আমি একাই পৃথিবী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম http://www.facebook.com/kalponikvalo একটা সময় ছিল, রাতে লোড শেডিং হলে সবাই ছাদে উঠে আসত। নানারকম গল্পগুজবের মধ্য দিয়ে সেই লোড শেডিং এর সময়টা পার করা হত। আর আকাশে চাঁদ থাকলে সেই আড্ডার আনন্দ অনেকগুন বেড়ে যেত। ছাদে শুয়ে শুয়ে কত যে শহুরে জোৎস্না উপভোগ করেছি তার কোন হিসেব নেই।
এই উপভোগ আরো বেড়ে যেত যখন আমরা দেখতাম, আশেপাশে বাসার ছাদে কোন তরুনীও উঠেছে। ছাদের সেই জোৎস্না বিলাস পরিনত হত দূঃখ বিলাসে। ছেলেপেলের কন্ঠে বেদনাবিধুর আহবান মূলক গানের সাথে জোৎস্নার আলো একটা অদ্ভুত রোমাঞ্চকর পরিবেশ সৃষ্টি করত।
রিক্সা করে বাসায় ফিরছিলাম। দেখলাম, বিশাল একটা চাঁদ উঠেছে।
শহরের আলোতে আর যাই হোক চাঁদের আলো দেখা যায় না। হঠাৎ মনে হল, ইস! এখন যদি কোন কারনে সব গুলো লাইট নিভে যেত। কিংবা হঠাৎ একটা লোড শেডিং!
বাসায় ফিরে ফ্রেস হয়ে ছাদে এসে দাঁড়ালাম। আমার নয় তলা বাসার ছাদটাকে আমার কেমন যেন পাহাড় পাহাড় মনে হচ্ছে। হাই রাইজ বিল্ডিং একটা সুবিধা আছে।
আশেপাশে বিল্ডিং এর আলো এসে ছাদে পড়ে না। আরাম করে জোৎস্না উপভোগ করা যায়। আমি ছাদের বেঞ্চিতে শুয়ে পড়লাম। সেই আগের দিনের মত করে শুয়ে শুয়ে চাঁদের আলো দেখা। সাথে হালকা ঝিরি ঝিরি বাতাস।
কি অদ্ভুত সুন্দর একটা ব্যাপার।
কিছুটা মন খারাপ হল। হঠাৎ পাশে কারো অভাব অনুভব করলাম। এত সুন্দর একটা চাঁদ একা দেখতে হচ্ছে, মন খারাপের জন্য আর কোন ভালো কারনের দরকার আছে কি? মনে হয় নেই। গতকাল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, বিষন্নতার একটি নিজস্ব সৌন্দর্য আছে।
কথাটি আসলেই সত্য। শুধু তাই নয়, একাকীত্বেরও একটা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে। তবে সকল সৌন্দর্যই একসময় অসহ্য লাগে। এটাই জগতের নিয়ম। অসহ্য সৌন্দর্য এর মুখোমুখি কি কখনও হয়েছেন??
এটা আসলে একটা এলোমেলো পোষ্ট।
এই ধরনের লুতুপুতু পোষ্ট লিখে শান্তি নাই। লেখার মান খুব একটা বাড়ে নাই। দিন দিন মনে হয় কমেই যাচ্ছে, কমেই যাচ্ছে। আজকে একটা মজার বিষয় খেয়াল করলাম, এই সামু ব্লগে এই নিকে আমার একবছর পূর্তি হয়েছে। কিভাবে কিভাবে যেন এক বছর পার করে ফেললাম।
অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে, অনেক কিছু জেনেছি। এই ব্লগের মাধ্যমেই ইতিহাসের অংশ হয়েছি। ভাবতেই ভালো লাগে। অনেকের কাছে অনেক ফিডব্যাক পেয়েছি, অনেক সহযোগিতা পেয়েছি, সবাইকে অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
যাই হোক, প্রথম পোষ্ট ছিল একটা কবিতা।
আজকেও একটা কবিতা টাইপ গদ্য পদ্য খিচুড়ী দিলাম। ছাদ শুয়ে শুয়ে জোৎস্নাস্নাত হতে হতে এই লাইনগুলোই মাথায় ঘুরছিল। নাম দিয়েছি চন্দ্রকাহন।
চন্দ্রকাহন
নতুন আইন ঘোষনা করা হোক,
পূর্নিমার রাতে শহরে জ্বলবে না কোন বাতি।
প্রেমিকাদের থাকবে না বাড়ি ফেরার তাড়া,
থাকবে না তাদের বাবার রক্তচক্ষুর ভয়।
শহরের রাজপথগুলো হবে চন্দ্রাহত মানুষে পরিপূর্ন।
সেই রাজপথে আমরা হাতে হাত রেখে,
তোমার ললাটের আকাশে, আমার অধরের স্পর্শ দিয়ে
আমরা হব জোৎস্নাস্নাত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।