গল্প ফোন (প্রথম পর্ব)
নিপা: তোমাকে পুতুলের সাথেই বিয়ে দিব।
সুমন: আচ্ছা। এই কথা। তোমার দেখছি অনেক বুদ্ধি। এই বুদ্ধি নিয়ে বি.সি.এস. পরীক্ষা দিবা?
নিপা: এত ক্ষনে ভাল বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করছ।
সুমন: এই ব্যাপারেই ফোন করছি। মনটা খুবই খারাপ ছিল। বাসে উঠার কিছুক্ষন পর মনটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
নিপা: কোন ভুতে মনটা ভাল করল। নিশ্চয়ই সুন্দরী কোন ভাল ভুত।
না হলে তোমার মনটা আরও খারাপ করে দিত। আমার ভাগ্য ভাল।
সুমন: পরশু আস। আমাকে ডাকছে। খেলতে যাওয়ার কথা ছিল।
কথা বলে অনেক সময় নষ্ট করছি। আমার জন্য টিম ও অন্যান্য অনেকে বসে আছে।
নিপা: ভাল কথা। পুতুলের সাথে বিয়ে হওয়ার আগেই আমাকে জানাইবা। মেকআপ করে দিব।
তারপর ফোন রেখে দেয়।
কথা মত দেখা করতে আসে নিপা। নিপা ঐ দিন কথা না রাখায় এখনও রাগ যায়নি সুমনের। আচ্ছা নিপা তোমার সাথে বন্ধুত্ব না রাখলে কি হবে? আমার এক ঘেয়েমি হয়েছে।
নিপা: বন্ধুত্ব না রাখলে আমারও কিছু হবে না।
আর তোমারও কিছু হবে না। বাদ দাও। আর কখনও আমার সাথে দেখা করতে হবে না।
সুমন: তুমি কি এমন হয়েছ? তোমার সাথে আমার কথা বলতেই হবে। না বললে জীবন যাবে।
নিপা: তোমার সাথে কথা না বললে আমার কি হবে? যেই না চেহারা নাম রাখছে পেয়ারা।
সুমন: যেই না চেহারা নাম রাখছে সুন্দরী।
নিপা: কেউ আমার নাম সুন্দরী রাখেনি বা সুন্দরী বলে ডাকও দেয়না। তোমার মুখে আজব কথা শুনছি।
সুমন: আমার নাম আদর করে রাখছে সুমন।
মানে ভাল মন। তুমি ভাল মনের কিছু বুঝনা। তোমার সাথে কথা বলে লাভ নেই। তোমার নামের শেষে ত দিলে হয় নিপাত। মানে শেষ বা ধ্বংশ।
তুমি যেমন চাও তেমন। অবশ্য তোমার েেত্র নিপাত শব্দটাই মানায়। যা হোক আমি নিপা বলেই ডাকব। ধ্বংশ বা শেষ বলে ডাক দিব না।
নিপা: ত যোগ না করে উল্টা বল।
যা ছাড়া মানুষ বাঁচে না।
সুমন: তুমি নিজে যে উল্টা তাই নাম উল্টা করে পড়তে বলছ। তোমাকে ছাড়া মানুষ বাচেঁ। এটাও উল্টা। নামের উল্টা কি? আর তুমি কি?
নিপা: আমি কি মানে?
মতিন: তোরা কি নিয়ে ঝগড়া করছিস?
নিপা: কই না ত।
ঝগড়া করছি না। নামের প্রশংসা করছি।
মতিন: ঝগড়া না। নামের প্রশংসা করছিস? তবে শরীরের এই অবস্থা কেন? চোখ ও মুখ দেখি লাল। কি কাহিনী তোদের বল?
নিপা: কাহিনী কিছু না।
বেশি হাসছি যে তাই এই অবস্থা।
মতিন: তোদের কাহিনী নিয়ে তোরা থাক। কিন্তু হাত-মুখ ধূয়ে স্বাভাবিক চেহারা ফিরিয়ে আন। দেখতে ভয়ঙ্কর লাগছে। মনে হচ্ছে তোরা চোখে চোখে যুদ্ধ করছিস।
তোদের চোখের আঘাতে তোরা আহত। তোদের মানসিক অবস্থা ভাল ঠেকছে না আমার। আমাকে বল। ট্রিটমেন্ট করে দেই।
নিপা: তোর ট্রিটমেন্ট লাগবে না।
তোকে মানসিক ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। আমাদের মাঝখানে তুই কথা বলছিস কেন? কাজে যা।
মতিন: ঠিক আছে। আমি যাচ্ছি। তোদের স্বাভাবিক চেহারা ফিরিয়ে আন।
নিপা: আমরা স্বাভাবিক আছি। তুই যা।
মতিন: উইশ ইউ অল দ্যা বেস্ট। গুড বাই।
নিপা: বাসায় যাও।
আর কোন দিন যেন তোমার সাথে কথা না হয়।
সুমন: তবে আমি বাঁচি।
নিপা: তোমাকে বাঁচানোর জন্যই বলছি। কাজ বুঝ না।
সুমন: ঐ দিন কাজ করছ।
নিপা: আর কোন কথা বলতে চাইনা। অনেক ভাল থাক।
সুমন: অনেক ভাল থাক।
তারপর থেকে দু’জনের মধ্যে আর কথা হয় না। ব্যাপারটা প্রথম দিন কেউ বুঝতে পারে না।
কারন দু’জনের মধ্যে কোন লন প্রকাশ পায়নি। স্বাভাবিক সব কিছু করছে। কিন্তু মতিন এসে তাদের সম্পর্কে সব বলে দেয়। নিপা অনেক চালাক। সে বলে সুমন আমাদের মধ্যে কিছু হয়েছে?
সুমন: না কিছু হয়নি।
মতিন: তবে যে তোরা চুপচাপ?
সুমন: খুব চাপের মধ্যে আছি। তুই বুঝবি না।
মতিন: আমার বুঝে কোন লাভ নেই। কিন্তু ঐ দিন তোরা যে কান্ড করছি তা ভুলার মত না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।