সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
(১২ টাকা দামের ৫৭০ সাবান এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকায়)
টয়লেট্রিজ মানে নিত্য প্রয়োজনীয় সাবান সোডার দাম নিয়ে বাজারে চরম নৈরাজ্য চলছে। বিভিন্ন ধরনের চয়লেট্রিজের দাম গত কয়েক মাসে দফায় দফায় পেয়েছে। সিন্ডিকেট করে কিছু দেশী এবং মালটি ন্যাশনাল কোম্পানি টয়লেট্রিজের ঘাটতি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এর কাঁচা মালের মূল্য বৃদ্ধির খোড়া যুক্তি দেখিয়ে দেশীয় বাজারে এর দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অতিরিক্ত আয় করেছে। বাজারে দেশীয় সকল কোম্পানির উৎপাদিত ও বিদেশ থেকে আমদানিকৃত টয়লেট্রিজের দাম দফায় দফায় বেড়েছে।
সরকার মূল্য বাড়ানোর বিপক্ষে থাকলেও একশ্রেণীর মালিক সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজের দাম বৃদ্ধি করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে।
সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে সাবান সোডার দাম। সাধারণ মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় এই সকল দ্রব্যাদি কিনতে এসে এর অস্বাভাবিক দাম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আর দোকানীরা দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে পড়ছে। অনেকেই জানিয়েছেন সাবান সোডার দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে এ গুলো এখন বিলাশ সামগ্রীতে পরিনত হয়েছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় এই সকল সাবান সোডার দাম সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেলেও দাম নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বা নিতে পারছেনা। কারণ এই সকল কোম্পানীর সাথে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কিছু দুর্নিতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে অলিখিত আতাত ও দুর্নীতি ও অনিয়মের অসংখ্য অভিযোগ।
নিত্য প্রয়োজনীয় এই সকল টযলেট্রিজের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে জন সাধারণের নাভিশ্বাস উঠলেও ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান তাই তাদের বিরুদ্ধে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে অক্ষম। র-মেটেরিয়ালসের দাম বৃদ্ধির অযুহাতে প্রতিনিয়ত তারা অযৌক্তিকভাবে এই সকল সামগ্রীর দাম বাড়িয়েই চলছে। দাম বৃদ্ধির বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে থাকা অধিদফতরের সঠিকভাবে তদারকির অভাবে এভাবে বেড়ে চলছে এই সকল নিত্য প্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজের দাম। র-মেটারিয়ালসের দাম বাড়ে যাওয়া এবং ডলার দাম বেড়ে যাওয়ার অযুহাত দেখিয়ে কোম্পানি তাদের পূন্যের মূল্য বাড়িয়েছে।
কিছুদিন আগের মাঝারি সাইজের একটি লাক্স টয়লেট্রিহ সাবান ২০ টাকায় বিক্রি হলেও তার দাম এখন ২৬ টাকা।
একটি হুইল সাবান কয়েক দিন আগে ও বিক্রি হতো ১৫ টাকা, যা এখন ক্রয় করতে হয় ১৭ টাকায়। ২৪ টাকা দামের ৫০০ গ্রাম হুইল গুড়ো সাবান এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দামে। এমনি ভাবে বিভিন্ন কোম্পানী প্রতিযোগীতা করে তাদের উৎপাদিত পন্যের দাম বাড়িয়ে চলছে লাগামহীন ভাবে। ম্যারাথন ভাবে দাম বৃদ্ধির কোন কারণ খুঁজে না পেয়ে এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছ থেকে প্রতিকার না পেয়ে অভিসম্পাৎ করছে আর নিজেদেরকে সপে দিয়েছে ভাগ্যের হাতে।
এই সকল নীতি বিবর্জিত ও অসুধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মহলের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী সাধারণ মানুষের।
তাদের দাবী আইন সংশোধন করে এই সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোবাইল কোর্ট চালু করতে হবে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বাজারজাতকৃত দেশী-বিদেশী সকল টয়লেট্রিজের দাম মনিটরিং করতে হবে। তা না হলে যে ভাবে এই সকল দ্রব্যের দাম বাড়ছে তাতে এর ব্যবহার ছেড়েই দিতে হবে। আর তাতে বেড়ে যাবে খোস পাঁচড়া, পেটে অসুখসহ নানান চর্মরোগ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।