আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেমাইয়ের শাহী টুকরা ও আমার ঈদলিপি

আনাড়ী রন্ধন শিল্পীর ব্লগ B-)। ব্লগের বাজে-মানহীন লেখাগুলোর মাস্টার পিস দেখতে চাইলে এই ব্লগারের পোষ্ট গুলো পড়ে দেখতে পারেন। কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না। B-) রান্নাবান্নাটা সব সময়ই ভাল লাগে তবে এটার নেশাটা মনে হয় চরম ভাবে হইসে সামু থেকেই। বিভিন্না সময়ে বিভিন্ন রেসিপি দেখে ট্রাই করে করেই।

পেপারের রেসিপি দেখেও ট্রাই করার ইচ্ছা থাকলেও সাহস পাইনা। ওখানে পুরো রেসিপিটা থাকে না, আর অনেক জটিল মনে হয়। এই জন্যে ব্লগের রাধুনীদের কাছে বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ। সেরা রাঁধুনীদের মাঝে যদি এক জনকে বাছতে বলা হয় তবে পারবো না। দুই জনের নাম বলতে হবে।

তারা হলেন অপস্‌রা আপু এবং সুরন্জ্ঞনা আপু। এই ঈদে সুরন্জ্ঞনা আপুর একটি রেসিপি দেখেই বানিয়েছিলাম সেমাইয়ের শাহীটুকরা। রোজার ঈদে আপুর ডাইনিং টেবিলে ওটা দেখে এবং নাম শুনে আমি আর রেজু আপুা চেয়েছিলাম। পরে আপু রেসিপিটা দেন। ঈদের আগে একদিন বানিয়ে টেস্ট করেছিলাম।

ভাল লাগায় ঈদের দিন করি সেটা। আসুন দেখি কি কি লাগবে সেমাইয়ের শাহীটুকরা বানাতে। উপকরণ: লম্বা সেমাই: ১/২ টা তরল দুধ: ১লিটার জ্বাল দিয়ে ১/২ লিটার করে নিতে হবে। গুড়া দুধ: ১ টে. চা. ঘি: ১টে. চা. কর্নফ্লাওয়ার: ৩টে. চা. চিনি: ৬টে.চা.(মিষ্টি কম বেশী ইচ্ছা মতন) ডিম: ১টা দারচিনি: ৩/৪ টুকরা, এলাচ: ২টা গুড়া করে নেয়া, কিসমিস: ১০/১২টা তেল ভাজার জন্যে। পেস্তা কুচি।

প্রণালী: প্যাকেটের অর্ধেক সেমাই ভেংগে নিতে হবে। একটি হাড়িতে পানি ফুটতে দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে তাতে সেমাই দিয়ে কয়েক মিনিট পর সেমাই ঝাজরিতে ঢেলে নিতে হবে। একটি বাটিতে সেমাই, ডিম, কর্নফ্লাওয়ার ভাল করে মেশান। কড়াইতে পরিমান মত তেল দিন।

তাতে ১ টে.চা. ঘি দিন। তেল গরম হলে সেমাইয়ের মিশ্রন হতে গোল বড়ার মতন করে ভাজতে হবে। সবগুলো বড়া ভেজে ভাজা বড়ার উপর জ্বাল দিয়ে ঘুন করে রাখা দুধ ঢেলে দিতে দিতে হবে। ঘি'র সাথে গুড়া দুধ মিশিয়ে সেমাইয়ের উপর ছড়িয়ে দিন। ৩/৪ ঘন্টা অপেক্ষা করে পরিবেশন করুন।

প্রথম দিন বানানোটা সুরন্জ্ঞনা আপুরটা সরাসরি এখানে এবারের রোজার এবং কোরবানীর ঈদ দুটো আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালই গিয়েছে। একটু অন্যরকম হয়েছিলো। রোজার ঈদে বাড়ীতে আম্মা রান্না ঘরে ব্যস্ত্য থাকায় মেহমান আসলে টেবিলে খাবার দেয়া এবং চামচ প্লেট ধোয়ার কাজ করেছি প্রায় দুপুর পর্যন্ত। ঘুম দিয়ে দুপুর শেষ শেষ উঠে গোসল-নামাজ-খাওয়া। আর কোরবানীর ঈদে সকালে রান্না, সকাল পুনে এগারোটায় ঘুম দিয়ে পৌনে বারোটায় উঠেছি।

উঠে দেখি খাসী বানানো শেষ। খাসীর গোশত এবং কলিজা রান্না করলাম। দুপুরে গরুর গোশত আসলে আম্মা সেটা নিয়েই ব্যস্ত্য থাকে। রাতেও ব্যস্ত্য থাকায় আম্মা গরুর গোশত রান্না করলেও পোলাউ, চিংড়ি মাছ ভাজি এবং বোরহানীটা আমিই রেডী করি। ভালই লেগেছে এসব করতে।

আপনাদের ঈদ কেমন গেলো? ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।