তুই ভালো থাকিস, আমি সুন্দর থাকবো
বিখ্যাত এই মনিষীর জন্ম ১৮৭৯ সালে, পরলোকগমন করেন ১৯৫৫ সালে।
১। আইনস্টাইন কে একবার খুব সহজ ভাষায় রিলেটিভিটিকে ব্যাখ্যা করতে বলা হলো,
" আপনার হাত একটা জলন্ত চুলার উপর এক মিনিটের জন্য ধরে রাখুন, মনে হবে এক ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে" আইনস্টাইন বলতে শুরু করলো "আর এক সুন্দরী মেয়ের পাশে ১ ঘন্টা বসে থাকুন, আপনার কাছে মনে হবে মাত্র ১ মিনিট পার হলো, এটাই রিলেটিভিটি"।
২। আইনস্টাইন এর প্রতিটি সেমিনারে-ই পিছনে বসে লেকচার শুনতে শুনতে তার ড্রাইভার একবার তাকে বলেই বসলো, আপনি তো সব জায়গায় একি লেকচার বারবার দেন, তারপর ও লোকজন আপনার লেকচার যে কেন শুনে? আমি আপনার লেকচার এতোবার শুনেছি যে এখন চাইলে আমি ই আপনার লেকচার দিতে পারি।
এর পরবর্তী সেমিনারে আইনস্টাইন তার ড্রাইভারের সাথে পোষাক পরিবর্তন করে সেমিনার এর পিছনে বসে রইলেন আর তার ড্রাইভার লেকচার দিতে শুরু করলো। অত্যন্ত নিখুত ও সাবলীল ভাবে লেকচার শেষ করার পর প্রশ্ন উত্তর পর্বে এক দর্শক এমন এক প্রশ্ন করে বসলো যার উত্তর ড্রাইভারের জানা নাই।
ড্রাইভারের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া "আপনি খুব-ই সহজ একটা প্রশ্ন করেছেন, আপনার প্রশ্নটা এতোই সহজ যে আমি নিশ্চিত সেমিনারের পিছনে বসে থাকা আমার ড্রাইভার-ও এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে"।
৩। আইনস্টাইনের ঘরনী সব সময় তাকে জামা কাপড়ের ব্যাপারে সচেতন হতে উপদেশ দিত, কিন্তু আইনস্টাইন সবসময়-ই অনেক সাধাসিধে জামা কাপড় পরতো আর তার কারণ হিসেবে বলতো, "আমার কর্মক্ষেত্রে সবাই আমাকে চিনে তাহলে এতো চমকদার কাপড় পরার কি দরকার"।
আইনস্টাইন যেদিন তার প্রথম সেমিনারে যাবে সেদিন ঘরনী আবার তাকে অনুরোধ করতে শুরু করলো একটু ভালো জামা কাপড় পরার জন্য, "আমি যেখানে যাচ্ছি, সেখানে আমাকে কেও চিনে না, তাহলে ভালো কাপড় পরার দরকারটা কি?" - আইনস্টাইনের উত্তর।
৪। আইনস্টাইন কথা বলতে শুরু করে ৪ বছর বয়সে গিয়ে, তার আগ পর্যন্ত সে কোনো কথা বলেনি, একদিন খাবার টেবিলে হঠাৎ করেই নিরবতা ভেঙ্গে বলে উঠে, "স্যুপ টা অনেক গরম"। তাকে কথা বলতে দেখে অবাক বিস্ময়ে তার বাবা-মা জানতে চায় কথা বলতে পারা সত্তেও এতোদিন সে কেন কথা বলেনি।
- "কারণ এতোদিন পর্যন্ত কথা বলার প্রয়োজন পড়েনি"।
৫। আইনস্টাইন একবার ঘোষনা দিলো রিলেটিভিটি-র থিওরি-র পর তার সবচেয়ে বড় আবিস্কার হচ্ছে ডিম সেদ্ধ করার জন্য ডিমকে স্যুপ রান্নার সময় স্যুপের পাত্রে রেখে দিতে হবে, এতে করে স্যুপ ও রান্না হবে ডিম ও সিদ্ধ হবে কিন্তু পাত্র লাগবে মাত্র একটা।
মহান লোকের মহান আবিস্কার... ... ... ...
৬। আইনস্টাইন তার সহকারীকে নিয়ে একদিন ল্যাবে কাজ করার সময় একটা পেপার ক্লিপ খুজছিলো কিছু কাগজ গুছিয়ে রাখার জন্য। অনেকক্ষন খুজাখুজির পর যে পেপার ক্লিপটা পেলো সেটা এমন ভাবে বেকে গেছে যে সেটা দিয়ে কোনো কাজ-ই হচ্ছে না।
এবার তারা দুজন মিলে খুজতে শুরু করলো এমন একটা কিছু যেটা দিয়ে এই ক্লিপটাকে ঠিক করা যাবে। বেশ কিছুক্ষন খুজে সহকারী পেপার ক্লিপ এর একটা বড় বক্স পেয়ে সেখান থেকে একটা ক্লিপ নিয়ে আইনস্টাইন কে দিলো। মহান আইনস্টাইন সেই ক্লিপ টা বাকা করে সেটা দিয়ে আগের বাকা ক্লিপটাকে ঠিক করার চেষ্টা করতে লাগলো।
"আপনি ভালো ক্লিপ টা ব্যাবহার না করে ঐ নষ্ট ক্লিপটাকে কেন ঠিক করছেন?" বিস্মিত সহকারীর এই প্রশ্নে আইনস্টাইনের জবাব, "আমি যখন আমার লক্ষ্য ঠিক করে ফেলি, তখন এমনকি আমিও সেটা আর পরিবর্তন করতে পারিনা। "
৭।
আইনস্টাইনের সহকর্মী একদিন আইনস্টাইনের কাছে তার ফোন নাম্বারটা জানতে চাইলো। আইনস্টাইন সাথে সাথে একটা টেলিফোন ডিরেক্টরী থেকে তার ফোন নাম্বার বের করে দিলো। সহকারী অবাক হয়ে জানতে চাইলো, "তুমি তোমার নিজের ফোন নাম্বার জান না?"
-"না, যেটা আমি খুব সহজে বই থেকে দেখে নিতে পারি, সেটা কেন আমি মাথায় রাখবো?"
এবং সবশেষে আইনস্টাইনের কয়েকটি টি বিখ্যাত উক্তিঃ
৮। ৩য় বিশ্বযুদ্ধে মানুষ কি দিয়ে লড়াই করবে তা আমি জানিনা, কিন্তু ৪র্থ বিশ্বযুদ্ধে লড়াই করার জন্য মানুষ লাঠি আর পাথর ছাড়া কিছু পাবে না।
৯।
"Gravity is not responsible for people falling in love"
১০। "আমি মেধাবি নই, আমি একটু বেশি মাত্রায় কৌতুহলী"।
১১। "সুন্দরী তরুনীকে চুমু খাবার সময় যে লোক নিখুত ভাবে গাড়ি চালাতে পারে, সে আসলে নিখুত ভাবে চুমু খেতে পারে না"।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।