বিশ্বখ্যাত বৃটিশ আইনজীবী স্টিভেন কে কিঊসি বলেছেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদেরকে বাংলাদেশের সংবিধান, সাক্ষ্য আইনে প্রাপ্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অথচ দেশের সকল নাগরিক এই অধিকার পেয়ে থাকে। তিনি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে বলেন, চেয়ারম্যান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গঠিত এক তদন্ত কমিশন এর সদস্য ছিলেন, তিনি এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তও করেছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই ট্রাইব্যুনালের নিরপেক্ষতা বলে কিছুই নেই।
গত ২৯ অক্টোবর আলজাজিরা টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে স্টিভেন কে কিঊসি আরো বলেন, এই ট্রাইবুনাল আন্তর্জাতিক অপরাধ এর বিচার করতে চাচ্ছে, যদিও এটা একটা জাতীয় ট্রাইব্যুনাল। বাংলাদেশ সরকার অভিযুক্তদেরকে সকল ধরনের সাংবিধানিক ও জাতীয় আইনের অধিকার এবং সাক্ষ্য আইন থেকে বঞ্চিত করেছে।
সাংবিধানিকভাবে সকল বাংলাদেশি নাগরিক এর সুষ্ঠু বিচার এর অধিকার রাখে। কিন্তু এই ট্রাইব্যুনাল এ অভিযুক্তদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সুতরাং এটা ন্যায়বিচার পরিপন্থী ট্রাইব্যুনাল।
এই ট্রাইব্যুনালের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। ইন্টারন্যাশনাল বার এসোসিয়েশন, হিউম্যান রাইট্স ওয়াচ, এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং যারাই এই বিষয়ে পড়াশোনা করেন, তারা সবাই এই কথা বলছেন এটি একটা ন্যায়বিচার পরিপন্থী ট্রাইব্যুনাল।
কিঊসি আরো বলেন, এই ট্র্াইব্যুনাল চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করা হয়েছে। কারন তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গঠিত এক তদন্ত কমিশন এর সদস্য ছিলেন, তিনি এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছিলেন। তাই বলা যায় বিচারপতি নাসিম একজন ডিফেন্স সাক্ষী বা রাজসাক্ষী।
তার এই পক্ষপাতিত্ব প্রমাণিত হয়েছে প্রসিকিউশন এর দাখিল করা দলিল প্রমাণ থেকেই। তাই এই ট্রাইব্যুনালের নিরপেক্ষতা বলে কিছুই নেই। তিনি বলেন, বিচার এর নামে যদি এই ন্যায় বিচার পরিপন্থী ও পাতানো বিচার করা হয়, তাহলে এটা ইতিহাস এ একটি কালো অধ্যায় হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকবে। আর একটি বিষয় হল এটা শুধু যুদ্ধের একটি পক্ষের বিচার করা হচ্ছে, যারা যুদ্ধের আরেকটি পক্ষ তাদের অপরাধের কোন বিচার করা হচ্ছে না। এটা একটি অত্যন্ত ন্যায়বিচার পরিপীন্থ একটি বিচার ব্যবস্থা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।