আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কারারুজ্জামানের বাড়িসহ গোলযোগের আশঙ্কাপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্ক অবস্থনে রয়েছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাকির হোসেন বিডিনউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
শহর ও শহরতলীসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ ও ব্যালিয়ান আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
কামারুজ্জামানের বাড়ি সদরের বাজিতখিলা ও এর আশপাশ এলাকায় বিজিবি ও র্যাব টহল দিচ্ছে। রয়েছে নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ দল।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের কুমরি মুদিপাড়ায় কামারুজ্জামানের বাড়িতে লোকজনের উপস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি।
রয়েছেন শুধু কামারুজ্জামানের বড়ভাই পক্ষাঘাতের রোগী আমজাদ আলীসহ কয়েকজন।
জড়ানো অস্পষ্ট কন্ঠে আমজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিথ্যা অভিযোগে আমার ভাইয়ের বিচার হচ্ছে।
কামারুজ্জামানের ভাতিজার স্ত্রী রূপসী বেগম বলেন, তার চাচা শ্বশুর (কামারুজ্জামান) বাড়ি আসেন নির্বাচন ও ঈদের সময় বাবা-মার কবর জিয়ারত করতে।
তারও বিশ্বাস কামারুজ্জামান কোনো দোষ করেননি, অন্যায়ভাবে তার বিচার করা হচ্ছে।
এদিকে বাজিতখিলার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী বলেন, স্বাধীনতার ৪২ বছর পর রাজাকার কামারুজ্জামানের বিচার হওয়ায় বাজিতখিলা কলঙ্কমুক্ত হচ্ছে।
তবে এলাকার সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চান না। তাদের কথাবার্তা সতর্ক। কেমন যেন ভীত সন্ত্রস্ত।
গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকায় পুরুষের সংখ্যাও কমে গেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।