mamun.press@gmail.com লন্ডন, ২৪ নভেম্বর: বিজ্ঞানীরা এবার দীর্ঘ গবেষণা শেষে বিশ্ববাসীকে জানালেন, “সুখের স্মৃতি নিয়ে যত ব্যস্ত থাকা যাবে, আপনার আয়ু ততই বাড়বে। ” আর সুখের স্মৃতিগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নিয়মিত তা ডায়েরিতে নোট করা।
অনেক বছর ধরেই দীর্ঘায়ু এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা করছেন লন্ডনের সাইকোথেরাপিস্ট ক্রিস্টিন ওয়েবডার। সম্প্রতি ‘ডেইলি মেইল’কে তিনি জানালেন দীর্ঘায়ু এবং মানসিক স্বাস্থের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে।
ওয়েবডার জানিযেছেন, যারা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে চান তাদের জন্য সুখের স্মৃতি সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।
এটা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে এবং দেহের নেতিবাচক স্নায়ুগুলো নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
ওয়েবডারের মতে, বর্তমান বিশ্বে নিউরোসায়েন্স মানব মস্তিষ্কে নতুন একটি ক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেছে। মানুষ যখন সুখের স্মৃতিগুলো বার বার মনে করে এবং খুশি হয় তখন মস্তিষ্কে এক ধরনের চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। যা দেহের বিভিন্ন অংশে এক ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং দেহ অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাই সুখের ঘটনাগুলো রেজিস্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করে, সময় পেলে তাতে চোখ বুলিয়ে নিলে কোনো ক্ষতি তো হবেই না বরং নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে কয়েক বছর বেশি বাঁচা যাবে।
অন্যদিকে, একই বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন ইটালিয়ান মনস্তত্ত্ববিদ এবং মনরোগ বিশেষজ্ঞ জিওভান্নি ফাভা। তিনি হতাশা এবং অবসাদে ভোগা রোগীদের সব সময়ই পরামর্শ দিচ্ছেন অতীতের সুখের স্মৃতিগুলো ডায়েরিতে নোট করার জন্য। এটা তিনি তার রোগীদের কাছ থেকে অনেকটা স্কুলের হোম-ওয়ার্কের মতো আদায় করে নিচ্ছেন।
ফাভা জানিয়েছেন, এই হোম-ওয়ার্কের কারণে তিনি এখন রোগীদের কাছ থেকে অনেক সাড়া পাচ্ছেন। এমনও হয়েছে ডিপ্রেশনে ভুগে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরাও এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে।
এবং তাদের পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তারা এখন অনেকদিন বাঁচতে চান এবং এই বাঁচার ইচ্ছাই তাদের আয়ুকে অনেকখানি বাড়িয়ে দিচ্ছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।