সংগবদ্ধ জালিয়াতচক্র বিরামহীন গোয়েবলসিও স্টাইলে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। ৮ – ১০ জন পেশাদার ছাগু ব্লগার মাল্টি নিক ব্যবহার করে চরিত্র হহন করে যাচ্ছে বিশিষ্ট দেশপ্রেমিকদের।
ঈদের কদিন আগে মোহাম্মদ জাফর ইকবালের মেয়ের কিছু ব্যক্তিগত ছবি সুক্ষভাবে ফটোশপে এডিট করে ব্লগ-ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। তারা জ়ানে জাফর ইকবালের মেয়ে, কারণ জাফর ইকবাল এখানে একজন সুশীল, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের। এটা নিয়ে ছাগুর পালে লুংগিখোলা উলংগ নৃত্য চলছে এখনো।
এর আগেও ওনার একটি ফ্যামিলী ভিডিও কাটছাট করে নেটে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। তার ও আগে সাকিব-লোটাস কামালের ফটোশপে বানানো ছবিটা।
আসেপাশের ব্যাকগ্রাউন্ড ছেঁটে দিয়ে হাফপ্যান্ট পরা ... বিদেশে সিবিচে বিকিনি চলে, হাফপ্যান্ট তো অনেক শোভন। বোতল হাতের ছবিটা এডিট করা একটু ভালভাবে লক্ষ করলেই বুঝাযায়।
ছেলে বন্ধুদের সাথে যেসব ছবি দেখেছি, তাতেও আমি বিরাট কোন অন্যায় খুজে পাইনি।
আমাদের দেশী রক্ষনশীল পরিবারের অনেক ছেলেমেয়েই বিদেশের বিশ্ববিদ্যায়ের পরিবেশে মানিয়ে চলার চেষ্টা করেন। বর্তমানে দেশেও ছাত্র-ছাত্রী টিশার্ট পরা বা একত্রে আড্ডা হইহুল্লোর একটা সাভাবিক ব্যাপার।
মোহাম্মদ জাফর ইকবাল আধুনিক জীবনযাপন করেন, উনি দির্ঘদিন আমেরিকায় বসবাস করেছেন, পড়াশোনা-চাকুরি করেছেন। তার মেয়ে ইয়েশিমও তাই। তার মেয়েরও বিদেশী ছেলে বন্ধু থাকতেই পারে।
জাফর ইকবালের মেয়ে হিজাব পড়ে সাদা-কালো পুরুষদের থেকে দুরত্ব বজায় রাখবে এমনটা নিশ্চয়ই আশা করা যায় না। তাই ছবিগুলো দেখে আমি তেমন অস্বাভাবিক কিছু দেখিনি। এতে বাংগালি সংস্কৃতির খুব বেশি লংঘন হয়েছে বলেও আমি মনে করিনা। দেশের বাইরে যারা পড়তে এসেছে তারা মাত্রই জানেন, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশ গুলোতে যে এখানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ছেলে মেয়েরা পড়তে আসেন, একজন আরেক জনের সাথে পরিচিত হয়, বন্ধুত্ব হয়। সেরকম ইয়েশিমের সাথে ১০-১২ জনের বন্ধুত্ব্ব হতেই পারে, হতেই পারে এক বা একাধিক মানুষের সাথে তার সম্পর্ক।
তাতে কার কি আসে যায়?
এটা তার অধিকার এবং এটা তার ইচ্ছা।
ইয়েশিমের বন্ধুত্ব্ব বা সম্পর্কের কারনে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে কেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।