থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
নরসিংদীর মেয়র লোকমান হোসেনকে হত্যার দায়ে টিঅ্যান্ডটি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজিউদ্দিন আহমদ রাজুর ছোট ভাই সালাউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে হুকুমের আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সূত্র:
১। Click This Link
২। Click This Link
দাফন কাফন নিয়ে ব্যস্ততা, নিহতের পরিবার সদস্যদের মানসিক অবস্থা ভালো না থাকা—মামলা দেরির কারণ হিসেবে বলা হলেও, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে—টিঅ্যান্ডটি মন্ত্রীর পরিবার সদস্যকে আসামি করার ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগের প্রবল বাধায় ঘটে এ বিলম্ব।
থানায় দিনভর চলে নানামুখী চাপ ও দেন-দরবার। থানার ওসি মামলা নিতে চাননি প্রথমে। গতকাল রাত ১০টা ২০ মিনিটে মামলার এজাহার নিয়ে বাদী কামরুজ্জামান থানায় যান।
১০টা ৫৫ মিনিটে তিনি কক্ষে এসে এজাহারটি গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি ঊর্ধ্বতন কাউকে মোবাইল ফোনে এজাহার ও আসামিদের নাম পড়ে শোনান।
ওসি এজাহার গ্রহণ করলেও তা মামলা হিসেবে নথিবদ্ধ বা মামলার নম্বর দেননি।
এ পর্যায়ে বাদীসহ উপস্থিত নেতা-কর্মীরা মামলার নম্বর না দিলে থানায় অবস্থানের ঘোষণা দেন। তখন ওসি এজাহারটি নিয়ে থানার বাইরে কোথাও যান। রাত ১১টা ৪২ মিনিটে ওসি আবার থানায় ফিরে এসে বাদীকে মামলার নম্বর জানান (নং-৬) এবং এজাহারের পাশে ৩০২/৩৪ ধারা লেখেন।
বাদীপক্ষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে টালবাহানা করা হয়।
বলা হয়—আগে উপরের সঙ্গে কথা বলে দেখি। তারপর ভেবে দেখা যাবে মামলা নেয়া যায় কিনা।
নিহত মেয়রের পরিবার সদস্যদের আর্জিকে আমলেই নিতে চাননি থানার লোকজন। এ ফাঁকে অন্য তত্পরতাও চলে। টোপ দেয়া লোকমানের পরিবারকে।
বলা হয়—মিটমাট ও ফয়সালায় আসতে।
নিহত মেয়রের পরিবারের কোনো সদস্যকে মেয়র করার আশ্বাসও দেয়া হয় মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহলের তরফ থেকে। শেষ অবধি মামলা দায়েরে সফল হন নিহত মেয়রের ভাই কামরুজ্জামান।
রাতে এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে মন্ত্রীর ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদের মোবাইল ফোনে কয়েক দফায় কল করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
এরপর ফোনে খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠানো হলে তিনি ফোন বন্ধ করে দেন।
আরো মজার ব্যাপার হল, লোকমান হত্যার পর ওই রাতেই ঢাকার বাসা থেকে নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাঁকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
খায়রুল কবিরকে গতকাল আদালতে হাজির করে পুলিশ তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। আদালত রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেননি।
আদালতের বারান্দায় খায়রুল কবির সাংবাদিকদের বলেন, লোকমানের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সময় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করেনি। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।