুমন ভাই। তাই ফেক পিরিত করছে।
সব শুইনা ভাবলাম, এইডা ফেসবুকের যুগ। পোলারা ফেসবুক দিয়া হিজরা হইয়া যাইতেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।