গত মাসের শুরুর দিকে একটা একুরিয়াম কিনলাম ৩ ফুট লম্বা নরমাল। ওটাতে ৪০ গ্যালন(১২০ লিটার) পানি ধরে। বেশ কয়েকটা মাছ কিনে আনলাম। ৩ জোড়া গোল্ডফিস, ৪টা মলি, ২টা সাকার, ২ টা শিং মাছ টাইপ, - সব মিলিয়ে ২০টার মত। ৫-৬ দিন পরেই দেখি মাছগুলো অসুস্থ হইয়ে যাচ্ছিল।
এর পর বেশ কয়েকটা মরে গেল। মরাগুলো সরানোর পর দেখি মলিগুলা ২-৩টা মাছকে ঠোকরাচ্ছে। মলিগুলো আলাদা করলাম। এর পর যে কত বার কাটাবনের দোকানগুলোতে গেলাম... কত ওষুধ যে কিনলাম। হিটার দিয়ে পানি গরম করে রাখলাম।
বার বার পানি চেঞ্জ করলাম। সবকিছু পরিস্কার করলাম। তারপরেও মাছ মরতেছে... শেষে দেখা গেল মাত্র ৩-৪টা(টাইগার শার্ক, শিং মাছ) বেচে আছে। একটা টাইগার শার্কও মরে গেল।
এর পর ডেকে আনলাম কাটাবনের লোকদেরকেও ।
তারা দেখে বলল সব নাকি ঠিক আছে। টাকাও নিয়ে গেল... আবার মাছ মরে।
রোগের লক্ষণ হল- মাছগুলো ঝিমায়, শুয়ে থাকে; কোনভাবেই উঠতে চায় না। কতগুলার লেজ এ সাদা স্পট পরছে। কতগুলার লেজ ছিড়ে যাচ্ছে।
আর হঠ্যাত করে পাগলের মত দৌড়াদৌড়ি করে। লোকগুলা বলছে সুই পোকা না কি যেন আক্রমণ করছে। এই জিনিস ঠিক করার জন্য ৪-৫ শত তাকার স্পেশাল ওষুধও কিনেছি(গুড়া করে কাগজে দিয়ে দেয়)।
আমার বাসা ঢাকার কাঠালবাগান এলাকায়। আমাদের এলাকার পানি বেশি ভাল না... পানিতে ব্লিচিং বেশি।
এটা কাটাবনে জানিয়েছিও। তারা বলছে পানি ট্যাংকে ভরে স্পট ব্লু, ফাংগাসের ওষুধ এন্টি ক্লোরিন দিয়ে , হিটার+পাম্প ৫-৬ ঘন্টা চালানোর পর মাছ ছাড়তে। এসব করেও লাভ হয় না। আব্বু আবার ১০টা মাছ কিনছিল... ওগুলাও শেষ।
আমার শেষ ভরসা সামু।
কেউ যদি আমাকে বাচাতে পারেন ভাই... তাহলে একটু কষ্ট করে নক করেন। আমার বাসার আশে পাশে কেউ থাকলে আমি তার সাথে দেখা করতে চাই। অনেক শখ আমার... কিন্তু খরচ করতে করতে পাগল হয়ে যাইতেছি। তাও যদি মাছগুলা বাচত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।