লেখক/কবি তিতিনের কথা আপনাদের সবাইকে অনেক আগেই বলে ছিলাম। সেই তিতিন এখন অনেক বড় হয়েছে, সে এখন অনেক দুরন্ত, দিনমান ছাদের কার্নিশে শুয়ে থেকে দস্যুর মতো চড়াই পাখি ধরে শিকার হিসেবে।
এলাকার অন্য বিড়ালদের সঙ্গে রাত ভর ম্যারাথন মারামারি শুরু করে কিছুতেই আর থামতে চায় না। সারা গা কেটে ছিলে একা কার হবার পর সে এই কাজে ক্ষেমা দেয় আর ইনফেকশন নিয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে না খেয়ে শুকায়।
আমার চিকিৎসা আর সেবা শুশ্রূষায় ভাল হবার পর কয়েক দিন ভদ্রভাবে বাসার আশেপাশে থাকলেও কিছুদিন পর আবার আগের মতই দস্যিপনা শুরু করে দেয়।
এ সময়ও নিয়মিত সে বাসায় আসে, চিৎকার করে একবার ফ্রিজের দিকে আর আমার লেখার টেবিলের দিকে আসতে থাকে, কয়েকবার আমি ব্যপারটা বুঝতে পারার পর ওকে ফ্রিজ থেকে মাছ নামিয়ে দেই।
খাওয়া দাওয়া শেষ হলে আবার চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেয়। একবার দরজার দিকে যায় আবার আমার কাছে। শেষে বাধ্যহই দরজা খুলেদিতে। চলে যাবার সময় সন্দেহ হয় আবার কখন আসে, বা শরীরে না আবার কাদা মেখে, ক্ষত নিয়ে আসে।
কদিন আগে আমার ছোট ভাই আবার এক বিড়াল ছানা নিয়ে এসেছে। সারা গায়ে কালো লোম।
আমরা সেটার নাম দিয়েছি কালি। অন্য বিড়ালদের তিতিন একদম সহ্য করতে না পারলেও কালি কিন্তু দিব্যি তিতিনের ওপর খবর দারি করেই যাচ্ছে।
সেই দৃশ্য সবাই আমরা খুবই মজা নিয়ে দেখছি প্রত্যেক দিন! ভালই লাগছে।
তিতিনেরও ভালই কাটছে কালির মত বান্ধবী পেয়ে।
বেশ বোঝা যাচ্ছে কালোতে তিতিনের কোন সমস্যা নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।