আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেড়ার দু'পাশে হাজারো স্বজন

অতি সাধারণ....প্রধানমন্ত্রী হলে দেশটারে সাজাইতাম ঠাকুরগাঁও, নভেম্বর ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- কাঁটাতারের বেড়া ভৌগোলিক সীমা অতিক্রম করতে না দিলেও স্বজনদের সঙ্গে মিলনে বাধা দিতে পারেনি দুই বাংলার মানুষকে। শুক্রবার দুপুরে ঠাকুগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার চাঁপাসার সীমান্তে দুই বাংলার কয়েক হাজার নরনারী সমবেত হয়েছিলেন স্বজনদের সঙ্গে মিলতে। স্থানীয় জিউ কালী পূজা (পাথরকালী) উপলক্ষে প্রতিবছর এই বিশেষ দিনে এখানে হিন্দু স¤প্রদায়ের লোকজন মেলা উদযাপন করে। মেলাকে ঘিরে প্রতিবছরই এখানে দুই বাংলার মানুষ জমায়েত হয় সীমান্তের ৩৪৬ নম্বর পিলার এলাকায়। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসতে থাকে।

এক সময় প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা কয়েক হাজার মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। প্রথম অবস্থায় দু'দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এপার ও ওপারের কাউকে সীমান্তরেখার কাছে ঘেঁষতে দেয়নি। এক পর্যায়ে তারা মানুষকে আর দূরে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের কাঁটাতার ঘেঁষে দু'পাশে জমায়েত হওয়ার অনুমতি দেয়। বেড়ার দু'পাশ থেকে স্বজনদের মধ্যে আদান-প্রদান হয় নানা রকমের উপহার ও খাদ্য সামগ্রী।

পীরগঞ্জ উপজেলার দানাজপুর গ্রামের চৈতি (৪৫) এবার দেখা করেছেন তার মেয়ে বাসন্তী রাণীর সঙ্গে। বাসন্তী থাকেন পশ্চিমবঙ্গের পানিদিঘী গ্রামে। ১৫ বছর পর মেয়েকে দেখে প্রথমে কান্নায় ভেঙে পড়েন চৈতি। পরে মেয়ে ও মেয়ে জামাইকে কাপড় ও মিষ্টি উপহার দেন। ওপার থেকে আসা জয়পুরহাটের পূর্ণিমা জানান, ২০ বছর পূর্বে তার ছোট বোন পুর্মিলার বিয়ে হয় ভারতের আলিয়াগঞ্জ গ্রামে।

এরমধ্যে আর দেখা হয়নি তাদের। দু'বোনের মিলনে দু'জনই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ওপারের মলিন চন্দ্র ১৫ বছর পর দেখলেন মা'কে। তারের ফাঁক দিয়ে তিনি মাকে মিষ্টি ও শাড়ি দিতে পেরে খুবই খুশি। এ ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চাঁপাসার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার রেজাউল করিম বলেন, মিলনমেলার দু-দেশের কোন অনুমতি ছিল না।

কাঁটাতারের বেড়ার দু'পাশে থেকে দু'পারের লোকজন কথা বলেছেন, খাদ্য ও উপহার বিনিময় করেছেন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/ডিডি/২২৩১ ঘ.  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।