অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই খুলনা অভিমুখে রোডমার্চ শেষে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যেই তোলপাড় হয়ে গেল যার প্রভাব শীঘ্রই দেখা যাবে, তার মানে বুঝতে ছবিটা দেখতেই হবে।
কেন এত মানুষ? কারন এই মুহুর্তে দেশবাসী বর্তমান সরকারের উপর বিশ্বাস ও আস্থা হারিয়ে এখন প্রাণে বাঁচার জন্য নেতৃত্ব খুঁজছে! এবং বিএনপি নেত্রী চমৎকারভাবে সেই দায়িত্ব নেবার মত প্রস্তুতি দেখিয়েছে। সুন্দর ভাবে সরকারের ব্যার্থতার প্রতিটি পয়েন্ট পরিষ্কার করেছে খালেদা জিয়া , যা ওনার মুখে শুনার জন্য দীর্ঘদিন মানুষ অপেক্ষা করেছে :
প্রথম আলো'র রিপোর্ট বিশ্লেষন করে এই পোস্ট:
১- বিরোধীদলীয় নেতা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে পরিকল্পিতভাবে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা করেছে।
২- তিনি বলেন, এ সরকার দুর্বল ও দুর্নীতিবাজ সরকার।
৩- দর-কষাকষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যর্থতার কারণে তিস্তা চুক্তি হয়নি।
৪- এ সরকার টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারেনি,
৫- ভারত থেকে মাদক প্রবেশ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়নি, তরুণদের ধ্বংস করছে।
৬- দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতু হয়নি,
৭- রাস্তাঘাট হয়নি,
৮- শেয়ারবাজার ধ্বংস হয়েছে,
৯- দ্রব্যমূল্য বেড়েছে।
এর আগে যশোরে তিনি বলেন,
১০- সরকারের বয়স যত বাড়ছে, তাদের অবস্থা ততই খারাপ হচ্ছে।
১১- এ সরকারের মন্ত্রীরা সব অযোগ্য, অপদার্থ ও ব্যর্থ। এদের দিয়ে দেশের উন্নয়ন হবে না।
১২- এরা লুটপাটে ব্যস্ত, ব্যস্ত কমিশন নেওয়া নিয়ে
১৩- ‘আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ যত লীগ আছে, তাদের লুটপাটের ফ্রি লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে।
১৪- এসব লীগ যতই মানুষ খুন করুক না কেন, তাদের কেউ কিছু বলবে না।
১৫- এরা নিজেরা নিজেরাই মারামারি করছে।
১৬- কিছুদিন আগে নরসিংদীতে একজন মেয়র খুন হন। এর সঙ্গে এক মন্ত্রীর ভাই জড়িত বলে নিহতের পরিবারই অভিযোগ করেছে।
’
তিনি আরো বলেন,
১৭- ‘প্রধানমন্ত্রী দিশেহারা হয়ে গেছেন।
- এ জন্য তিনি বিএনপির রোডমার্চের গাড়ির নম্বর লিখছেন। কাঁচি নিয়ে বসে আছেন বিদ্যুতের তার কাটার জন্য। গাড়ির মালিক খুঁজছেন, কাকে বাড়ি থেকে বের করবেন, এসবই তাঁর কাজ।
- এভাবে দেশ কীভাবে চলবে।
’
১৮- তিনি অভিযোগ করেন, এ সরকার ও তাদের দলীয়রা দুর্নীতির টাকায় ভেসে যাচ্ছে, জনগণ কিছু পাচ্ছে না।
১৯- শেয়ারবাজার ধ্বংসের কারণে দেড় কোটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২০- প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, সেনাবাহিনীসহ সব প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ করা হয়েছে। এদের কারণে ভবিষ্যতে দেশ চালানো কঠিন হয়ে যাবে।
-খালেদা জিয়া বলেন, এই দিনে (২৭ নভেম্বর) স্বৈরাচারী এরশাদ ডা. মিলনকে হত্যা করেছিলেন।
তাঁকে পাশে বসিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুলনার মানুষের জন্য বর্তমান সরকার কিছু করেনি।
যথাযথ এই অভিযোগগুলো শুনার জন্য খালেদা জিয়ার সামনে উপস্থিত হয়েছিল এই পরিমান মানুষ!!!!!
(ছবি কৃতজ্ঞতা এবং তথ্য : প্রথম আলো)
রোডমার্চকে ঘিরে খুলনা, যশোর ও বাগেরহাটজুড়ে বিএনপিসহ স্থানীয় মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। যাত্রাপথের বিভিন্ন স্থানে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ বানিয়ে এবং সড়কের দুই পাশে হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে খালেদার গাড়িবহরকে স্বাগত জানায়।
এবং তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বিএনপি চায়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেই ২০টি অভিযোগ করেছে তার সবকটিই যথার্থ এবং দেশবাসীরও একই অভিযোগ! প্রতিটা মানুষই আজ বিরোধীদলীয় নেত্রীর বলা কথাগুলোর বাস্তবতার সাথে তুলনা করলেই তার সত্যতা খুজে পাবে। রোডমার্চ শেষে খুলনার এই মহাসমাবেশ মানুষের সরকারবিরোধী মনোভাবেরই প্রতিফলন।
চট্রগ্রাম মুখী রোডমার্চ শেষে দেশব্যাপী, কি আলোড়ন হয় তা দেখার অপেক্ষায় এবং রাজাকারদের বিচারে আরো শক্ত এবং পরিষ্কার অবস্থান দেখার আশায় রইলাম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।